পরীক্ষা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভালো, মন্দ, চান্স, চাকরি পাওয়া না পাওয়া অনেককিছুই পরীক্ষা কেন্দ্রীক মূল্যায়ন করা হয়। সবক্ষেত্রে পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করলেই যে প্রকৃত মেধা যাচাই হয় সেটা মোটেও না। কেননা অল্প সময়ের এ পরীক্ষা দিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে পূর্ণাঙ্গভাবে যাচাই করা সম্ভব না। এই সময়টায় হুট করে যে কেউ যে কোন সীমাবদ্ধতা এবং প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হতে পারে এবং হয়। বছর ঘুরে বারবার বিভিন্ন ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা আসে। লাখ লাখ শিক্ষার্থী সেখানে অংশগ্রহণ করে। অনেকেরই সেই ছোটবেলা থেকে একটা স্বপ্ন লালন করে ভালো ভার্সিটি বা কলেজে ভর্তি হওয়ার। কিন্তু সবাই যে চান্স বা সুযোগ পাবে না এটাই স্বাভাবিক। এই বাস্তবতাটা মেনে নিয়েই আগানো উচিত একজন শিক্ষার্থী এবং তার পরিবারকে। কেননা ভর্তি পরীক্ষায় আসন সংখ্যা সীমিত। অপরদিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা লাখ লাখ।
একজন শিক্ষার্থীর ভার্সিটিতে পড়াশোনা দিয়েই ভবিষ্যত নিরূপণ করা যায় না। এমন অসংখ্য শিক্ষার্থী আছে যারা দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেও নিজের ভবিষ্যৎটা উন্নতি করতে পারেনা। অথচ গ্রামে বা একদম প্রত্যান্ত কোন কলেজে পড়াশোনা করেও অনেকে মেধার সর্বোচ্চটা প্রমাণ করছে। অনার্স লাইফে সুন্দর একটা পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরিতে নিঃসন্দেহে সাহায্য করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। একটা অতি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠন করে দেবে। দিনশেষে নিজেকেই নিজকে তৈরি করতে হবে।
কলেজ ভার্সিটি জীবনটা কোথায় কীভাবে কাটছে সেটার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে নিজেকে কতটুকু সমৃদ্ধ করতে পেরেছে। বা পড়াশোনা শেষে নিজেকে কোথায় উপস্থাপন করতে পেরেছে। নিজেকে সমৃদ্ধ করার জন্য প্রয়োজন নিজের আন্তরিক ইচ্ছে এবং আকাক্সক্ষা। এটা মাথায় রাখতে হবে জীবন মানেই সংগ্রাম। আমৃত্যু সংগ্রাম করেই যেতে হবে। কেউ জিতবে কেউ হারবে। অভিনন্দন দুজনের জন্যই।
সায়েদ আফ্রিদী
বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩
পরীক্ষা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভালো, মন্দ, চান্স, চাকরি পাওয়া না পাওয়া অনেককিছুই পরীক্ষা কেন্দ্রীক মূল্যায়ন করা হয়। সবক্ষেত্রে পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করলেই যে প্রকৃত মেধা যাচাই হয় সেটা মোটেও না। কেননা অল্প সময়ের এ পরীক্ষা দিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে পূর্ণাঙ্গভাবে যাচাই করা সম্ভব না। এই সময়টায় হুট করে যে কেউ যে কোন সীমাবদ্ধতা এবং প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হতে পারে এবং হয়। বছর ঘুরে বারবার বিভিন্ন ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা আসে। লাখ লাখ শিক্ষার্থী সেখানে অংশগ্রহণ করে। অনেকেরই সেই ছোটবেলা থেকে একটা স্বপ্ন লালন করে ভালো ভার্সিটি বা কলেজে ভর্তি হওয়ার। কিন্তু সবাই যে চান্স বা সুযোগ পাবে না এটাই স্বাভাবিক। এই বাস্তবতাটা মেনে নিয়েই আগানো উচিত একজন শিক্ষার্থী এবং তার পরিবারকে। কেননা ভর্তি পরীক্ষায় আসন সংখ্যা সীমিত। অপরদিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা লাখ লাখ।
একজন শিক্ষার্থীর ভার্সিটিতে পড়াশোনা দিয়েই ভবিষ্যত নিরূপণ করা যায় না। এমন অসংখ্য শিক্ষার্থী আছে যারা দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেও নিজের ভবিষ্যৎটা উন্নতি করতে পারেনা। অথচ গ্রামে বা একদম প্রত্যান্ত কোন কলেজে পড়াশোনা করেও অনেকে মেধার সর্বোচ্চটা প্রমাণ করছে। অনার্স লাইফে সুন্দর একটা পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরিতে নিঃসন্দেহে সাহায্য করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। একটা অতি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠন করে দেবে। দিনশেষে নিজেকেই নিজকে তৈরি করতে হবে।
কলেজ ভার্সিটি জীবনটা কোথায় কীভাবে কাটছে সেটার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে নিজেকে কতটুকু সমৃদ্ধ করতে পেরেছে। বা পড়াশোনা শেষে নিজেকে কোথায় উপস্থাপন করতে পেরেছে। নিজেকে সমৃদ্ধ করার জন্য প্রয়োজন নিজের আন্তরিক ইচ্ছে এবং আকাক্সক্ষা। এটা মাথায় রাখতে হবে জীবন মানেই সংগ্রাম। আমৃত্যু সংগ্রাম করেই যেতে হবে। কেউ জিতবে কেউ হারবে। অভিনন্দন দুজনের জন্যই।
সায়েদ আফ্রিদী