ক্রিকেটপ্রেমীদের মনও জিতলেন মিচেল

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে বিতর্কিত নিয়মের জেরে হারতে হয়েছিল। ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপে এসে সেই হারের মধুর বদলা নিল নিউজিল্যান্ড। আর ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার দেশকে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলে কিউই ক্রিকেটে মহানায়কের মতো উঠে এলেন ড্যারেল মিচেল। কিন্তু, বুধবার রাতে তিনি যে শুধু দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন তাই নয়, সেই সঙ্গে জিতে নিয়েছেন হাজার হাজার ক্রিকেটপ্রেমীর মন। ক্রিকেটকে কেন ভদ্রলোকদের খেলা বলা হয়, আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন মিচেল।

এমনিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৪৭ বলে ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মিচেল। ওপেনিং থেকে ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত মাঠে ছিলেন তিনি। নিজের হাতে ম্যাচ শেষ করেন। সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে এহেন ইনিংস নিঃসন্দেহে প্রশংসা কুড়িয়েছে। একই সঙ্গে প্রশংসা কুড়িয়েছে তার খেলোয়াড়সুলভ আচরণ। এমনিতে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বিশ্বের অজাতশত্রু। ক্রিকেট মাঠে স্পোর্টসম্যানস স্পিরিট এবং ভদ্র আচরণের নজির গড়েছে তারা। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে মিচেল যেটা করলেন, সেটা বোধহয় অতি বড় স্পোর্টসম্যানের পক্ষেও করাটা খুব কঠিন ছিল। বিশেষ করে, সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে।

নিউজিল্যান্ড তখন রান করতে গিয়ে বেশ চাপে। শেষ ১৮ বলে দরকার ৩৪ রান। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে আদিল রশিদের বল লং অফের দিকে ঠেলে দেন কিউই ব্যাটসম্যান নিশাম। আদিল রশিদ বলটি ফিল্ডিং করার চেষ্টা করছিলেন। ঠিক তখনই রান নিতে উদ্যত হন মিচেল। যার ফলে বল ধরতে সমস্যা হয় রশিদের। তিনি বলটি ধরতে পারেননি। সেটি চলে যায় লং-অফ ফিল্ডারের কাছে। ক্রিকেটে এমনটা হয়েই থাকে। এরপর চাইলেই ওই বলটিতে একটি সিঙ্গেল নিয়ে নিতে পারতেন মিচেল। কিন্তু তিনি তা করেননি। রশিদ যেহেতু তার জন্য বাধা পেয়েছেন তাই রানটি না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন মিচেল। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো ম্যাচ যা একপ্রকার অভাবনীয়।

ম্যাচ শেষে এই অভাবনীয় কা-টি প্রসঙ্গে মিচেল বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, আমি বোধহয় রশিদকে বলটি ধরতে বাধা দিয়ে ফেলেছি। আমি বিতর্কে জড়াতে চাইনি। তাই খোলামনেই রানটি নিতে চাইনি। আমরা খেলোয়াড় সুলভ মানসিকতা নিয়ে ক্রিকেটটা খেলি। আমার মনে হয়েছিল এটা আমার ভুল, তাই রান নিইনি। আমি ভাগ্যবান যে খেলার ফলাফলে এর কোনও প্রভাব পড়েনি।’

শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১ , ২৭ কার্তিক ১৪২৮ ৬ রবিউস সানি ১৪৪৩

ক্রিকেটপ্রেমীদের মনও জিতলেন মিচেল

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে বিতর্কিত নিয়মের জেরে হারতে হয়েছিল। ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপে এসে সেই হারের মধুর বদলা নিল নিউজিল্যান্ড। আর ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার দেশকে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলে কিউই ক্রিকেটে মহানায়কের মতো উঠে এলেন ড্যারেল মিচেল। কিন্তু, বুধবার রাতে তিনি যে শুধু দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন তাই নয়, সেই সঙ্গে জিতে নিয়েছেন হাজার হাজার ক্রিকেটপ্রেমীর মন। ক্রিকেটকে কেন ভদ্রলোকদের খেলা বলা হয়, আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন মিচেল।

এমনিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৪৭ বলে ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মিচেল। ওপেনিং থেকে ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত মাঠে ছিলেন তিনি। নিজের হাতে ম্যাচ শেষ করেন। সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে এহেন ইনিংস নিঃসন্দেহে প্রশংসা কুড়িয়েছে। একই সঙ্গে প্রশংসা কুড়িয়েছে তার খেলোয়াড়সুলভ আচরণ। এমনিতে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বিশ্বের অজাতশত্রু। ক্রিকেট মাঠে স্পোর্টসম্যানস স্পিরিট এবং ভদ্র আচরণের নজির গড়েছে তারা। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে মিচেল যেটা করলেন, সেটা বোধহয় অতি বড় স্পোর্টসম্যানের পক্ষেও করাটা খুব কঠিন ছিল। বিশেষ করে, সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে।

নিউজিল্যান্ড তখন রান করতে গিয়ে বেশ চাপে। শেষ ১৮ বলে দরকার ৩৪ রান। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে আদিল রশিদের বল লং অফের দিকে ঠেলে দেন কিউই ব্যাটসম্যান নিশাম। আদিল রশিদ বলটি ফিল্ডিং করার চেষ্টা করছিলেন। ঠিক তখনই রান নিতে উদ্যত হন মিচেল। যার ফলে বল ধরতে সমস্যা হয় রশিদের। তিনি বলটি ধরতে পারেননি। সেটি চলে যায় লং-অফ ফিল্ডারের কাছে। ক্রিকেটে এমনটা হয়েই থাকে। এরপর চাইলেই ওই বলটিতে একটি সিঙ্গেল নিয়ে নিতে পারতেন মিচেল। কিন্তু তিনি তা করেননি। রশিদ যেহেতু তার জন্য বাধা পেয়েছেন তাই রানটি না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন মিচেল। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো ম্যাচ যা একপ্রকার অভাবনীয়।

ম্যাচ শেষে এই অভাবনীয় কা-টি প্রসঙ্গে মিচেল বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, আমি বোধহয় রশিদকে বলটি ধরতে বাধা দিয়ে ফেলেছি। আমি বিতর্কে জড়াতে চাইনি। তাই খোলামনেই রানটি নিতে চাইনি। আমরা খেলোয়াড় সুলভ মানসিকতা নিয়ে ক্রিকেটটা খেলি। আমার মনে হয়েছিল এটা আমার ভুল, তাই রান নিইনি। আমি ভাগ্যবান যে খেলার ফলাফলে এর কোনও প্রভাব পড়েনি।’