সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর সদরের বাসুদেব বাড়ি গ্রাম এলাকায় পানি নিস্কাশনের ড্রেনের অভাবে যুগযুগ ধরে ৫ শতাধিক পরিবার দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছেন। বাসুদেব বাড়ি মন্দির থেকে আঁকাবাঁকা হয়ে একটি পুরনো সরকারি খাল নলজুর নদীতে এসে পড়েছে। এ খালটি বেদখল হয়ে এলোমেলোভাবে ঘর-বাড়ি গড়ে উঠায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। যে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারীসহ প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের মানুষ। এমন অভিযোগ স্থানীয় ভুক্তভোগী জনতার। গত বুধবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খালের কিছু অংশ ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ সময় স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ জানান, একটি মাত্র ড্রেনের অভাবে পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। এতে যুগযুগ ধরে ৫ শতাধিক পরিবার জলাবব্ধতায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাই জনভোগান্তি লাঘবে বাসুদেব মন্দির থেকে নলজুর নদী পর্যন্ত কয়েক হাজার ফুট ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে বেদখল হওয়া পুরো সরকারি খালটি উদ্ধারের দাবি জানান স্থানীয় রুহেল উদ্দিন সহ অনেকে।
জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকে খালে মাটি ভরাট করা হবে। আর ড্রেন নির্মাণ হবে সরকারি প্রজেক্টের মাধ্যমে। জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবদুর রব সরকার বলেন, পৌরসভা ওই খালে মাটি ভরাট করে দিলে বর্তমানে চলমান ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এখানে ড্রেন নির্মাণ করা হবে।
শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১ , ২৭ কার্তিক ১৪২৮ ৬ রবিউস সানি ১৪৪৩
প্রতিনিধি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর সদরের বাসুদেব বাড়ি গ্রাম এলাকায় পানি নিস্কাশনের ড্রেনের অভাবে যুগযুগ ধরে ৫ শতাধিক পরিবার দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছেন। বাসুদেব বাড়ি মন্দির থেকে আঁকাবাঁকা হয়ে একটি পুরনো সরকারি খাল নলজুর নদীতে এসে পড়েছে। এ খালটি বেদখল হয়ে এলোমেলোভাবে ঘর-বাড়ি গড়ে উঠায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। যে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারীসহ প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের মানুষ। এমন অভিযোগ স্থানীয় ভুক্তভোগী জনতার। গত বুধবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খালের কিছু অংশ ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ সময় স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ জানান, একটি মাত্র ড্রেনের অভাবে পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। এতে যুগযুগ ধরে ৫ শতাধিক পরিবার জলাবব্ধতায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাই জনভোগান্তি লাঘবে বাসুদেব মন্দির থেকে নলজুর নদী পর্যন্ত কয়েক হাজার ফুট ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে বেদখল হওয়া পুরো সরকারি খালটি উদ্ধারের দাবি জানান স্থানীয় রুহেল উদ্দিন সহ অনেকে।
জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকে খালে মাটি ভরাট করা হবে। আর ড্রেন নির্মাণ হবে সরকারি প্রজেক্টের মাধ্যমে। জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবদুর রব সরকার বলেন, পৌরসভা ওই খালে মাটি ভরাট করে দিলে বর্তমানে চলমান ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এখানে ড্রেন নির্মাণ করা হবে।