গত কয়েক বছর ধরে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিকভাবে যে হয়রানি প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে বিএনপি দেশ-বিদেশে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলটির মহাসচিব এ কথা জানান। গত সোমবার রাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারেক রহমান স্থায়ী কমিটির এ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
সভা থেকে দেশের কয়েকটি জেলার দুর্গাপূজাম-পে, মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢালাওভাবে আসামি করে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও হয়রানির নিন্দা জানানো হয়।
স্থায়ী কমিটির এ সভায় সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি অভিযোগ করে, ‘এ ধরনের হত্যাকা- পৃথিবীর আর কোন সীমান্তে সংঘটিত হয় না।’
সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই এই হত্যাকা- সংঘটিত হচ্ছে মনে করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এ ধরনের হত্যাকা- বন্ধে ভারত এবং বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১ , ২৬ কার্তিক ১৪২৮ ৫ রবিউস সানি ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
গত কয়েক বছর ধরে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিকভাবে যে হয়রানি প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে বিএনপি দেশ-বিদেশে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলটির মহাসচিব এ কথা জানান। গত সোমবার রাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারেক রহমান স্থায়ী কমিটির এ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
সভা থেকে দেশের কয়েকটি জেলার দুর্গাপূজাম-পে, মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢালাওভাবে আসামি করে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও হয়রানির নিন্দা জানানো হয়।
স্থায়ী কমিটির এ সভায় সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি অভিযোগ করে, ‘এ ধরনের হত্যাকা- পৃথিবীর আর কোন সীমান্তে সংঘটিত হয় না।’
সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই এই হত্যাকা- সংঘটিত হচ্ছে মনে করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এ ধরনের হত্যাকা- বন্ধে ভারত এবং বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।