ভুলে যাওয়ার রোগ

কারও ভুলে যাওয়ার সমস্যা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়, নিরাময়ও না হয়ে বরং দিন দিন ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে, তাহলে তাকে ডিমেনশিয়া বলে। ডিমেনশিয়া মস্তিষ্কের এক ধরনের রোগ যার ফলে কিছু মনে রাখতে না পারেন না রোগী। এমনকি এ রোগটির কারণে একটু আগেই করা কাজ ভুলে যায় অনেকে।

এক হিসেবে দেখা যায়, বাংলাদেশে ২০১৫ সালে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ, যা ২০৩০ সালে বেড়ে ৯ লাখ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আলঝেইমার সোসাইটির হিসেবে, ২০৫০ সাল নাগাদ এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ লাখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ওষুধ ছাড়াও ডিমেনশিয়া রোগের চিকিৎসায় কিছু বিষয় অপরিহার্য বিষয়গুলো হলো-খাদ্যে পর্যাপ্ত পুষ্টি ও ভিটামিন প্রদান, বিহেভিয়ারাল থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, নিয়মিত ব্যায়াম এবং বুদ্ধিভিত্তিক আলোচনা। বংশগত মস্তিষ্কের ডিমেনশিয়া রোগের চিকিৎসায় বর্তমানে স্টেম সেল থেরাপি কার্যকর বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই চিকিৎসা সফল হলে চিকিৎসাবিজ্ঞান ডিমেনশিয়া রোগের চিকিৎসায় অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে ধারণা করা যায়।

ডিমেনশিয়া একজন মানুষের স্বাভাবিক দৈনন্দিন কার্যক্রমকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। এ কপর্যায়ে বিষয়টি এমন তীব্র আকার ধারণ করতে পারে যে রোগী নিজে নিজে খেতে-পরতে বা টয়লেট ব্যবহার করতেও অপারগ হন। আজীবন শেখা অভ্যাসগুলো পর্যন্ত ভুলে যেতে থাকেন। তাই এর চিকিৎসা প্রয়োজন। পুরোপুরি আগের মতো না হলেও রোগের তীব্রতা কিছুটা দমিয়ে রাখতে পারলে স্মৃতিভ্রষ্ট ব্যক্তি পরিবার ও সমাজে অনেকটা ভালো থাকতে পারবেন।

লিমন আহমেদ

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১ , ২৫ কার্তিক ১৪২৮ ৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

ভুলে যাওয়ার রোগ

কারও ভুলে যাওয়ার সমস্যা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়, নিরাময়ও না হয়ে বরং দিন দিন ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে, তাহলে তাকে ডিমেনশিয়া বলে। ডিমেনশিয়া মস্তিষ্কের এক ধরনের রোগ যার ফলে কিছু মনে রাখতে না পারেন না রোগী। এমনকি এ রোগটির কারণে একটু আগেই করা কাজ ভুলে যায় অনেকে।

এক হিসেবে দেখা যায়, বাংলাদেশে ২০১৫ সালে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ, যা ২০৩০ সালে বেড়ে ৯ লাখ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আলঝেইমার সোসাইটির হিসেবে, ২০৫০ সাল নাগাদ এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ লাখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ওষুধ ছাড়াও ডিমেনশিয়া রোগের চিকিৎসায় কিছু বিষয় অপরিহার্য বিষয়গুলো হলো-খাদ্যে পর্যাপ্ত পুষ্টি ও ভিটামিন প্রদান, বিহেভিয়ারাল থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, নিয়মিত ব্যায়াম এবং বুদ্ধিভিত্তিক আলোচনা। বংশগত মস্তিষ্কের ডিমেনশিয়া রোগের চিকিৎসায় বর্তমানে স্টেম সেল থেরাপি কার্যকর বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই চিকিৎসা সফল হলে চিকিৎসাবিজ্ঞান ডিমেনশিয়া রোগের চিকিৎসায় অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে ধারণা করা যায়।

ডিমেনশিয়া একজন মানুষের স্বাভাবিক দৈনন্দিন কার্যক্রমকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। এ কপর্যায়ে বিষয়টি এমন তীব্র আকার ধারণ করতে পারে যে রোগী নিজে নিজে খেতে-পরতে বা টয়লেট ব্যবহার করতেও অপারগ হন। আজীবন শেখা অভ্যাসগুলো পর্যন্ত ভুলে যেতে থাকেন। তাই এর চিকিৎসা প্রয়োজন। পুরোপুরি আগের মতো না হলেও রোগের তীব্রতা কিছুটা দমিয়ে রাখতে পারলে স্মৃতিভ্রষ্ট ব্যক্তি পরিবার ও সমাজে অনেকটা ভালো থাকতে পারবেন।

লিমন আহমেদ