কেশবপুরে ঘেরের লিজ নিয়ে মুখোমুখি দু’পক্ষ

যশোরের কেশবপুরে বলধালী বিলের একটি মাছের ঘেরের দখল নিয়ে দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। উভয়পক্ষই জমির মালিকদের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করাতে বাড়ি বাড়ি ধরণা দিচ্ছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই বিলের ঘেরপাড়ে কৃষকরা পুনরায় ঘেরটি ৫ বছরের জন্য সেলিমুজ্জামান আসাদকে চুক্তিপত্র করায় সমাবেশ করেছে।

এলাকাবাসী জানায়, ২০০০ সাল থেকে কেশবপুর পৌরসভাসহ সদর ইউনিয়নের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল জলাবদ্ধ ছিল। কোন ফসল উৎপাদন হতো না। বছরে খাওয়ার ধান ঘরে না থাকায় কৃষক পরিবারে অভাব অনটন দেখা দেয়। ১৫ বছর আগে সেচ দিয়ে বোরো আবাদের শর্তে বলধালীর সাচির বিলের ৫০ বিঘা জমি এলাকার কৃষকরা কেশবপুরের ঘের ব্যবসায়ী সেলিমুুজ্জামান আসাদকে ৬ বছরের জন্যে চুক্তিপত্র করে দেয়। যার ক্যানেল বেঁড়ি ৪৫ হাজার, সাদা জমি ১৪ হাজার টাকা। আগামী ২০২২ সালের ১৩ মার্চ ওই ঘেরের চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হবে। গত ৬ বছর কৃষকরা তাদের জমির হারির টাকা সময় মতো পাওয়ায় পুনরায় ঘেরটি সেলিমুজ্জামান আসাদকে দেয়ার জন্য আগামী ৫ বছরের জন্যে চুক্তিপত্র করে দেয়। যাতে ওই ঘেরের ৭০ জন জমির মালিকের মধ্যে ৫৫ জন সেলিমুজ্জামান আসাদের পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে।

কৃষক নুর আলী অভিযোগ করেন, বোরো মৌসুমে ওই ঘেরের ধান বর্ষার পানিতে তলিয়ে গেলে ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ অতিরিক্ত টাকা ব্যয়ে স্যালোমেশিন দিয়ে ঘেরের পানি নিষ্কাশন করে থাকে। যে কারণে জমির মালিকরা পুনরায় ঘেরটি তাকে দেয়ার জন্যে চুক্তিপত্র করে দিয়েছে। ওই ঘেরে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার মাছ রয়েছে। এই মাছ আত্মসাতের জন্য মূলগ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, লুৎফর রহমানসহ ৪-৫ জন ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করছে। বর্তমান তারা ঘেরটির দখল নিতে কৃষকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করানোর চেষ্টা চালিযে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় তারা এলাকার হিন্দুপাড়ার লোকদের বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করাচ্ছে বলে অভিযোগ। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার বিকেলে ঘের পাড়ে কৃষক আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে জমির মালিকদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ওয়াজেদ আলী, নুর আলী সরদার, মিনতি বিশ্বাস, মিনা বিশ্বাস প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১ , ২৬ কার্তিক ১৪২৮ ৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

কেশবপুরে ঘেরের লিজ নিয়ে মুখোমুখি দু’পক্ষ

প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে বলধালী বিলের একটি মাছের ঘেরের দখল নিয়ে দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। উভয়পক্ষই জমির মালিকদের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করাতে বাড়ি বাড়ি ধরণা দিচ্ছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই বিলের ঘেরপাড়ে কৃষকরা পুনরায় ঘেরটি ৫ বছরের জন্য সেলিমুজ্জামান আসাদকে চুক্তিপত্র করায় সমাবেশ করেছে।

এলাকাবাসী জানায়, ২০০০ সাল থেকে কেশবপুর পৌরসভাসহ সদর ইউনিয়নের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল জলাবদ্ধ ছিল। কোন ফসল উৎপাদন হতো না। বছরে খাওয়ার ধান ঘরে না থাকায় কৃষক পরিবারে অভাব অনটন দেখা দেয়। ১৫ বছর আগে সেচ দিয়ে বোরো আবাদের শর্তে বলধালীর সাচির বিলের ৫০ বিঘা জমি এলাকার কৃষকরা কেশবপুরের ঘের ব্যবসায়ী সেলিমুুজ্জামান আসাদকে ৬ বছরের জন্যে চুক্তিপত্র করে দেয়। যার ক্যানেল বেঁড়ি ৪৫ হাজার, সাদা জমি ১৪ হাজার টাকা। আগামী ২০২২ সালের ১৩ মার্চ ওই ঘেরের চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হবে। গত ৬ বছর কৃষকরা তাদের জমির হারির টাকা সময় মতো পাওয়ায় পুনরায় ঘেরটি সেলিমুজ্জামান আসাদকে দেয়ার জন্য আগামী ৫ বছরের জন্যে চুক্তিপত্র করে দেয়। যাতে ওই ঘেরের ৭০ জন জমির মালিকের মধ্যে ৫৫ জন সেলিমুজ্জামান আসাদের পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে।

কৃষক নুর আলী অভিযোগ করেন, বোরো মৌসুমে ওই ঘেরের ধান বর্ষার পানিতে তলিয়ে গেলে ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ অতিরিক্ত টাকা ব্যয়ে স্যালোমেশিন দিয়ে ঘেরের পানি নিষ্কাশন করে থাকে। যে কারণে জমির মালিকরা পুনরায় ঘেরটি তাকে দেয়ার জন্যে চুক্তিপত্র করে দিয়েছে। ওই ঘেরে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার মাছ রয়েছে। এই মাছ আত্মসাতের জন্য মূলগ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, লুৎফর রহমানসহ ৪-৫ জন ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করছে। বর্তমান তারা ঘেরটির দখল নিতে কৃষকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করানোর চেষ্টা চালিযে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় তারা এলাকার হিন্দুপাড়ার লোকদের বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করাচ্ছে বলে অভিযোগ। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার বিকেলে ঘের পাড়ে কৃষক আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে জমির মালিকদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ওয়াজেদ আলী, নুর আলী সরদার, মিনতি বিশ্বাস, মিনা বিশ্বাস প্রমুখ।