অতিরিক্ত বাসভাড়া আদায়ের কোন গ্রহণযোগ্য প্রমাণ মিললে ভ্রাম্যমাণ আদালত তা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করবে। গতকাল রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল ও সংলগ্ন সড়কে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় পরিস্থিতি দেখে এ নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।

এদিন মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় হঠাৎ হাজির হন তিনি। সেখানে চলমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিস্থিতি দেখেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান আরও জোরদারের তাগিদ দেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ মিরপুর সার্কেল অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, যেসব যাত্রীর কাছ থেকে বাস শ্রমিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছে, তাদের অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেয়া হবে। আমরা সিএনজিচালিত বাসে স্টিকার লাগানোর কার্যক্রম শুরু করেছি। এ কার্যক্রম শুরুর ফলে যাত্রীরা বুঝতে পারছেন কোনটি ডিজেল ও কোনটি সিএনজি চালিত। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা এ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করেছি। এ অবস্থায় যাত্রীদের অভিযোগ যেমন কমে আসবে, তেমনি ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে। বাসে বাকবিত-া ও কমে যাবে।

টার্মিনালে সচিব দূরপাল্লার বিভিন্ন বাস ও কাউন্টারে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। দূরপাল্লার বাসে সরকার নির্ধারিত হারে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে তাকে জানানো হয় টার্মিনাল থেকে। কিন্তু টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কে বিভিন্ন সিটি বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ পান তিনি। এ সময় সেখানে বিআরটিএ’র নির্বাহী হাকিম সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছিল।

সড়ক সচিব তখন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়রোধে অভিযান জোরদার করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন। এ সময় সচিব যাত্রীদের আশ্বস্ত করেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা নেবে।