নারীদের ফিস্টুলা প্রতিরোধে হাসপাতালে চিকিৎসার আহ্বান

রাজশাহীসহ সারাদেশের নারীদের ফিস্টুলা রোগ প্রতিরোধে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান তারা। এছাড়া জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশকে শতভাগ ফিস্টুলামুক্ত করতে নারীদের সচেতন হওয়ারও তাগিদ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার। আর সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপি) টেকনিক্যাল অফিসার ডা. অনিমেষ বিশ^াস। ল্যাম্ব-ইউএনএফপিএ ফ্রি প্রজেক্টের ম্যানেজার মাহাতাব লিটনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রজেক্টটির জেলা সমন্বয়কারী সেবাষ্টিয়ান টুডুসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, দেশে ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারীরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ফিস্টুলা রোগে। মোট আক্রান্তদের দুই তৃতীয়াংশই এ বয়সী নারী। যদিও দিনে দিনে কমে আসছে ফিস্টুলা আক্রান্ত নারীর সংখ্যা। ২০০৩ সালে প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৭০ জন নারী এ রোগে আক্রান্ত হন। ১২ বছর পর ২০১৬ সালে আক্রান্তে হার কমে আসে প্রতি হাজারে ০.৪২ জনে। বর্তমানে সেটিই রয়েছে। তবে ২০৩০ সালের আগেই শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। সেজন্য দরকার নারীদের সচেতনতা। সভায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেন, মেয়েদের ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে এবং ২১ বছরের পূর্বে সন্তান প্রসব না করার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করতে হবে। তবেই এসডিজি অর্জনের টার্গেট নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া সম্ভব। তাছাড়া ফিস্টুলা থেকে বাঁচতে বাড়িতে নয়, সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসা করাতে হবে।

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, রাজশাহী বিভাগে গত এক বছরে ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ জন নারী। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে ২৭ জনকে এবং অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থতা লাভ করেছেন ২৮ জন। তার মধ্যে ১২ জনের অপারেশন হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। আর বাকিরা সুস্থ হয়েছেন দিনাজপুরের ল্যাম্ব হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে।

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১ , ২৬ কার্তিক ১৪২৮ ৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

নারীদের ফিস্টুলা প্রতিরোধে হাসপাতালে চিকিৎসার আহ্বান

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহীসহ সারাদেশের নারীদের ফিস্টুলা রোগ প্রতিরোধে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান তারা। এছাড়া জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশকে শতভাগ ফিস্টুলামুক্ত করতে নারীদের সচেতন হওয়ারও তাগিদ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার। আর সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপি) টেকনিক্যাল অফিসার ডা. অনিমেষ বিশ^াস। ল্যাম্ব-ইউএনএফপিএ ফ্রি প্রজেক্টের ম্যানেজার মাহাতাব লিটনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রজেক্টটির জেলা সমন্বয়কারী সেবাষ্টিয়ান টুডুসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, দেশে ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারীরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ফিস্টুলা রোগে। মোট আক্রান্তদের দুই তৃতীয়াংশই এ বয়সী নারী। যদিও দিনে দিনে কমে আসছে ফিস্টুলা আক্রান্ত নারীর সংখ্যা। ২০০৩ সালে প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৭০ জন নারী এ রোগে আক্রান্ত হন। ১২ বছর পর ২০১৬ সালে আক্রান্তে হার কমে আসে প্রতি হাজারে ০.৪২ জনে। বর্তমানে সেটিই রয়েছে। তবে ২০৩০ সালের আগেই শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। সেজন্য দরকার নারীদের সচেতনতা। সভায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেন, মেয়েদের ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে এবং ২১ বছরের পূর্বে সন্তান প্রসব না করার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করতে হবে। তবেই এসডিজি অর্জনের টার্গেট নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া সম্ভব। তাছাড়া ফিস্টুলা থেকে বাঁচতে বাড়িতে নয়, সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসা করাতে হবে।

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, রাজশাহী বিভাগে গত এক বছরে ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ জন নারী। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে ২৭ জনকে এবং অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থতা লাভ করেছেন ২৮ জন। তার মধ্যে ১২ জনের অপারেশন হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। আর বাকিরা সুস্থ হয়েছেন দিনাজপুরের ল্যাম্ব হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে।