ট্রেড মিশন পাঠাবে নেদারল্যান্ডস, কাজ করবে কৃষি ও খাদ্য খাত নিয়ে

কৃষিখাতে সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে নেদারল্যান্ডস ২০২২ সালে বাংলাদেশে ট্রেড মিশন পাঠাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী টম ডি ব্রুইন। একইসঙ্গে আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস কৃষি সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

গতকাল কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, বুধবার নেদারল্যান্ডসের হেগে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠকে দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী টম ডি ব্রুইন এসব কথা বলেন।

টম ডি ব্রুইন বলেন, ‘উভয় দেশের বেসরকারি খাতকে সংযুক্ত করে খাদ্য, পানি ও এনার্জি বিষয়ে সম্পর্ক জোরদার করা হবে। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের দূতাবাস প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে ও ট্রেড মিশনে সহায়তা দেবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১২ বছরে দানাজাতীয়, শাকসবজি, ফলমূল এবং উচ্চ মূল্যের ফসলসহ কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অর্জন তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন ডাচদের জ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও সমাধান দরকার। আমরা উইন উইন ভিত্তিতে এই সহায়তা চাই।’

কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক নেদারল্যান্ডসে কৃষিখাতে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি বাড়ানোরও অনুরোধ করেন। এছাড়া মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হওয়ার পরেও ইইউতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য অব্যাহত রাখার জন্য ডাচ সহায়তা কামনা করেন কৃষিমন্ত্রী।

পরে কৃষিমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী গ্রুয়েটের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বাংলাদেশে সাপ্লাই চেইন স্থাপন, যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিক প্যাকিং হাউজ নির্মাণে ডাচ সহযোগিতা কামনা করেন।

দুই দেশের বেসরকারি খাতকে সুবিধা দিতে বাংলাদেশ সরকারের পুরোপুরি প্রস্তুতির কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বাংলাদেশে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করতে অ্যাগ্রো ইনোভেশন ল্যাব নির্মাণের জন্য ডাচ বেসরকারি খাতকে আহ্বান জানান। এছাড়া, ঢাকায় বিমানবন্দরের কাছে উচ্চমানের স্টোরেজ সুবিধা নির্মাণে সম্পৃক্ত হতে ডাচ পক্ষকে আমন্ত্রণ জানান। ডাচ উপমন্ত্রী এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব জমা দিতে বলেন।

ডাচ উপমন্ত্রী খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, ‘সব ধরনের নিয়মকানুন এবং সার্টিফিকেশন কঠোরভাবে মেনে ফুড ও সাপ্লাই চেইনের উন্নয়ন করতে পারলে, তা বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য খাতকে আমূল বদলে দেবে। সরকারি ও প্রাইভেট সেক্টরকে সম্পৃক্ত করে কৃষিখাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা হবে।’

এ সময় নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ এবং সফররত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১ , ২৭ কার্তিক ১৪২৮ ৬ রবিউস সানি ১৪৪৩

ট্রেড মিশন পাঠাবে নেদারল্যান্ডস, কাজ করবে কৃষি ও খাদ্য খাত নিয়ে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

কৃষিখাতে সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে নেদারল্যান্ডস ২০২২ সালে বাংলাদেশে ট্রেড মিশন পাঠাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী টম ডি ব্রুইন। একইসঙ্গে আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস কৃষি সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

গতকাল কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, বুধবার নেদারল্যান্ডসের হেগে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠকে দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী টম ডি ব্রুইন এসব কথা বলেন।

টম ডি ব্রুইন বলেন, ‘উভয় দেশের বেসরকারি খাতকে সংযুক্ত করে খাদ্য, পানি ও এনার্জি বিষয়ে সম্পর্ক জোরদার করা হবে। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের দূতাবাস প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে ও ট্রেড মিশনে সহায়তা দেবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১২ বছরে দানাজাতীয়, শাকসবজি, ফলমূল এবং উচ্চ মূল্যের ফসলসহ কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অর্জন তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন ডাচদের জ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও সমাধান দরকার। আমরা উইন উইন ভিত্তিতে এই সহায়তা চাই।’

কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক নেদারল্যান্ডসে কৃষিখাতে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি বাড়ানোরও অনুরোধ করেন। এছাড়া মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হওয়ার পরেও ইইউতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য অব্যাহত রাখার জন্য ডাচ সহায়তা কামনা করেন কৃষিমন্ত্রী।

পরে কৃষিমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী গ্রুয়েটের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বাংলাদেশে সাপ্লাই চেইন স্থাপন, যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিক প্যাকিং হাউজ নির্মাণে ডাচ সহযোগিতা কামনা করেন।

দুই দেশের বেসরকারি খাতকে সুবিধা দিতে বাংলাদেশ সরকারের পুরোপুরি প্রস্তুতির কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বাংলাদেশে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করতে অ্যাগ্রো ইনোভেশন ল্যাব নির্মাণের জন্য ডাচ বেসরকারি খাতকে আহ্বান জানান। এছাড়া, ঢাকায় বিমানবন্দরের কাছে উচ্চমানের স্টোরেজ সুবিধা নির্মাণে সম্পৃক্ত হতে ডাচ পক্ষকে আমন্ত্রণ জানান। ডাচ উপমন্ত্রী এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব জমা দিতে বলেন।

ডাচ উপমন্ত্রী খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, ‘সব ধরনের নিয়মকানুন এবং সার্টিফিকেশন কঠোরভাবে মেনে ফুড ও সাপ্লাই চেইনের উন্নয়ন করতে পারলে, তা বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য খাতকে আমূল বদলে দেবে। সরকারি ও প্রাইভেট সেক্টরকে সম্পৃক্ত করে কৃষিখাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা হবে।’

এ সময় নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ এবং সফররত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।