২৬তম জলবায়ু সম্মেলন চুক্তির খসড়া প্রকাশ

২৬তম জলবায়ু সম্মেলন বা কপ২৬ চুক্তির প্রথম খসড়া প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থা । জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বিভিন্ন দেশগুলোর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত খসড়া কপ২৬ শীর্ষ সম্মেলনের শেষে প্রকাশ করা হবে।

আগামী শুক্রবার গ্লাসগোতে কপ২৬ সম্মেলন শেষ হবে। তার আগে প্রায় ২০০ দেশের আলোচকরা খসড়া থেকে চূড়ান্ত চুক্তিতে যাওয়ার বিষয়ে কাজ করবেন। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শুরু হওয়া কপ২৬ সম্মেলনকে প্যারিস চুক্তি-পরবর্তী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সম্মেলন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বায়ুমণ্ডলের অধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পৃথিবীর জন্য নতুন বিপত্তি ডেকে আনছে। এতে করে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে জলবায়ু ঝুঁকিতে পড়বে। যা এখনই বেড়ে ৪৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পদের যে ক্ষতি করছে ২০৩০ সালে তার থেকে দ্বিগুণ করবে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিলের প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশের জন্য ৪১৩ মিলিয়ন নতুন অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। ১০০ বিলিয়নের জায়গায় অর্ধবিলিয়নও প্রতিশ্রুতি মেলেনি উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে। এবারের সম্মেলনে পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও চিলির মতো বড় বড় কয়লা ব্যবহারকারী দেশ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পৃথিবীর জন্য নতুন বাধা বায়ুমণ্ডলের অধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি। ফলে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে জলবায়ু ঝুঁঁকিতে পড়বে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পদের যে ক্ষতি করছে ২০৩০ সালে তার থেকে দ্বিগুণ করবে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রতিরোধসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশগুলো ইতোমধ্যে একটি লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে কাজ করছে।

জলবায়ু অভিযোজন তহবিলে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা :

ফসল চক্রের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রাণবৈচিত্র্যেরও বেশ পরিবর্তন এসেছে। ষড়ঋতুর দেশে এখন শরত ও হেমন্তকাল ঋতুচক্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দাবদাহ বাড়ছে। শৈত্যপ্রবাহ বাড়ছে। এসব মোকাবিলায় অভিযোজন ফান্ড গঠন করা হয়। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর স্কটিশ ইভেন্ট সেন্টারে নতুন অভিযোজন তহবিল ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক সরকারগুলোর অবদান থেকে নতুন করে ২৩২ মিলিয়ন ডলারের অভিযোজন তহবিলের প্রতিশ্রুতি এসেছে।

১৩ দেশ ও অঞ্চল তহবিলের জন্য নতুন অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে। যারা নতুন অর্থায়নের অঙ্গীকার করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও কাতার। এর আগে অভিযোজন তহবিল ছিল ১২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের যা তিন বছর আগে পোল্যান্ডে ঘোষণা করা হয়।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই জলবায়ু তহবিলে অর্থায়নের বিরোধিতা করে আসছিলেন। তবে জো বাইডেন জলবায়ু ফান্ডে অর্থায়নের বিষয়ে বরাবর ইতিবাচক ছিলেন। মূলত এসব কারণেই তিনি ক্ষমতায় আসার পর অভিযোজন তহবিলে অর্থায়ন করলো যুক্তরাষ্ট্র। জলবায়ুচক্রে টালমাটাল পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এই তহবিল ব্যবহার করা হবে।

১৯৯২ সালের গৃহীত জাতিসংঘ জলবায়ু সনদ শিল্পোন্নত ধনী দেশগুলোর অনেকেই মানছে না। ফলে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা ঘন ঘন আঘাত হানছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশে। নতুন তহবিল সব রিসোর্স মোবিলাইজেশনের লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গেছে। এ খাতে যে অর্থ পাইপলাইনে আছে তা আগামীতে ৩০০ মিলিয়ন ছাড়াবে। মূলত জলবায়ু প্রকল্প বাস্তবায়নে এগুলো ব্যয় হবে। অনেক দেশ প্রথমবারের ফান্ড দিয়েছে যা অতীতের তুলনায় উল্লেখযোগ্যহারে বেশি ছিল। ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জার্মানি ৫৮ দশমিক ২, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৫০, স্পেন ৩৫, যুক্তরাজ্য ২০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সুইডেন ২০১৯ থেকে ২০২২ অর্থবছরে ৫৩ মিলিয়নের প্রতিশ্রুতির মধ্যে ১৫ ডলার ছাড় করেছে।

সুইজারল্যান্ড ১০, নরওয়ে ৮ দশমিক ৩৮, ফিনল্যান্ড ৮ দশমিক ১, কানাডার জাতীয় সরকার ৮ দশমিক ১, কুইবেক আঞ্চলিক সরকার ৮ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আয়ারল্যান্ড ১০ মিলিয়ন ইউরো, বেলজিয়ামের ফ্ল্যান্ডার্স অঞ্চল ৩ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন এবং কাতার ৫ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সম্মেলন শেষ হওয়ার আগে তহবিল আরও বাড়তে পারে। অভিযোজন তহবিলের উচ্চ আশা ছিল, যা প্রায় ৪০ হাজার অংশগ্রহণকারীকে আকৃষ্ট করেছে। সম্মেলনের শীর্ষ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি ছিল অভিযোজন কর্মকে উন্নত করা। সরকার, সুবিধাভোগী এবং সমর্থকের উন্নয়নে ফান্ড ব্যবহার করা হবে। জলবায়ু অভিযোজন তহবিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ম্যাটিয়াস ব্রোম্যান বলেন, যেহেতু অভিযোজন তহবিল গত বেশ কয়েক বছর ধরে রেকর্ড চাহিদার সম্মুখীন হয়েছে। তাই আমাদের দ্রুত প্রয়োজনীয় অভিযোজন পদক্ষেপ এবং তহবিল সংগ্রহ করতে হবে। বাস্তব, কার্যকর, পরিমাপযোগ্য এবং উদ্ভাবনী পদক্ষেপ প্রয়োগে এই সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। তবে এ খাতে অর্থায়ন সংগ্রহ বাড়ছে। সামনে আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।

জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোজন এখনো সঠিকভাবে পরিমাপ করা কঠিন। জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রতিকূল প্রভাবগুলো মূল্যায়ন করা এবং যাচাই করার জন্য এই ফান্ড ব্যবহার করা হবে। জলবায়ু সম্মেলন থেকে জানানো হয়, পরিবেশ বিধ্বংসী পদক্ষেপগুলো নেওয়া বন্ধ করতে হবে। পানি, বায়ু ও মাটি দূষণ ঠেকাতে হবে।

অভিযোজনের দ্বিতীয় পর্যায়ে পৃথিবী। তাই, এখন দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামোগুলোতে বিনিয়োগ যেমন- সেতু, রাস্তা, বিমানবন্দর এবং নৌবন্দরগুলোর বিষয় বিবেচনা করতে হবে। যাতে সেগুলো ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহিষ্ণু হয়।

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১ , ২৬ কার্তিক ১৪২৮ ৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

২৬তম জলবায়ু সম্মেলন চুক্তির খসড়া প্রকাশ

image

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘের ২৬তম জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা -রয়টার্স

২৬তম জলবায়ু সম্মেলন বা কপ২৬ চুক্তির প্রথম খসড়া প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থা । জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বিভিন্ন দেশগুলোর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত খসড়া কপ২৬ শীর্ষ সম্মেলনের শেষে প্রকাশ করা হবে।

আগামী শুক্রবার গ্লাসগোতে কপ২৬ সম্মেলন শেষ হবে। তার আগে প্রায় ২০০ দেশের আলোচকরা খসড়া থেকে চূড়ান্ত চুক্তিতে যাওয়ার বিষয়ে কাজ করবেন। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শুরু হওয়া কপ২৬ সম্মেলনকে প্যারিস চুক্তি-পরবর্তী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সম্মেলন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বায়ুমণ্ডলের অধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পৃথিবীর জন্য নতুন বিপত্তি ডেকে আনছে। এতে করে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে জলবায়ু ঝুঁকিতে পড়বে। যা এখনই বেড়ে ৪৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পদের যে ক্ষতি করছে ২০৩০ সালে তার থেকে দ্বিগুণ করবে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিলের প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশের জন্য ৪১৩ মিলিয়ন নতুন অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। ১০০ বিলিয়নের জায়গায় অর্ধবিলিয়নও প্রতিশ্রুতি মেলেনি উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে। এবারের সম্মেলনে পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও চিলির মতো বড় বড় কয়লা ব্যবহারকারী দেশ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পৃথিবীর জন্য নতুন বাধা বায়ুমণ্ডলের অধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি। ফলে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে জলবায়ু ঝুঁঁকিতে পড়বে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পদের যে ক্ষতি করছে ২০৩০ সালে তার থেকে দ্বিগুণ করবে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রতিরোধসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশগুলো ইতোমধ্যে একটি লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে কাজ করছে।

জলবায়ু অভিযোজন তহবিলে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা :

ফসল চক্রের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রাণবৈচিত্র্যেরও বেশ পরিবর্তন এসেছে। ষড়ঋতুর দেশে এখন শরত ও হেমন্তকাল ঋতুচক্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দাবদাহ বাড়ছে। শৈত্যপ্রবাহ বাড়ছে। এসব মোকাবিলায় অভিযোজন ফান্ড গঠন করা হয়। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর স্কটিশ ইভেন্ট সেন্টারে নতুন অভিযোজন তহবিল ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক সরকারগুলোর অবদান থেকে নতুন করে ২৩২ মিলিয়ন ডলারের অভিযোজন তহবিলের প্রতিশ্রুতি এসেছে।

১৩ দেশ ও অঞ্চল তহবিলের জন্য নতুন অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে। যারা নতুন অর্থায়নের অঙ্গীকার করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও কাতার। এর আগে অভিযোজন তহবিল ছিল ১২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের যা তিন বছর আগে পোল্যান্ডে ঘোষণা করা হয়।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই জলবায়ু তহবিলে অর্থায়নের বিরোধিতা করে আসছিলেন। তবে জো বাইডেন জলবায়ু ফান্ডে অর্থায়নের বিষয়ে বরাবর ইতিবাচক ছিলেন। মূলত এসব কারণেই তিনি ক্ষমতায় আসার পর অভিযোজন তহবিলে অর্থায়ন করলো যুক্তরাষ্ট্র। জলবায়ুচক্রে টালমাটাল পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এই তহবিল ব্যবহার করা হবে।

১৯৯২ সালের গৃহীত জাতিসংঘ জলবায়ু সনদ শিল্পোন্নত ধনী দেশগুলোর অনেকেই মানছে না। ফলে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা ঘন ঘন আঘাত হানছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশে। নতুন তহবিল সব রিসোর্স মোবিলাইজেশনের লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গেছে। এ খাতে যে অর্থ পাইপলাইনে আছে তা আগামীতে ৩০০ মিলিয়ন ছাড়াবে। মূলত জলবায়ু প্রকল্প বাস্তবায়নে এগুলো ব্যয় হবে। অনেক দেশ প্রথমবারের ফান্ড দিয়েছে যা অতীতের তুলনায় উল্লেখযোগ্যহারে বেশি ছিল। ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জার্মানি ৫৮ দশমিক ২, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৫০, স্পেন ৩৫, যুক্তরাজ্য ২০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সুইডেন ২০১৯ থেকে ২০২২ অর্থবছরে ৫৩ মিলিয়নের প্রতিশ্রুতির মধ্যে ১৫ ডলার ছাড় করেছে।

সুইজারল্যান্ড ১০, নরওয়ে ৮ দশমিক ৩৮, ফিনল্যান্ড ৮ দশমিক ১, কানাডার জাতীয় সরকার ৮ দশমিক ১, কুইবেক আঞ্চলিক সরকার ৮ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আয়ারল্যান্ড ১০ মিলিয়ন ইউরো, বেলজিয়ামের ফ্ল্যান্ডার্স অঞ্চল ৩ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন এবং কাতার ৫ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সম্মেলন শেষ হওয়ার আগে তহবিল আরও বাড়তে পারে। অভিযোজন তহবিলের উচ্চ আশা ছিল, যা প্রায় ৪০ হাজার অংশগ্রহণকারীকে আকৃষ্ট করেছে। সম্মেলনের শীর্ষ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি ছিল অভিযোজন কর্মকে উন্নত করা। সরকার, সুবিধাভোগী এবং সমর্থকের উন্নয়নে ফান্ড ব্যবহার করা হবে। জলবায়ু অভিযোজন তহবিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ম্যাটিয়াস ব্রোম্যান বলেন, যেহেতু অভিযোজন তহবিল গত বেশ কয়েক বছর ধরে রেকর্ড চাহিদার সম্মুখীন হয়েছে। তাই আমাদের দ্রুত প্রয়োজনীয় অভিযোজন পদক্ষেপ এবং তহবিল সংগ্রহ করতে হবে। বাস্তব, কার্যকর, পরিমাপযোগ্য এবং উদ্ভাবনী পদক্ষেপ প্রয়োগে এই সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। তবে এ খাতে অর্থায়ন সংগ্রহ বাড়ছে। সামনে আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।

জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোজন এখনো সঠিকভাবে পরিমাপ করা কঠিন। জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রতিকূল প্রভাবগুলো মূল্যায়ন করা এবং যাচাই করার জন্য এই ফান্ড ব্যবহার করা হবে। জলবায়ু সম্মেলন থেকে জানানো হয়, পরিবেশ বিধ্বংসী পদক্ষেপগুলো নেওয়া বন্ধ করতে হবে। পানি, বায়ু ও মাটি দূষণ ঠেকাতে হবে।

অভিযোজনের দ্বিতীয় পর্যায়ে পৃথিবী। তাই, এখন দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামোগুলোতে বিনিয়োগ যেমন- সেতু, রাস্তা, বিমানবন্দর এবং নৌবন্দরগুলোর বিষয় বিবেচনা করতে হবে। যাতে সেগুলো ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহিষ্ণু হয়।