নগর উন্নয়নের গায়েব হওয়া ৭ নথির হদিস নেই ২ মাসেও

গায়েব হওয়ার দুই মাস পরেও হদিস মেলেনি নলছিটি পৌরসভার ২০২১-২২ অর্থবছরের নগর উন্নয়নের পরিমাপ বই (এমবি) ও ৭টি নথির। একটি স্বার্থান্বেষী মহলের লুটাপাটের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই এ নথি গায়েব করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যাতে নথি সংশ্লিষ্ট সকল অনিয়ম দুর্নীতির কোন প্রমাণ পাওয়া না যায়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. কামাল হোসেন পৌরসভার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন। পৌর মেয়র ও সচিবের বিরুদ্ধে এসব দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসককে এ তদন্তের নির্দেশনা দেয়া হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে গত ৯ সেপ্টেম্বর নথিগুলো হারানোর ঘটনায় পৌরসভা সচিব আবু হেনা মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৬ জুলাই নলছিটি থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন ক্যাশিয়ার রেখা বেগম। পরদিন ২৭ জুলাই বেলা ১১টায় নলছিটি হিসাবরক্ষকের কক্ষে রক্ষিত সকল নথিপত্র অনুসন্ধান করা হয়। এ সময় ২০২১-২২ অর্থ বছরের নগর উন্নয়নের ১ থেকে ৭ নম্বর নথি ও পরিমাপ বই, একই অর্থবছরের মেসার্স খন্দকার ব্রার্দাসের নামে থানার পোল থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা কার্পেটিং কাজের নথি ও পরিমাপ বই এবং ১টি পুরাতন রেজুলেশন বই খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেলে থানায় অবহিত করা হবে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়। ওই জিডির ১৭ দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর নলছিটি থানায় সচিব আরেকটি জিডি করেন। এ জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, আগের জিডিতে উল্লেখিত ফাইলের মধ্যে শুধুমাত্র মেসার্স খন্দকার ব্রার্দাসের নামে থানার পোল থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার কার্পেটিং কাজের নথি ও পরিমাপ বই পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রথম জিডিতে উল্লেখ্য বাকি ৭টি নথি, পরিমাপ বই ও ১টি রেজুলেশন বইয়ের এখনও সন্ধান পায়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে পৌরসভার সচিব আবু হেনা মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল বলেন, নথিগুলো অফিসে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তবে অফিস থেকে কিভাবে নগর উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো হারিয়ে গেল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ কারণেই জিডি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১ , ২৬ কার্তিক ১৪২৮ ৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

নগর উন্নয়নের গায়েব হওয়া ৭ নথির হদিস নেই ২ মাসেও

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি

গায়েব হওয়ার দুই মাস পরেও হদিস মেলেনি নলছিটি পৌরসভার ২০২১-২২ অর্থবছরের নগর উন্নয়নের পরিমাপ বই (এমবি) ও ৭টি নথির। একটি স্বার্থান্বেষী মহলের লুটাপাটের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই এ নথি গায়েব করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যাতে নথি সংশ্লিষ্ট সকল অনিয়ম দুর্নীতির কোন প্রমাণ পাওয়া না যায়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. কামাল হোসেন পৌরসভার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন। পৌর মেয়র ও সচিবের বিরুদ্ধে এসব দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসককে এ তদন্তের নির্দেশনা দেয়া হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে গত ৯ সেপ্টেম্বর নথিগুলো হারানোর ঘটনায় পৌরসভা সচিব আবু হেনা মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৬ জুলাই নলছিটি থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন ক্যাশিয়ার রেখা বেগম। পরদিন ২৭ জুলাই বেলা ১১টায় নলছিটি হিসাবরক্ষকের কক্ষে রক্ষিত সকল নথিপত্র অনুসন্ধান করা হয়। এ সময় ২০২১-২২ অর্থ বছরের নগর উন্নয়নের ১ থেকে ৭ নম্বর নথি ও পরিমাপ বই, একই অর্থবছরের মেসার্স খন্দকার ব্রার্দাসের নামে থানার পোল থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা কার্পেটিং কাজের নথি ও পরিমাপ বই এবং ১টি পুরাতন রেজুলেশন বই খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেলে থানায় অবহিত করা হবে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়। ওই জিডির ১৭ দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর নলছিটি থানায় সচিব আরেকটি জিডি করেন। এ জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, আগের জিডিতে উল্লেখিত ফাইলের মধ্যে শুধুমাত্র মেসার্স খন্দকার ব্রার্দাসের নামে থানার পোল থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার কার্পেটিং কাজের নথি ও পরিমাপ বই পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রথম জিডিতে উল্লেখ্য বাকি ৭টি নথি, পরিমাপ বই ও ১টি রেজুলেশন বইয়ের এখনও সন্ধান পায়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে পৌরসভার সচিব আবু হেনা মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল বলেন, নথিগুলো অফিসে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তবে অফিস থেকে কিভাবে নগর উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো হারিয়ে গেল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ কারণেই জিডি করা হয়েছে।