‘জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বিসিএল খেলার সুযোগ নেই’

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি মাঠে গড়াবে ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট বিসিএল, সেটি শেষ হতেই চারদিনের ম্যাচ মাঠে গড়াবে। ওই সময় নিউজিল্যান্ড সফর থাকায় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বিসিএল খেলার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের কথা চিন্তা করলে বাংলাদেশে তো আর খেলা হবে না। ওদের যে ব্যাস্ত ক্যালেন্ডার, সেগুলো নিয়ে চিন্তা করলে কোনও খেলা সম্ভব না। ওদের ছাড়াই বিসিএল খেলতে হবে। ওরা তো ব্যাস্ত থাকবে। পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট খেলার পরপরই ওরা নিউজিল্যান্ড যাচ্ছে। সুতরাং বিসিএল মিস করবে।’

প্রতি মৌসুমেই বলা হয় ক্যালেন্ডার মেনে চলবে ঘরোয়া ক্রিকেটে। আদতে সেই ক্যালেন্ডার মানা হয় না। ভবিষ্যতে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বাদ রেখেই ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডার বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মনে করেন খালেদ মাহমুদ, ‘জাতীয় দলকে মাথায় না রেখেই ক্যালেন্ডার করা উচিত। এই কথাটা তো আজকে থেকে হচ্ছে না। আমাদের যে ক্যালেন্ডার নেই তা না। আমাদেরটা পাবলিশ হয় না। অপারেশন্স থেকে তো দেওয়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কাজ হয়। আমরা বিপিএল-কে শুধু গুরুত্ব দেই, কারণ টি-২০তে উন্নতির জন্য এই টুর্নামেন্টটা খেলতে হবে। আবার প্রিমিয়ার লীগও আছে। আসলে ওদের (জাতীয় দলের ক্রিকেটার) নিয়ে চিন্তা করলে আমরা কোনও টুর্নামেন্ট করতে পারব না। ওদের জন্য বঞ্চিত হবে বাকি ছেলেগুলো। এটা তো ঠিক না।’

জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের না পেয়ে প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবগুলো লীগ খেলতে না চাওয়ার অনেক উদাহরণ আছে। সুজন মনে করেন, এভাবে ক্রিকেট চলতে পারে না, ‘না এটা হতে পারে না, হবেও না। আমরা ডিটারমাইন্ড যে প্রিমিয়ার লীগ খেলার সময়ে জাতীয় দলের খেলা চলে এলে প্রিমিয়ার লীগ বন্ধ হবে না। সুতরাং এভাবেই সব দলকে বলা হয়েছে।’

শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১ , ২৭ কার্তিক ১৪২৮ ৬ রবিউস সানি ১৪৪৩

‘জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বিসিএল খেলার সুযোগ নেই’

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি মাঠে গড়াবে ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট বিসিএল, সেটি শেষ হতেই চারদিনের ম্যাচ মাঠে গড়াবে। ওই সময় নিউজিল্যান্ড সফর থাকায় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বিসিএল খেলার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের কথা চিন্তা করলে বাংলাদেশে তো আর খেলা হবে না। ওদের যে ব্যাস্ত ক্যালেন্ডার, সেগুলো নিয়ে চিন্তা করলে কোনও খেলা সম্ভব না। ওদের ছাড়াই বিসিএল খেলতে হবে। ওরা তো ব্যাস্ত থাকবে। পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট খেলার পরপরই ওরা নিউজিল্যান্ড যাচ্ছে। সুতরাং বিসিএল মিস করবে।’

প্রতি মৌসুমেই বলা হয় ক্যালেন্ডার মেনে চলবে ঘরোয়া ক্রিকেটে। আদতে সেই ক্যালেন্ডার মানা হয় না। ভবিষ্যতে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বাদ রেখেই ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডার বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মনে করেন খালেদ মাহমুদ, ‘জাতীয় দলকে মাথায় না রেখেই ক্যালেন্ডার করা উচিত। এই কথাটা তো আজকে থেকে হচ্ছে না। আমাদের যে ক্যালেন্ডার নেই তা না। আমাদেরটা পাবলিশ হয় না। অপারেশন্স থেকে তো দেওয়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কাজ হয়। আমরা বিপিএল-কে শুধু গুরুত্ব দেই, কারণ টি-২০তে উন্নতির জন্য এই টুর্নামেন্টটা খেলতে হবে। আবার প্রিমিয়ার লীগও আছে। আসলে ওদের (জাতীয় দলের ক্রিকেটার) নিয়ে চিন্তা করলে আমরা কোনও টুর্নামেন্ট করতে পারব না। ওদের জন্য বঞ্চিত হবে বাকি ছেলেগুলো। এটা তো ঠিক না।’

জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের না পেয়ে প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবগুলো লীগ খেলতে না চাওয়ার অনেক উদাহরণ আছে। সুজন মনে করেন, এভাবে ক্রিকেট চলতে পারে না, ‘না এটা হতে পারে না, হবেও না। আমরা ডিটারমাইন্ড যে প্রিমিয়ার লীগ খেলার সময়ে জাতীয় দলের খেলা চলে এলে প্রিমিয়ার লীগ বন্ধ হবে না। সুতরাং এভাবেই সব দলকে বলা হয়েছে।’