গাইবান্ধার তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে মহিষ পালনে ক্রমেই বাড়ছে আগ্রহ। দলগতভাবে পালনযোগ্য মহিষ প্রাকৃতিক খাদ্যগ্রহণে অভ্যস্থ হওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষজন এখন মহিষ পালনের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। আর বাজারে মহিষের দুধ ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় লাভবান হচ্ছেন পালনকারীরা। পালনকারীদের উন্নতজাত ও প্রজনন সহায়তায় প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে বিশেষ প্রকল্প নিয়ে সহায়তাও করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের ১৭০টি ছোট বড় চর ও গ্রাম রয়েছে। এসব চরের মধ্যে অন্ততপক্ষে ৫০টি চর রয়েছে যেখানে অবাধে মহিষ পালনের উপযোগী।
সাঘাটা উপজেলার উত্তর দিঘলকান্দি গ্রামের শামছুল সরকার জানান, মহিষ চরে ছেড়ে দিয়ে পালন করা যায়। আর এরা রোগবালাই ও বন্যা সহনশীল প্রাণি-এ কারণে মহিষ পালনের দিকে এখন আগ্রহী চরের মানুষজন। তারও একটি মহিষের বাথান আছে এবং ৩০টি মহিষ আছে বলে তিনি জানান।
ফুলছড়ি চরের ইদ্রিশ মোল্লা জানান, প্রায় ৫০ বছর ধরে তার পরিবারের লোকেরা মহিষ পালন করে আসছেন। বর্তমানে ৪০টি মহিষ রয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রসারে মহিষের রোগব্যাধি কমে গেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদার রহমান সরকার জানান, চরাঞ্চলের মহিষ পালন বৃদ্ধি ও উন্নত প্রজনন নিয়ে সরকারিভাবে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার উন্নতজাত ও প্রজনন সহায়তা করা হবে।
জেলায় প্রায় ২ হাজার পরিবার ১১ হাজার মহিষ পালন করছেন বলে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়।
গাইবান্ধা : ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে চরে বেড়াচ্ছে মহিষের পাল -সংবাদ
আরও খবরশুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১ , ২৭ কার্তিক ১৪২৮ ৬ রবিউস সানি ১৪৪৩
আফতাব হোসেন, গাইবান্ধা
গাইবান্ধা : ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে চরে বেড়াচ্ছে মহিষের পাল -সংবাদ
গাইবান্ধার তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে মহিষ পালনে ক্রমেই বাড়ছে আগ্রহ। দলগতভাবে পালনযোগ্য মহিষ প্রাকৃতিক খাদ্যগ্রহণে অভ্যস্থ হওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষজন এখন মহিষ পালনের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। আর বাজারে মহিষের দুধ ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় লাভবান হচ্ছেন পালনকারীরা। পালনকারীদের উন্নতজাত ও প্রজনন সহায়তায় প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে বিশেষ প্রকল্প নিয়ে সহায়তাও করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের ১৭০টি ছোট বড় চর ও গ্রাম রয়েছে। এসব চরের মধ্যে অন্ততপক্ষে ৫০টি চর রয়েছে যেখানে অবাধে মহিষ পালনের উপযোগী।
সাঘাটা উপজেলার উত্তর দিঘলকান্দি গ্রামের শামছুল সরকার জানান, মহিষ চরে ছেড়ে দিয়ে পালন করা যায়। আর এরা রোগবালাই ও বন্যা সহনশীল প্রাণি-এ কারণে মহিষ পালনের দিকে এখন আগ্রহী চরের মানুষজন। তারও একটি মহিষের বাথান আছে এবং ৩০টি মহিষ আছে বলে তিনি জানান।
ফুলছড়ি চরের ইদ্রিশ মোল্লা জানান, প্রায় ৫০ বছর ধরে তার পরিবারের লোকেরা মহিষ পালন করে আসছেন। বর্তমানে ৪০টি মহিষ রয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রসারে মহিষের রোগব্যাধি কমে গেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদার রহমান সরকার জানান, চরাঞ্চলের মহিষ পালন বৃদ্ধি ও উন্নত প্রজনন নিয়ে সরকারিভাবে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার উন্নতজাত ও প্রজনন সহায়তা করা হবে।
জেলায় প্রায় ২ হাজার পরিবার ১১ হাজার মহিষ পালন করছেন বলে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়।