‘আওয়ামী লীগ প্রচার করে, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধের একটি দল। অথচ বিএনপি নেতাদের মধ্যে যাদের বয়স ৫০ এর ওপরে, তারা বেশিরভাগই মুক্তিযোদ্ধা। দলের বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ সম্বোধন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’-এর তাৎপর্য শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়া যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছেন, তা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৭ নভেম্বর জাতীর জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জাতি আশার আলো দেখেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বাস্তবায়ন দেখিয়েছেন তিনি।’
‘আজকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে আবারও সেই পচাত্তরের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত এক যুগে আমাদের যত গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল তা হরণ করা হচ্ছে।’
জাতি এখন সংকটে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আজকের সংকটটা অনেক গভীর, সংকট হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে, যা অর্জনে সবকিছু হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের গণতন্ত্রের নেত্রী, যিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তিনি আজ কারাগারে।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এই যে একটা অবস্থা, ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের ঘাড়ের ওপর বসে আছে। এখান থেকে মুক্ত হতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
সেমিনারে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, বিএনপি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক, কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন, আবদুস সালাম, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক, সাদেক আহমেদ খান অনেকে।
শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১ , ২৭ কার্তিক ১৪২৮ ৬ রবিউস সানি ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
‘আওয়ামী লীগ প্রচার করে, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধের একটি দল। অথচ বিএনপি নেতাদের মধ্যে যাদের বয়স ৫০ এর ওপরে, তারা বেশিরভাগই মুক্তিযোদ্ধা। দলের বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ সম্বোধন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’-এর তাৎপর্য শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়া যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছেন, তা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৭ নভেম্বর জাতীর জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জাতি আশার আলো দেখেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বাস্তবায়ন দেখিয়েছেন তিনি।’
‘আজকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে আবারও সেই পচাত্তরের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত এক যুগে আমাদের যত গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল তা হরণ করা হচ্ছে।’
জাতি এখন সংকটে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আজকের সংকটটা অনেক গভীর, সংকট হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে, যা অর্জনে সবকিছু হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের গণতন্ত্রের নেত্রী, যিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তিনি আজ কারাগারে।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এই যে একটা অবস্থা, ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের ঘাড়ের ওপর বসে আছে। এখান থেকে মুক্ত হতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
সেমিনারে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, বিএনপি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক, কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন, আবদুস সালাম, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক, সাদেক আহমেদ খান অনেকে।