ধর্ষণের পর শিক্ষার্থী হত্যা : দিহানের বিরুদ্ধে চার্জশিট

রাজধানীর কলাবাগানে ও লেভেল শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় আসামি ফারদিন ইফতেখার দিহানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সংস্থাটির পরিদর্শক ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ অভিযোগপত্র জমা দেন। গতকাল আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষা, প্রমাণাদি বিশ্লেষণ এবং সাক্ষীদের জবানবন্দি পর্যালোচনা করে পাওয়া গেছে দিহান একাই হত্যার জন্য দায়ী। দিহান বলেছিলেন, নিহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেয়ার সময় তার এক বন্ধু সহযোগিতা করেছিল। কিন্তু তার বন্ধু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেছেন, প্রাথমিকভাবে দিহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ধর্ষণের পরে হত্যার অভিযোগে তাকে বিচারের আওতায় আনা উচিত। অভিযোগপত্রে ২২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

৮ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. খালেদ সাইফুল্লাহ আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর আগে, ৭ জানুয়ারি সকালে আনুশকাকে গ্রুপস্টাডির কথা বলে ফোন করে একটি বাসায় ডেকে নেয় চার বন্ধু। দুপুর একটার দিকে তার রক্তক্ষরণ শুরু হলে বন্ধুরাই তাকে প্রথম আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসকরা মেয়েটির অবস্থা বেগতিক দেখে কৌশলে কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওইদিনই দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছেন। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।

শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১ , ২৭ কার্তিক ১৪২৮ ৬ রবিউস সানি ১৪৪৩

ধর্ষণের পর শিক্ষার্থী হত্যা : দিহানের বিরুদ্ধে চার্জশিট

আদালত বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর কলাবাগানে ও লেভেল শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় আসামি ফারদিন ইফতেখার দিহানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সংস্থাটির পরিদর্শক ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ অভিযোগপত্র জমা দেন। গতকাল আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষা, প্রমাণাদি বিশ্লেষণ এবং সাক্ষীদের জবানবন্দি পর্যালোচনা করে পাওয়া গেছে দিহান একাই হত্যার জন্য দায়ী। দিহান বলেছিলেন, নিহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেয়ার সময় তার এক বন্ধু সহযোগিতা করেছিল। কিন্তু তার বন্ধু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেছেন, প্রাথমিকভাবে দিহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ধর্ষণের পরে হত্যার অভিযোগে তাকে বিচারের আওতায় আনা উচিত। অভিযোগপত্রে ২২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

৮ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. খালেদ সাইফুল্লাহ আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর আগে, ৭ জানুয়ারি সকালে আনুশকাকে গ্রুপস্টাডির কথা বলে ফোন করে একটি বাসায় ডেকে নেয় চার বন্ধু। দুপুর একটার দিকে তার রক্তক্ষরণ শুরু হলে বন্ধুরাই তাকে প্রথম আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসকরা মেয়েটির অবস্থা বেগতিক দেখে কৌশলে কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওইদিনই দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছেন। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।