ঢাকার নাটকীয় জয়

জাতীয় ক্রিকেট লীগের চতুর্থ রাউন্ডে প্রথম স্তরের ম্যাচটিতে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ঢাকার জয় ৩ রানে। চতুর্থ ও শেষ দিন বুধবার ১০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সিলেট গুটিয়ে যায় ৯৮ রানে। প্রথম তিন দিন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল সিলেটের হাতেই। শুরুর দিনে ৭ বলের মধ্যে শূন্য রানে প্রথম ৪ উইকেট হারিয়েছিল ঢাকা। প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল তারা মাত্র ১২৩ রানে, সিলেটের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল ১৪২ রানে। শেষ দিনে দারুণ বোলিংয়ে সেই দলটিই জিতে নিল ম্যাচ।

দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রানের দিক থেকে যৌথভাবে সবচেয়ে ছোট জয় এটি। ২০১৮ সালে রাজশাহীতে জাতীয় লীগেই ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ৩ রানে জিতেছিল সিলেট।

সিলেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৩৪ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করে ঢাকা যোগ করতে পারে আর ৯ রান। প্রথম ইনিংসের বড় ঘাটতি পুষিয়ে তাদের পুঁজি দাঁড়ায় মাত্র ১০১। নাজমুল ও এনামুল হককে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন নাসুম। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি এই স্পিনারের ম্যাচে উইকেট ১২টি।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সিলেট। বিস্ময়করভাবে, প্রথম আট ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্কে যেতে পারেন স্রেফ একজন! তাও আবার মাত্র ১০ রান করতে পারেন অমিত মজুমদার। ৫৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল সিলেট। এরপরই রেজাউর রহমান রাজাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন নাসুম। জয় থেকে যখন আর ১৩ রান দূরে সিলেট, নাসুমকে ফিল্ডার জয়রাজ শেখের ক্যাচ বানিয়ে ৩৬ রানের জুটি ভাঙেন তাইবুর রহমান। ৫৮ বলে নাসুম করেন ১৯ রান।

৪৯ বলে ২ ছক্কায় ২০ রানে অপরাজিত থাকেন পেসার রেজাউর।

প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রেখে ম্যাচ সেরা হন নাজমুল।

টি-২০ বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফেরার একদিন পরই খেলতে নামা নাসুম ম্যাচে ১১৩ রানে নিলেন ১২ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং এটি। কিন্তু উপলক্ষটা জয়ে রাঙাতে পারলেন না তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : ঢাকা বিভাগ ১২৩ ও ২৪৩।

সিলেট বিভাগ ২৬৫ ও ৯৮ (নাসুম ১৯, রেজাউর ২০*, নাজমুল ৪/৪৩, সুমন ২/১৩, তাইবুর ২/২৩)। ম্যাচ সেরা : নাজমুল ইসলাম অপু।

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১ , ২৬ কার্তিক ১৪২৮ ৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

ঢাকার নাটকীয় জয়

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

জাতীয় ক্রিকেট লীগের চতুর্থ রাউন্ডে প্রথম স্তরের ম্যাচটিতে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ঢাকার জয় ৩ রানে। চতুর্থ ও শেষ দিন বুধবার ১০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সিলেট গুটিয়ে যায় ৯৮ রানে। প্রথম তিন দিন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল সিলেটের হাতেই। শুরুর দিনে ৭ বলের মধ্যে শূন্য রানে প্রথম ৪ উইকেট হারিয়েছিল ঢাকা। প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল তারা মাত্র ১২৩ রানে, সিলেটের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল ১৪২ রানে। শেষ দিনে দারুণ বোলিংয়ে সেই দলটিই জিতে নিল ম্যাচ।

দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রানের দিক থেকে যৌথভাবে সবচেয়ে ছোট জয় এটি। ২০১৮ সালে রাজশাহীতে জাতীয় লীগেই ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ৩ রানে জিতেছিল সিলেট।

সিলেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৩৪ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করে ঢাকা যোগ করতে পারে আর ৯ রান। প্রথম ইনিংসের বড় ঘাটতি পুষিয়ে তাদের পুঁজি দাঁড়ায় মাত্র ১০১। নাজমুল ও এনামুল হককে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন নাসুম। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি এই স্পিনারের ম্যাচে উইকেট ১২টি।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সিলেট। বিস্ময়করভাবে, প্রথম আট ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্কে যেতে পারেন স্রেফ একজন! তাও আবার মাত্র ১০ রান করতে পারেন অমিত মজুমদার। ৫৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল সিলেট। এরপরই রেজাউর রহমান রাজাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন নাসুম। জয় থেকে যখন আর ১৩ রান দূরে সিলেট, নাসুমকে ফিল্ডার জয়রাজ শেখের ক্যাচ বানিয়ে ৩৬ রানের জুটি ভাঙেন তাইবুর রহমান। ৫৮ বলে নাসুম করেন ১৯ রান।

৪৯ বলে ২ ছক্কায় ২০ রানে অপরাজিত থাকেন পেসার রেজাউর।

প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রেখে ম্যাচ সেরা হন নাজমুল।

টি-২০ বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফেরার একদিন পরই খেলতে নামা নাসুম ম্যাচে ১১৩ রানে নিলেন ১২ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং এটি। কিন্তু উপলক্ষটা জয়ে রাঙাতে পারলেন না তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : ঢাকা বিভাগ ১২৩ ও ২৪৩।

সিলেট বিভাগ ২৬৫ ও ৯৮ (নাসুম ১৯, রেজাউর ২০*, নাজমুল ৪/৪৩, সুমন ২/১৩, তাইবুর ২/২৩)। ম্যাচ সেরা : নাজমুল ইসলাম অপু।