দেশের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান মুনিরের প্রয়াণ

বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান তারিকুজ্জামান মুনির(৬২) মারা গেছেন।

গতকাল পরিবারসহ ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয় তার। বুকে ব্যথা ওঠার পর হাসপাতালে নিয়েও লাভ হয়নি।

খেলোয়াড়ি জীবনে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৯৮৪-৮৫ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ক্রিকেটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে ধানমন্ডি আবাহনী মাঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ৩০৮ রানের ইনিংস খেলে ইতিহাস গড়েন।

১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে ঈগলেটস ক্লাবের হয়ে তার ক্লাব ক্যারিয়ারের শুরু। এরপর নানা সময়ে তিনি খেলেছেন আবাহনী, মোহামেডান, বিমান ও জিএমসিরির মতো ক্লাবে। ক্লোজ ইন ফিল্ডিংয়ে ছিলেন দারুণ দক্ষ। ১৯৮৫ সালে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দু’টি ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে খেলার স্বাদও তিনি। ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ১৯৯০-৯১ মৌসুমে।

ক্রিকেট ছাড়ার পর করপোরেট জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ক্রিকেটের আঙিনায় তাকে দেখা গেছে নানা ভূমিকায়। বিসিবির লজিস্টিকস ও প্রটোকল কমিটির সাবেক সদস্য সচিব তিনি। ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশে লোকাল অর্গানাইজিং কমিটির টুর্নামেন্ট ম্যানেজার হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।

আরেক সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার আসাদুজ্জামান মিশা তার বড় ভাই।

তারিকুজ্জামান মুনিরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বিসিবি, ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১ , ২৬ কার্তিক ১৪২৮ ৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

দেশের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান মুনিরের প্রয়াণ

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান তারিকুজ্জামান মুনির(৬২) মারা গেছেন।

গতকাল পরিবারসহ ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয় তার। বুকে ব্যথা ওঠার পর হাসপাতালে নিয়েও লাভ হয়নি।

খেলোয়াড়ি জীবনে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৯৮৪-৮৫ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ক্রিকেটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে ধানমন্ডি আবাহনী মাঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ৩০৮ রানের ইনিংস খেলে ইতিহাস গড়েন।

১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে ঈগলেটস ক্লাবের হয়ে তার ক্লাব ক্যারিয়ারের শুরু। এরপর নানা সময়ে তিনি খেলেছেন আবাহনী, মোহামেডান, বিমান ও জিএমসিরির মতো ক্লাবে। ক্লোজ ইন ফিল্ডিংয়ে ছিলেন দারুণ দক্ষ। ১৯৮৫ সালে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দু’টি ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে খেলার স্বাদও তিনি। ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ১৯৯০-৯১ মৌসুমে।

ক্রিকেট ছাড়ার পর করপোরেট জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ক্রিকেটের আঙিনায় তাকে দেখা গেছে নানা ভূমিকায়। বিসিবির লজিস্টিকস ও প্রটোকল কমিটির সাবেক সদস্য সচিব তিনি। ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশে লোকাল অর্গানাইজিং কমিটির টুর্নামেন্ট ম্যানেজার হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।

আরেক সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার আসাদুজ্জামান মিশা তার বড় ভাই।

তারিকুজ্জামান মুনিরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বিসিবি, ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।