যশোরের কেশবপুরে ভবদহ সংলগ্ন ২৭ বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে কেশবপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ২৭ বিল বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি উদ্যোগে ভুক্তভোগী কৃষক ও বাসিন্দারা এই কর্মসূচি পালন করে। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে। জানা গেছে, কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলা সীমান্তে ২৭ বিল এলাকার চারপাশে ৬টি ইউনিয়নে ৬৮টি গ্রাম রয়েছে। এসব বিলে ৮ হাজার হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। ২৭ বিলের পানি ডায়ের খাল দিয়ে শ্রী নদীতে নিষ্কাশন হয়ে থাকে। কিন্তু শ্রী নদী পলিতে ভরাটের কারণে গেল ৩ বছর কোন ফসল উৎপাদন হয়নি। অধিকাংশ গ্রামের বসতভিটায় পানি উঠেছে। অসহনীয় দুর্ভোগের মধ্যে মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। জলাবদ্ধতার কারণে মানুষের জীবন জীবিকা, কর্মসংস্থান ও আত্মসামাজিক কর্মকা- থমকে গেছে। এ অবস্থায় মানুষের বসতভিটা ও ফসলি জমি থেকে পানি নিষ্কাশনে ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়ন জরুরী হয়ে পড়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, জরুরী ভিত্তিতে শ্রী নদী পুনর্খনন, ডায়ের খালের ৮ ব্যান্ডের জলকাপাটের সামনে খাল খনন, বিলের মধ্যের খাল খনন, আগামী মাঘী পূর্ণিমার আগে বিল কপালিয়ায় টিআরএম (জোয়ারাধার) প্রকল্প চালু, টিআরএম করা বিলের জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, পদ্মা, ভৈরব, মাথা ভাঙ্গার সঙ্গে এ অঞ্চলের নদীগুলোর সংযোগ প্রদান ও জলাবদ্ধ এলাকায় ছয় মাসের ঋণের কিস্তি বন্ধ করা। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ২৭ বিল বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা আবুবকর সিদ্দিকী, সভাপতি বাবর আলী গোলদার, দুর্বাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক উত্তম গাইন প্রমুখ। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১ , ২৭ কার্তিক ১৪২৮ ৬ রবিউস সানি ১৪৪৩
প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)
যশোরের কেশবপুরে ভবদহ সংলগ্ন ২৭ বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে কেশবপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ২৭ বিল বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি উদ্যোগে ভুক্তভোগী কৃষক ও বাসিন্দারা এই কর্মসূচি পালন করে। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে। জানা গেছে, কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলা সীমান্তে ২৭ বিল এলাকার চারপাশে ৬টি ইউনিয়নে ৬৮টি গ্রাম রয়েছে। এসব বিলে ৮ হাজার হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। ২৭ বিলের পানি ডায়ের খাল দিয়ে শ্রী নদীতে নিষ্কাশন হয়ে থাকে। কিন্তু শ্রী নদী পলিতে ভরাটের কারণে গেল ৩ বছর কোন ফসল উৎপাদন হয়নি। অধিকাংশ গ্রামের বসতভিটায় পানি উঠেছে। অসহনীয় দুর্ভোগের মধ্যে মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। জলাবদ্ধতার কারণে মানুষের জীবন জীবিকা, কর্মসংস্থান ও আত্মসামাজিক কর্মকা- থমকে গেছে। এ অবস্থায় মানুষের বসতভিটা ও ফসলি জমি থেকে পানি নিষ্কাশনে ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়ন জরুরী হয়ে পড়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, জরুরী ভিত্তিতে শ্রী নদী পুনর্খনন, ডায়ের খালের ৮ ব্যান্ডের জলকাপাটের সামনে খাল খনন, বিলের মধ্যের খাল খনন, আগামী মাঘী পূর্ণিমার আগে বিল কপালিয়ায় টিআরএম (জোয়ারাধার) প্রকল্প চালু, টিআরএম করা বিলের জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, পদ্মা, ভৈরব, মাথা ভাঙ্গার সঙ্গে এ অঞ্চলের নদীগুলোর সংযোগ প্রদান ও জলাবদ্ধ এলাকায় ছয় মাসের ঋণের কিস্তি বন্ধ করা। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ২৭ বিল বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা আবুবকর সিদ্দিকী, সভাপতি বাবর আলী গোলদার, দুর্বাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক উত্তম গাইন প্রমুখ। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।