যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো শহীদ নূর হোসেন দিবস। নূর হোসেন দিবসটি বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন-সংগ্রামে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হন নূর হোসেন। তার এই আত্মত্যাগ সেই সময়ে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করে তুলেছিল।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বরে হাজারও প্রতিবাদীর সঙ্গে জীবন্ত পোস্টার হয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলেন যুবলীগ কর্মী নূর হোসেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারী হাজারও মানুষের মধ্য থেকে নূর হোসেনকে আলাদা করে ফেলেছিল একটি সেøাগান ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’। সবাই যখন ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে মিছিলে যোগ দেন নূর হোসেন তখন তার বুকে পিঠে এই সেøাগান লিখে আন্দোলনকে করে তুলেছিলেন গতিশীল।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নির্ভীক সেই যুবকের আগুনে স্লোগান সহ্য হয়নি তৎকালীন স্বৈরশাসকের। সেই সময় স্বৈরশাসকের লেলিয়ে দেয়া বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নূর হোসেনের বুক ঝাঁঝরা করে দেয়। এই আন্দোলনে আরও শহীদ হন যুবলীগ নেতা নুরুল হুদা বাবুল ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটোও। নূর হোসেনের আত্মত্যাগ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে করে তুলেছিল অপ্রতিরোধ্য। স্বৈরশাসকের পতন ঘটাতে রেখেছিল বড় ভূমিকা।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। গতকাল সকালে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন স্কয়ারে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রথমে দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ নূর হোসেনের সংগঠন যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
গতকাল শহীদ হন নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে তরুণদের র্যালি -সংবাদ
আরও খবরবৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১ , ২৬ কার্তিক ১৪২৮ ৫ রবিউস সানি ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
গতকাল শহীদ হন নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে তরুণদের র্যালি -সংবাদ
যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো শহীদ নূর হোসেন দিবস। নূর হোসেন দিবসটি বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন-সংগ্রামে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হন নূর হোসেন। তার এই আত্মত্যাগ সেই সময়ে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করে তুলেছিল।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বরে হাজারও প্রতিবাদীর সঙ্গে জীবন্ত পোস্টার হয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলেন যুবলীগ কর্মী নূর হোসেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারী হাজারও মানুষের মধ্য থেকে নূর হোসেনকে আলাদা করে ফেলেছিল একটি সেøাগান ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’। সবাই যখন ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে মিছিলে যোগ দেন নূর হোসেন তখন তার বুকে পিঠে এই সেøাগান লিখে আন্দোলনকে করে তুলেছিলেন গতিশীল।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নির্ভীক সেই যুবকের আগুনে স্লোগান সহ্য হয়নি তৎকালীন স্বৈরশাসকের। সেই সময় স্বৈরশাসকের লেলিয়ে দেয়া বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নূর হোসেনের বুক ঝাঁঝরা করে দেয়। এই আন্দোলনে আরও শহীদ হন যুবলীগ নেতা নুরুল হুদা বাবুল ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটোও। নূর হোসেনের আত্মত্যাগ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে করে তুলেছিল অপ্রতিরোধ্য। স্বৈরশাসকের পতন ঘটাতে রেখেছিল বড় ভূমিকা।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। গতকাল সকালে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন স্কয়ারে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রথমে দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ নূর হোসেনের সংগঠন যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।