বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মতো আজকাল সাংবাদিকতাও দোকানে দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। যে দোকানের মালিক একেকজন স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতাকে অবৈধ পথে পরিচালনা করছে। যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে সামাজিক অস্থিরতা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা।

যে হারে সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যম বাড়ছে সেই হারে সাংবাদিকতার মান বাড়ছে না। সাংবাদিকতার নামে ভুরি ভুরি সংগঠন খুলে একটি শ্রেণি যেন সংবাদিক তৈরির ব্যবসা খুলে বসেছে। তাদের এই অবৈধ কর্মকা-ের ফলে সৃষ্টি হয়েছে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য। সাংবাদিকতার মতো মহৎ এই পেশাকে করা হচ্ছে কলুষিত। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। যে পেশা মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি আদর্শ ও নীতিবান করে গড়ে তোলে। তবে এ কথা ঠিক যে অসৎ ও কূটবুদ্ধির কাছে কখনও কখনও নীতি-নৈতিকতাও হার মানে। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম গড়ে তুলছেন এবং পছন্দ মতো সংবাদকর্মী নিয়োগ দিচ্ছেন। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কোন্দল সৃষ্টি করাই যাদের মূল উদ্দেশ্য।

পেশাদারী সাংবাদিকতায় যুক্ত থেকেও অনেক মফস্বল সাংবাদিক তাদের পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। বিভাগীয় শহরগুলোতে কাজ করা সংবাদকর্মীরা বেতন ভাতা পেলেও জেলা, উপজেলা পর্যায়ের অধিকাংশই পাচ্ছেন না। অথচ রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নামধারীরা সাংবাদিক পরিচয়ে অবৈধ পন্থায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিচ্ছে। আবার অনেক পেশাদার সাংবাদিক বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে যাচ্ছেন।

আজ দেশের সাংবাদিকতা চরম বিপাকে। গণমাধ্যম সম্পর্কে মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণার জন্ম হচ্ছে। দুর্নীতি আজ গণমাধ্যম পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছে। তাই সাংবাদিকতাকে যারা কলুষিত করেছে বা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। পেশাদারি সাংবাদিকতায় যুক্ত সংবাদকর্মীদের সনদ প্রদান করা হোক। এতে করে আর কেউ সাংবাদিকতার পরিচয়ে নিজেদের অসাধু উদ্দেশ্য সাধন করতে পারবে না।

ইমন ইসলাম

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মতো আজকাল সাংবাদিকতাও দোকানে দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। যে দোকানের মালিক একেকজন স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতাকে অবৈধ পথে পরিচালনা করছে। যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে সামাজিক অস্থিরতা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা।

যে হারে সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যম বাড়ছে সেই হারে সাংবাদিকতার মান বাড়ছে না। সাংবাদিকতার নামে ভুরি ভুরি সংগঠন খুলে একটি শ্রেণি যেন সংবাদিক তৈরির ব্যবসা খুলে বসেছে। তাদের এই অবৈধ কর্মকা-ের ফলে সৃষ্টি হয়েছে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য। সাংবাদিকতার মতো মহৎ এই পেশাকে করা হচ্ছে কলুষিত। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। যে পেশা মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি আদর্শ ও নীতিবান করে গড়ে তোলে। তবে এ কথা ঠিক যে অসৎ ও কূটবুদ্ধির কাছে কখনও কখনও নীতি-নৈতিকতাও হার মানে। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম গড়ে তুলছেন এবং পছন্দ মতো সংবাদকর্মী নিয়োগ দিচ্ছেন। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কোন্দল সৃষ্টি করাই যাদের মূল উদ্দেশ্য।

পেশাদারী সাংবাদিকতায় যুক্ত থেকেও অনেক মফস্বল সাংবাদিক তাদের পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। বিভাগীয় শহরগুলোতে কাজ করা সংবাদকর্মীরা বেতন ভাতা পেলেও জেলা, উপজেলা পর্যায়ের অধিকাংশই পাচ্ছেন না। অথচ রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নামধারীরা সাংবাদিক পরিচয়ে অবৈধ পন্থায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিচ্ছে। আবার অনেক পেশাদার সাংবাদিক বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে যাচ্ছেন।

আজ দেশের সাংবাদিকতা চরম বিপাকে। গণমাধ্যম সম্পর্কে মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণার জন্ম হচ্ছে। দুর্নীতি আজ গণমাধ্যম পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছে। তাই সাংবাদিকতাকে যারা কলুষিত করেছে বা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। পেশাদারি সাংবাদিকতায় যুক্ত সংবাদকর্মীদের সনদ প্রদান করা হোক। এতে করে আর কেউ সাংবাদিকতার পরিচয়ে নিজেদের অসাধু উদ্দেশ্য সাধন করতে পারবে না।

ইমন ইসলাম