গরিবের বয়স্ক ভাতায় ধনীর থাবা

নওগাঁর মহাদেবপুরে গরিব, অসহায় ও হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকরা বয়স্কভাতা ও বিধবা ভাতার কার্ড প্রকৃত হতদরিদ্ররা না পেয়ে পাচ্ছেন বিত্তশালীরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৬ হাজার ৮৭৮ জনের। এদের মধ্যে ভাতা দেয়া হবে ৫ হাজার ৩৮০ জনকে। বিধবা ভাতার জন্য আবেদন জমা হয় ৭ হাজার ৪১২ জনের আবেদন। এদের মধ্যে ভাতা পাবেন ৩ হাজার ৭১০ জন। কিন্তু ভাতা পাবার যোগ্যদের তালিকায় অনেক বিত্তশালীদের নাম দেখা গেছে। বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের প-িতপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওইগ্রামের প্রয়াত শ্রীনাথের ছেলে দিবাকরের (৬৬) নাম তালিকায় রয়েছে। তার পাকা দোতলা বাড়ি রয়েছে। রয়েছে প্রায় ১৮ বিঘা জমি। নাম রয়েছে প্রায় ২২ বিঘা জমির মালিক ফতেন্দ্রনাথের স্ত্রী প্রমদা বালার। জানতে চাইলে দিবাকরের ছেলে কমল বর্মণ বলেন, ‘বয়স্কভাতা দেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাইকিং করে ৬৫ বছরের উর্ধে সকলের নিকট থেকে আবেদন চাওয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে বাবার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। ভাতা দেবে কিনা সেটা কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।’ চাঁন্দাশ ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদান নবী রিপন বলেন, বয়স্কভাতা দেয়ার জন্য ৬৫ বছরের উপরের লোকজনের নিকট আবেদন চাওয়া হয়েছিল। যাচাই বাছাই করে যাদের ভাতা পাওয়া জরুরী তাদেরই আগে দেয়া হবে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন, বয়স্ক ও বিধবাভাতা হতদরিদ্রদের জন্য। হতদরিদ্ররা না পেয়ে কোন অবস্থাসম্পন্ন মানুষ যদি পেয়ে থাকেন, তদন্ত সাপেক্ষে তা বাতিল করে হতদরিদ্রদেরকেই দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১ , ২৬ কার্তিক ১৪২৮ ৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

গরিবের বয়স্ক ভাতায় ধনীর থাবা

প্রতিনিধি, মহাদেবপুর (নওগাঁ)

নওগাঁর মহাদেবপুরে গরিব, অসহায় ও হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকরা বয়স্কভাতা ও বিধবা ভাতার কার্ড প্রকৃত হতদরিদ্ররা না পেয়ে পাচ্ছেন বিত্তশালীরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৬ হাজার ৮৭৮ জনের। এদের মধ্যে ভাতা দেয়া হবে ৫ হাজার ৩৮০ জনকে। বিধবা ভাতার জন্য আবেদন জমা হয় ৭ হাজার ৪১২ জনের আবেদন। এদের মধ্যে ভাতা পাবেন ৩ হাজার ৭১০ জন। কিন্তু ভাতা পাবার যোগ্যদের তালিকায় অনেক বিত্তশালীদের নাম দেখা গেছে। বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের প-িতপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওইগ্রামের প্রয়াত শ্রীনাথের ছেলে দিবাকরের (৬৬) নাম তালিকায় রয়েছে। তার পাকা দোতলা বাড়ি রয়েছে। রয়েছে প্রায় ১৮ বিঘা জমি। নাম রয়েছে প্রায় ২২ বিঘা জমির মালিক ফতেন্দ্রনাথের স্ত্রী প্রমদা বালার। জানতে চাইলে দিবাকরের ছেলে কমল বর্মণ বলেন, ‘বয়স্কভাতা দেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাইকিং করে ৬৫ বছরের উর্ধে সকলের নিকট থেকে আবেদন চাওয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে বাবার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। ভাতা দেবে কিনা সেটা কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।’ চাঁন্দাশ ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদান নবী রিপন বলেন, বয়স্কভাতা দেয়ার জন্য ৬৫ বছরের উপরের লোকজনের নিকট আবেদন চাওয়া হয়েছিল। যাচাই বাছাই করে যাদের ভাতা পাওয়া জরুরী তাদেরই আগে দেয়া হবে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন, বয়স্ক ও বিধবাভাতা হতদরিদ্রদের জন্য। হতদরিদ্ররা না পেয়ে কোন অবস্থাসম্পন্ন মানুষ যদি পেয়ে থাকেন, তদন্ত সাপেক্ষে তা বাতিল করে হতদরিদ্রদেরকেই দেয়া হবে।