এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠজুড়ে শুধুই সোনালি ধানের সমারোহ। বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, জমিতে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। গাছের শীষ ধানে নুইয়ে পড়ছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। যদিও এরই মধ্যে কোন কোন এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। কৃষকরা জানান, এই ধানের রোগবালাই খুব কম। ফলন আশার চেয়ে বেশি হয়েছে। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের শেষদিকে আমন ধান কাটা হয়। এবার মাস দেড়েক আগেই এই ধান পাকতে শুরু করেছে। সব খরচ বাদ দিয়ে এবার লাভবান হবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহিদুল ইসলাম বলেন, এই মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে ও প্রচুর বৃষ্টির পানি পাওয়ায় আমন ধান ফলন খুব ভালো হয়েছে। ধানের প্রতিটি শীষ সোনার মতো জ্বলজ্বল করছে। এতে কৃষকরা ফলনসহ বাজারে ভালো দাম পেয়ে লাভবান হবেন। এ বছর ১৭ হাজার ৭শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। সম্ভাব্য উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭২ হাজার ৫শত ৭০ মেট্রিকটন। কৃষকরা আশা করছেন, চলতি মাসের শেষের দিকে সোনালি ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন। শতভাগ ধান ঘরে তুলতে কৃষি বিভাগ নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ইঁদুর দমন, আলোক ফাঁদ, উঠান বৈঠক করে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়াও কৃষি অফিস কৃষকের জমিতে ফসলের তদারকিসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছেন।
শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১ , ২৭ কার্তিক ১৪২৮ ৬ রবিউস সানি ১৪৪৩
প্রতিনিধি, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ)
এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠজুড়ে শুধুই সোনালি ধানের সমারোহ। বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, জমিতে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। গাছের শীষ ধানে নুইয়ে পড়ছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। যদিও এরই মধ্যে কোন কোন এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। কৃষকরা জানান, এই ধানের রোগবালাই খুব কম। ফলন আশার চেয়ে বেশি হয়েছে। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের শেষদিকে আমন ধান কাটা হয়। এবার মাস দেড়েক আগেই এই ধান পাকতে শুরু করেছে। সব খরচ বাদ দিয়ে এবার লাভবান হবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহিদুল ইসলাম বলেন, এই মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে ও প্রচুর বৃষ্টির পানি পাওয়ায় আমন ধান ফলন খুব ভালো হয়েছে। ধানের প্রতিটি শীষ সোনার মতো জ্বলজ্বল করছে। এতে কৃষকরা ফলনসহ বাজারে ভালো দাম পেয়ে লাভবান হবেন। এ বছর ১৭ হাজার ৭শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। সম্ভাব্য উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭২ হাজার ৫শত ৭০ মেট্রিকটন। কৃষকরা আশা করছেন, চলতি মাসের শেষের দিকে সোনালি ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন। শতভাগ ধান ঘরে তুলতে কৃষি বিভাগ নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ইঁদুর দমন, আলোক ফাঁদ, উঠান বৈঠক করে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়াও কৃষি অফিস কৃষকের জমিতে ফসলের তদারকিসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছেন।