জলবায়ু সংকটে সহযোগিতা বাড়াতে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি

চীনের শীর্ষ জলবায়ু আলোচক শি জেনহুয়া সাংবাদিকদের বলেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যতটা না মতপার্থক্য আছে, তার চাইতে বেশি চুক্তি রয়েছে।’

চীন ও যুক্তরাষ্ট্র আগামী দশকজুড়ে জলবায়ু সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় চলমান কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে দুটি দেশের পক্ষ থেকে আচমকা এ ঘোষণা এসেছে।

বিশ্বের সর্বাধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশ দুটি এক যৌথ ঘোষণায় একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বিবিসি জানায়, যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় দুটি দেশ একসঙ্গে কাজ করবে। এর ফলে প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা অর্জন করা যাবে।

ওই লক্ষ্য অর্জনের পথে যে উল্লেখযোগ্য ফাঁক রয়েছে তা বন্ধ করার জন্য ধাপে ধাপে প্রচেষ্টার আহ্বান জানানো হয়েছে দুই দেশের ঘোষণায়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত করতে পারলে, তা মানবজাতিকে জলবায়ুর সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এড়াতে সাহায্য করবে। একে প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার সঙ্গে তুলনা করা হয়।

তারা বলেছে যে উভয় পক্ষই ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সীমাবদ্ধ থাকার লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে দৃঢ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

চীনের শীর্ষ জলবায়ু আলোচক শি জেনহুয়া সাংবাদিকদের বলেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যতোটা না মতপার্থক্য আছে, তার চাইতে বেশি চুক্তি রয়েছে।

চীনের শীর্ষ জলবায়ু আলোচক শি জেনহুয়া সাংবাদিকদের বলেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যতোটা না মতপার্থক্য আছে, তার চাইতে বেশি চুক্তি রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সামনের সপ্তাহে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১ , ২৭ কার্তিক ১৪২৮ ৬ রবিউস সানি ১৪৪৩

জলবায়ু সংকটে সহযোগিতা বাড়াতে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি

image

চীনের শীর্ষ জলবায়ু আলোচক শি জেনহুয়া সাংবাদিকদের বলেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যতটা না মতপার্থক্য আছে, তার চাইতে বেশি চুক্তি রয়েছে।’

চীন ও যুক্তরাষ্ট্র আগামী দশকজুড়ে জলবায়ু সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় চলমান কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে দুটি দেশের পক্ষ থেকে আচমকা এ ঘোষণা এসেছে।

বিশ্বের সর্বাধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশ দুটি এক যৌথ ঘোষণায় একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বিবিসি জানায়, যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় দুটি দেশ একসঙ্গে কাজ করবে। এর ফলে প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা অর্জন করা যাবে।

ওই লক্ষ্য অর্জনের পথে যে উল্লেখযোগ্য ফাঁক রয়েছে তা বন্ধ করার জন্য ধাপে ধাপে প্রচেষ্টার আহ্বান জানানো হয়েছে দুই দেশের ঘোষণায়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত করতে পারলে, তা মানবজাতিকে জলবায়ুর সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এড়াতে সাহায্য করবে। একে প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার সঙ্গে তুলনা করা হয়।

তারা বলেছে যে উভয় পক্ষই ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সীমাবদ্ধ থাকার লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে দৃঢ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

চীনের শীর্ষ জলবায়ু আলোচক শি জেনহুয়া সাংবাদিকদের বলেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যতোটা না মতপার্থক্য আছে, তার চাইতে বেশি চুক্তি রয়েছে।

চীনের শীর্ষ জলবায়ু আলোচক শি জেনহুয়া সাংবাদিকদের বলেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যতোটা না মতপার্থক্য আছে, তার চাইতে বেশি চুক্তি রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সামনের সপ্তাহে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।