জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়া বাড়ানোকে যৌক্তিক বললেন অর্থমন্ত্রী

ডিজেলের দাম এবং গণপরিবহণের ভাড়া বাড়ানোকে যৌক্তিক বলছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পুরোটাই যৌক্তিক। সরকার কোত্থেকে টাকা পাবে? রাজস্ব অর্জন করেই সরকারকে কাজ করতে হচ্ছে। তারপরও সরকার যতটুকু সম্ভব এটা সামঞ্জস্য করে দেয়। ভালো দিক দেখবেন না?’

গতকাল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত জানানোর সময় তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তেলের দাম কি আমরা বাড়িয়েছি? আমাদের সরকার বাড়িয়ে দিয়েছে?

কোনো জাহাজে যদি করোনা আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়, তাহলে সেই জাহাজ কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাওয়া হয়। জাহাজ চলতে না পেরে মাসের পর মাস সাগরে আটকে আছে, সেই চার্জ শিপিং কোম্পানিকে করা হয়। চার্জগুলো সব একত্র হয়ে পুরো চার্জটা আমরা পাই।’

ডিজেলের দাম বাড়ানোয় মানুষের জীবনযাত্রার ওপর চাপ পড়ছে, এর কোনো বিকল্প ছিল কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটা স্বীকার করি। যখন দাম কমে আমরা দাম কমাই, যখন দাম বাড়ে আমরা বাড়াই। আগামী মিটিংয়ে আমরা আপনাদের জানাব গত দুই বছর কী পরিমাণ ডিজেলের দাম বেড়েছে, আর আমরা কতটা বাড়িয়েছি। আপনারা তাহলে বুঝতে পারবেন সরকার কতটা বহন করতে পারে। এর সঙ্গে ভোক্তাদেরও কিছুটা বহন করতে হবে।’

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জ্বালানি থেকে ৪৩ হাজার কোটি টাকা আয় করলেও জ্বালানির দাম কেন কমেনি- এই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে সেফটিনেট প্রকল্পগুলো আছে, এগুলো তো সরকার টাকা প্রিন্ট করে চালাচ্ছে না। সরকারকে টাকা আয় করে চালাতে হয়। এগুলো তো শেয়ার করতে হয়। তারপরও সরকার যতটুকু পারে শেয়ারিং করে। সামান্য যেটা না হলে না, সেটা ভোক্তাদের ওপর দেয়।’

ডিজেলের দাম বাড়ার পর গণপরিবহণের ভাড়া যেভাবে বাড়ানো হয়েছে তা পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগে আমাকে জানতে হবে দাম বৃদ্ধির কারণ। এ বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব। যদি দেখি কোনো ভিত্তি ছাড়া দাম বাড়ানো হয়েছে, সেটা বিবেচনার অবশ্যই সুযোগ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১ , ২৬ কার্তিক ১৪২৮ ৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়া বাড়ানোকে যৌক্তিক বললেন অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ডিজেলের দাম এবং গণপরিবহণের ভাড়া বাড়ানোকে যৌক্তিক বলছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পুরোটাই যৌক্তিক। সরকার কোত্থেকে টাকা পাবে? রাজস্ব অর্জন করেই সরকারকে কাজ করতে হচ্ছে। তারপরও সরকার যতটুকু সম্ভব এটা সামঞ্জস্য করে দেয়। ভালো দিক দেখবেন না?’

গতকাল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত জানানোর সময় তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তেলের দাম কি আমরা বাড়িয়েছি? আমাদের সরকার বাড়িয়ে দিয়েছে?

কোনো জাহাজে যদি করোনা আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়, তাহলে সেই জাহাজ কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাওয়া হয়। জাহাজ চলতে না পেরে মাসের পর মাস সাগরে আটকে আছে, সেই চার্জ শিপিং কোম্পানিকে করা হয়। চার্জগুলো সব একত্র হয়ে পুরো চার্জটা আমরা পাই।’

ডিজেলের দাম বাড়ানোয় মানুষের জীবনযাত্রার ওপর চাপ পড়ছে, এর কোনো বিকল্প ছিল কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটা স্বীকার করি। যখন দাম কমে আমরা দাম কমাই, যখন দাম বাড়ে আমরা বাড়াই। আগামী মিটিংয়ে আমরা আপনাদের জানাব গত দুই বছর কী পরিমাণ ডিজেলের দাম বেড়েছে, আর আমরা কতটা বাড়িয়েছি। আপনারা তাহলে বুঝতে পারবেন সরকার কতটা বহন করতে পারে। এর সঙ্গে ভোক্তাদেরও কিছুটা বহন করতে হবে।’

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জ্বালানি থেকে ৪৩ হাজার কোটি টাকা আয় করলেও জ্বালানির দাম কেন কমেনি- এই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে সেফটিনেট প্রকল্পগুলো আছে, এগুলো তো সরকার টাকা প্রিন্ট করে চালাচ্ছে না। সরকারকে টাকা আয় করে চালাতে হয়। এগুলো তো শেয়ার করতে হয়। তারপরও সরকার যতটুকু পারে শেয়ারিং করে। সামান্য যেটা না হলে না, সেটা ভোক্তাদের ওপর দেয়।’

ডিজেলের দাম বাড়ার পর গণপরিবহণের ভাড়া যেভাবে বাড়ানো হয়েছে তা পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগে আমাকে জানতে হবে দাম বৃদ্ধির কারণ। এ বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব। যদি দেখি কোনো ভিত্তি ছাড়া দাম বাড়ানো হয়েছে, সেটা বিবেচনার অবশ্যই সুযোগ রয়েছে।