পোলট্রি ফিডের দাম

বাংলাদেশের জনগণের প্রোটিন চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হয় পোলট্রি সেক্টর থেকে। কিন্তু পোলট্রিজাত প্রাণীর দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পোলট্রি ফিডের দাম লাগামহীন ঘোড়ার মতো দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া খুচরা খাদ্যদ্রব্যের (বিগত বছরের তুলনায় ভুট্টা ও সয়াবিন) দাম বেড়েই চলেছে। সার্বিক কাঁচামালের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, যা সাধারণ খামারিদের পোলট্রি উৎপাদের প্রতি অনুৎসাহিত করছে।

করোনার আগে সপ্তাহে এক দিন বয়সী মুরগির বাচ্চা উৎপাদিত হতো ২.৫ কোটি। যার সংখ্যা বর্তমানে নেমে এসেছে ১.২৫ কোটিতে। করোনাকালীন পোলট্রি শি-ের ক্ষতি ৮০০০-১০,০০০ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশে বার্ড ফ্লু-কালীন ক্ষতির তুলনায় অনেক বেশি। করোনায় খামার বন্ধ হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। ফলে ব্রয়লার উৎপাদন যেমন কমে যাচ্ছে তেমনি ব্রয়লার মুরগির দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৬০-১৮০ টাকা, যা এক মাস আগে ছিল ১৩০-১৪০ টাকা। একদিকে ফিডের ব্যাপারীরা যেভাবে খামারিদের ফিড চাহিদার সুযোগ নিয়ে বেগতিক দাম হাঁকছে, অন্যদিকে ছোট খামারিদের ন্যায্য মূল্য দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক সাধারণ খামারিদের দুর্ভোগ কমাতে ফিডের দাম সহনশীল পর্যায় করা অতীব জরুরি। অন্যথায় খুচরা খামারিদের পোলট্রি সেক্টর থেকে অনীহা চলে আসবে। এভাবে পোলট্রি পণ্যের দাম বৃদ্ধি হতে থাকলে দেশের সবচেয়ে বড় আমিষ উৎস থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হবে।

রায়হান আবিদ

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

পোলট্রি ফিডের দাম

image

বাংলাদেশের জনগণের প্রোটিন চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হয় পোলট্রি সেক্টর থেকে। কিন্তু পোলট্রিজাত প্রাণীর দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পোলট্রি ফিডের দাম লাগামহীন ঘোড়ার মতো দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া খুচরা খাদ্যদ্রব্যের (বিগত বছরের তুলনায় ভুট্টা ও সয়াবিন) দাম বেড়েই চলেছে। সার্বিক কাঁচামালের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, যা সাধারণ খামারিদের পোলট্রি উৎপাদের প্রতি অনুৎসাহিত করছে।

করোনার আগে সপ্তাহে এক দিন বয়সী মুরগির বাচ্চা উৎপাদিত হতো ২.৫ কোটি। যার সংখ্যা বর্তমানে নেমে এসেছে ১.২৫ কোটিতে। করোনাকালীন পোলট্রি শি-ের ক্ষতি ৮০০০-১০,০০০ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশে বার্ড ফ্লু-কালীন ক্ষতির তুলনায় অনেক বেশি। করোনায় খামার বন্ধ হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। ফলে ব্রয়লার উৎপাদন যেমন কমে যাচ্ছে তেমনি ব্রয়লার মুরগির দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৬০-১৮০ টাকা, যা এক মাস আগে ছিল ১৩০-১৪০ টাকা। একদিকে ফিডের ব্যাপারীরা যেভাবে খামারিদের ফিড চাহিদার সুযোগ নিয়ে বেগতিক দাম হাঁকছে, অন্যদিকে ছোট খামারিদের ন্যায্য মূল্য দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক সাধারণ খামারিদের দুর্ভোগ কমাতে ফিডের দাম সহনশীল পর্যায় করা অতীব জরুরি। অন্যথায় খুচরা খামারিদের পোলট্রি সেক্টর থেকে অনীহা চলে আসবে। এভাবে পোলট্রি পণ্যের দাম বৃদ্ধি হতে থাকলে দেশের সবচেয়ে বড় আমিষ উৎস থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হবে।

রায়হান আবিদ