গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছভর্তি ফি বাতিলের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে আটটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন।
গতকাল দুপুরে শাহবাগ মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে এই মানববন্ধন করে সংগঠনগুলো। মানববন্ধনে বক্তাদের পেশ করা অন্য দুটি দাবি হলো, ফি ছাড়াই ফল পুনরায় যাচাইয়ের সুযোগ, অথবা আবার পরীক্ষা নিয়ে মেধাক্রম প্রকাশ করার সুযোগ থাকতে হবে এবং গুচ্ছতে সেকেন্ড টাইম বহাল রাখতে হবে।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার বলেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গুচ্ছের নামে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে পাঁয়তারা করছে, তা বন্ধ করতে হবে। আমাদের যে তিন দফা দাবি রয়েছে, তা মেনে নিতে হবে। নতুবা আমরা সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবো।’
মুনিরুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম যে, গুচ্ছ পদ্ধতি আমাদের জন্য সুবিধাজনক হবে। কিন্তু না, আমরা এখন দেখছি যে, এটা প্রতিনিয়ত আমাদের পকেট কাটছে। কোনও নিয়ম-শৃঙ্খলা না মেনে যেভাবে ইচ্ছে পরীক্ষা নিচ্ছে এবং যেভাবে ইচ্ছে রেজাল্ট দিচ্ছে। তারা শিক্ষার্থীদেরকে টাকার ব্যাংক পেয়েছে। যে যেভাবে পারছে লুটছে। কত ছাত্র আছে যারা ঠিকমতো খেতে পারে না, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়, বাধ্য হয়ে মাঠে ময়দানে কাজ করতে হয়। তাদের মতো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বারবার টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।’
মানববন্ধন শেষে সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা স্মারকলিপি জমা দেয়ার জন্য ইউজিসির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে যান। সেখানে ইউজিসির চেয়ারম্যান না থাকায় তার প্রেস সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা। স্মারকলিপি জমা দেয়ার পর ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১ , ২৬ কার্তিক ১৪২৮ ৫ রবিউস সানি ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছভর্তি ফি বাতিলের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে আটটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন।
গতকাল দুপুরে শাহবাগ মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে এই মানববন্ধন করে সংগঠনগুলো। মানববন্ধনে বক্তাদের পেশ করা অন্য দুটি দাবি হলো, ফি ছাড়াই ফল পুনরায় যাচাইয়ের সুযোগ, অথবা আবার পরীক্ষা নিয়ে মেধাক্রম প্রকাশ করার সুযোগ থাকতে হবে এবং গুচ্ছতে সেকেন্ড টাইম বহাল রাখতে হবে।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার বলেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গুচ্ছের নামে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে পাঁয়তারা করছে, তা বন্ধ করতে হবে। আমাদের যে তিন দফা দাবি রয়েছে, তা মেনে নিতে হবে। নতুবা আমরা সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবো।’
মুনিরুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম যে, গুচ্ছ পদ্ধতি আমাদের জন্য সুবিধাজনক হবে। কিন্তু না, আমরা এখন দেখছি যে, এটা প্রতিনিয়ত আমাদের পকেট কাটছে। কোনও নিয়ম-শৃঙ্খলা না মেনে যেভাবে ইচ্ছে পরীক্ষা নিচ্ছে এবং যেভাবে ইচ্ছে রেজাল্ট দিচ্ছে। তারা শিক্ষার্থীদেরকে টাকার ব্যাংক পেয়েছে। যে যেভাবে পারছে লুটছে। কত ছাত্র আছে যারা ঠিকমতো খেতে পারে না, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়, বাধ্য হয়ে মাঠে ময়দানে কাজ করতে হয়। তাদের মতো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বারবার টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।’
মানববন্ধন শেষে সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা স্মারকলিপি জমা দেয়ার জন্য ইউজিসির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে যান। সেখানে ইউজিসির চেয়ারম্যান না থাকায় তার প্রেস সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা। স্মারকলিপি জমা দেয়ার পর ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী এ তথ্য জানান।