পদ্মা সেতুর সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু

পদ্মা সেতুকে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করতে সেতুর কংক্রিটের রোড স্ল্যাবের ওপর কার্পেটিংয়ের (বিটুমিনাস ওয়ার্ক) কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)। গতকাল সকাল পৌনে ১০টার দিক থেকে এ কাজ শুরু হয়। এটি দেখাশোনা করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সেতুর শেষ স্প্যান বসানো হয়। আর এখন পর্যন্ত মূল সেতুর ৯৫ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৮৯ শতাংশ এবং নদী শাসন কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮৬ শতাংশ। সেই সঙ্গে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে সংযোগ সড়কের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে সংযোগ সড়কের কাজ শেষে সেতুর স্প্যানের ওপর কংক্রিট রোড স্ল্যাব ও রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়। সেতুতে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব ও ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে। প্রকল্প সূত্র জানায়, রোড স্ল্যাব বসানোর মাধ্যমে যে কংক্রিটের পথ তৈরি হয়েছে, তার ওপর প্রথমে দুই মিলিমিটারের পানিনিরোধক একটি স্তর বসানো হবে। এটি ‘ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন’ নামে পরিচিত, যা অনেকটা প্লাস্টিকের আচ্ছাদনের মতো। এর ওপর কয়েকস্তরের কার্পেটিং হবে। সব মিলিয়ে পুরু হবে প্রায় ১০০ মিলিমিটার।

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১ , ২৬ কার্তিক ১৪২৮ ৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

পদ্মা সেতুর সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পদ্মা সেতুকে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করতে সেতুর কংক্রিটের রোড স্ল্যাবের ওপর কার্পেটিংয়ের (বিটুমিনাস ওয়ার্ক) কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)। গতকাল সকাল পৌনে ১০টার দিক থেকে এ কাজ শুরু হয়। এটি দেখাশোনা করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সেতুর শেষ স্প্যান বসানো হয়। আর এখন পর্যন্ত মূল সেতুর ৯৫ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৮৯ শতাংশ এবং নদী শাসন কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮৬ শতাংশ। সেই সঙ্গে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে সংযোগ সড়কের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে সংযোগ সড়কের কাজ শেষে সেতুর স্প্যানের ওপর কংক্রিট রোড স্ল্যাব ও রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়। সেতুতে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব ও ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে। প্রকল্প সূত্র জানায়, রোড স্ল্যাব বসানোর মাধ্যমে যে কংক্রিটের পথ তৈরি হয়েছে, তার ওপর প্রথমে দুই মিলিমিটারের পানিনিরোধক একটি স্তর বসানো হবে। এটি ‘ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন’ নামে পরিচিত, যা অনেকটা প্লাস্টিকের আচ্ছাদনের মতো। এর ওপর কয়েকস্তরের কার্পেটিং হবে। সব মিলিয়ে পুরু হবে প্রায় ১০০ মিলিমিটার।