আগামী বছরের গোড়ার দিকে ভারতের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। ভারতের রাজনীতিতে এই রাজ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। উত্তর প্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াইয়ের মুখ প্রিয়াঙ্কা। তাই নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই উত্তর প্রদেশের মাটি কামড়ে পড়ে আছেন প্রিয়াঙ্কা। বলিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় আসে তবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীই হবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। প্রবীণ কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যে সাধারণ কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা হলেও, উত্তর প্রদেশের মানুষের মন জয়ে প্রিয়াঙ্কা বা কংগ্রেস কতটা সফল হতে পারবে আগামী বছরই তার উত্তর মিলবে।
এদিকে বিধানসভা নির্বাচনকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বিজেপি। তাই এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপি তথা যোগী আদিত্যনাথ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় করোনায় মৃত ব্যাক্তির বহু লাশ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। এই ঘটনায় দেশব্যাপী নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ চাপে পড়তে হয়েছিল মুুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। এই নিয়ে তখন বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। কিন্তু নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসতেই পুরনো ক্ষোভ ভুলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যোগী আদিত্যনাথকে এবারও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে তুলে ধরা হয়। ইতোমধ্যে তাকে সামনে রেখেই রাজ্যজুড়ে প্রচার কর্মসূচিও শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। উত্তর প্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দু’দিনের সফরে উত্তর প্রদেশে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার বারাণসী দলীয় বৈঠকে বসবেন অমিত শাহ। মূলত নির্বাচনী পরিকল্পনা ও দলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার জন্যই এই বৈঠক বসবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। বৈঠকে সমস্ত মন্ত্রীদের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং বিজেপি নেতা সুনীল বনসল ও স্বতন্ত্র দেব সিং-কে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১ , ২৭ কার্তিক ১৪২৮ ৬ রবিউস সানি ১৪৪৩
দীপক মুখার্জী, কলকাতা
আগামী বছরের গোড়ার দিকে ভারতের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। ভারতের রাজনীতিতে এই রাজ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। উত্তর প্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াইয়ের মুখ প্রিয়াঙ্কা। তাই নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই উত্তর প্রদেশের মাটি কামড়ে পড়ে আছেন প্রিয়াঙ্কা। বলিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় আসে তবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীই হবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। প্রবীণ কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যে সাধারণ কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা হলেও, উত্তর প্রদেশের মানুষের মন জয়ে প্রিয়াঙ্কা বা কংগ্রেস কতটা সফল হতে পারবে আগামী বছরই তার উত্তর মিলবে।
এদিকে বিধানসভা নির্বাচনকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বিজেপি। তাই এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপি তথা যোগী আদিত্যনাথ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় করোনায় মৃত ব্যাক্তির বহু লাশ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। এই ঘটনায় দেশব্যাপী নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ চাপে পড়তে হয়েছিল মুুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। এই নিয়ে তখন বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। কিন্তু নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসতেই পুরনো ক্ষোভ ভুলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যোগী আদিত্যনাথকে এবারও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে তুলে ধরা হয়। ইতোমধ্যে তাকে সামনে রেখেই রাজ্যজুড়ে প্রচার কর্মসূচিও শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। উত্তর প্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দু’দিনের সফরে উত্তর প্রদেশে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার বারাণসী দলীয় বৈঠকে বসবেন অমিত শাহ। মূলত নির্বাচনী পরিকল্পনা ও দলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার জন্যই এই বৈঠক বসবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। বৈঠকে সমস্ত মন্ত্রীদের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং বিজেপি নেতা সুনীল বনসল ও স্বতন্ত্র দেব সিং-কে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।