যুক্তরাজ্যের পর এবার ফ্রান্সের বিনিয়োগ আনতে দেশটির বাণিজ্য সংগঠন এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনাল এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই। বুধবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনাল এবং বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ফ্রান্স-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল মিটিংয়ে এই স্মারক সই হয়েছে।
এফবিসিসিআই’র পক্ষে সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনালের ফ্যান্স-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পিয়েরে-জিন মালগোয়ারেস সমঝোতা স্মারকে সই করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার হিসেবে ফ্রান্স পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। মূলত দেশটিতে ওভেন ও নিটওয়্যার, হোম টেক্সটাইল এবং ফুটওয়্যার রপ্তানি হয়। এসব পণ্য ছাড়াও প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, সিরামিক, পাট ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী, এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে বাংলাদেশ। এছাড়াও উন্নয়নশীল দেশ হবার জন্য জাতিসংঘের দেয়া সবগুলো শর্ত পূরণের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও মিলেছে। তাই এই বছরটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের বিপুল বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। ফ্রান্সের শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান উৎপাদন ব্যয়ের কারণে যেসব খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমছে। সেই শিল্পের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি আশা করেন, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে বাণিজ্য বহুমুখীকরণ ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য এফবিসিসিআই এবং এমইডিইএফ’র মধ্যে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিনুল হক শামীম, মো. আমিন হেলালী, পরিচালক মো. রেজাউল করিম রেজনু, মো. তবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটো, প্রীতি চক্রবর্তী, শমী কায়সার, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, ডা. নাদিয়া বিনতে আমিন, মো. সাইফুল ইসলাম, খান আহমেদ শুভ, ডা. ফেরদৌসী বেগম, সাবেক সহ-সভাপতি জনাব মো. হেলাল উদ্দিন, ফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক জনাব প্রবীর কুমার সাহা, খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল), ইঞ্জি. মো. মহব্বত উল্লাহ, এমসিসিআই ঢাকার সভাপতি মিসেস নিহাদ কবির, বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক জেসমিন আক্তার ও সাইফুল আলম এবং পিপলস এনার্জি লিমিটেডের পরিচালক মিসেস সাজেদা জামান।
শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১ , ২৭ কার্তিক ১৪২৮ ৬ রবিউস সানি ১৪৪৩
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
যুক্তরাজ্যের পর এবার ফ্রান্সের বিনিয়োগ আনতে দেশটির বাণিজ্য সংগঠন এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনাল এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই। বুধবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনাল এবং বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ফ্রান্স-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল মিটিংয়ে এই স্মারক সই হয়েছে।
এফবিসিসিআই’র পক্ষে সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনালের ফ্যান্স-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পিয়েরে-জিন মালগোয়ারেস সমঝোতা স্মারকে সই করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার হিসেবে ফ্রান্স পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। মূলত দেশটিতে ওভেন ও নিটওয়্যার, হোম টেক্সটাইল এবং ফুটওয়্যার রপ্তানি হয়। এসব পণ্য ছাড়াও প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, সিরামিক, পাট ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী, এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে বাংলাদেশ। এছাড়াও উন্নয়নশীল দেশ হবার জন্য জাতিসংঘের দেয়া সবগুলো শর্ত পূরণের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও মিলেছে। তাই এই বছরটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের বিপুল বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। ফ্রান্সের শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান উৎপাদন ব্যয়ের কারণে যেসব খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমছে। সেই শিল্পের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি আশা করেন, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে বাণিজ্য বহুমুখীকরণ ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য এফবিসিসিআই এবং এমইডিইএফ’র মধ্যে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিনুল হক শামীম, মো. আমিন হেলালী, পরিচালক মো. রেজাউল করিম রেজনু, মো. তবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটো, প্রীতি চক্রবর্তী, শমী কায়সার, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, ডা. নাদিয়া বিনতে আমিন, মো. সাইফুল ইসলাম, খান আহমেদ শুভ, ডা. ফেরদৌসী বেগম, সাবেক সহ-সভাপতি জনাব মো. হেলাল উদ্দিন, ফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক জনাব প্রবীর কুমার সাহা, খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল), ইঞ্জি. মো. মহব্বত উল্লাহ, এমসিসিআই ঢাকার সভাপতি মিসেস নিহাদ কবির, বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক জেসমিন আক্তার ও সাইফুল আলম এবং পিপলস এনার্জি লিমিটেডের পরিচালক মিসেস সাজেদা জামান।