শেয়ারবাজারে উত্থান, মূলধন ফিরলো পাঁচ হাজার কোটি টাকা

আগের সপ্তাহে পতন হলেও গত সপ্তাহে উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচকই বেড়েছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। আর আগের সপ্তাহে ১২ হাজার কোটি টাকা হারালেও গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৮ কোটি ১২ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৩ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৭০ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩১ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা চার হাজার ৯১১ কোটি ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৫৪৮ টাকা বা ০.৮৯ শতাংশ বাজার মূলধন ফিরেছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পাঁচ হাজার ৮৯৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯০ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ছয় হাজার ৪৩০ কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৮৫৭ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৫৩১ কোটি ৯৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৬৭ টাকা বা ৮ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৯.২১ পয়েন্ট বা ১.২৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৯৯৫.৯৩ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৫.৩৯ পয়েন্ট বা ১.০৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭৯.৬৮ পয়েন্ট বা ৩.০৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৭৭.৫৮ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬৮০.৯৭ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টির বা ৩৭.২০ শতাংশের, কমেছে ২০৮টির বা ৫৪.৮৮ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির বা ৭.৯২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৬৫ কোটি ৮০ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৩ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২০৮ কোটি ৬১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪২ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার ৮৮৩ টাকা বা ২০ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯৯.২৫ পয়েন্ট বা ১.৪৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৪৯৭.২৩ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৮৫.৪১ পয়েন্ট বা ১.৫২ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২২৫.৬৩ পয়েন্ট বা ১.৬০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৪০.০৫ পয়েন্ট বা ২.৬৬ শতাংশ এবং সিএসআই ১৪.৩৬ পয়েন্ট বা ১.১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৩১৭.৯৮ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ২৬৩.৬৭ পয়েন্টে, এক হাজার ৫৪৫.৭৭ পয়েন্টে এবং এক হাজার ২৭৬.৮২ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১২৯টির বা ৩৮.৯৭ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৭৪টির বা ৫২.৫৭ শতাংশের কমেছে এবং ২৮টির বা ৮.৪৬ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) এক শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৮.৪৫ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৮.৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.১৮ পয়েন্ট বা ০.৯৮ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১.২৫ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৩২.০৯ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪১.১৪ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৩.৫২ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৯.০৭ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২২.০৩ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৮৯.৮৮ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৩৩.৭৮ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৫.৪৬ শতাংশ, চামড়া খাতের ৫০.৩৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৯.৯৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৪৬.২৩ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৯৬৪.০৯ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৫.১৬ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.৯০ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩১.৭৬ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৮৯.৯৬ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৭.৪২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ , ২৮ কার্তিক ১৪২৮ ৭ রবিউস সানি ১৪৪৩

শেয়ারবাজারে উত্থান, মূলধন ফিরলো পাঁচ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

আগের সপ্তাহে পতন হলেও গত সপ্তাহে উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচকই বেড়েছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। আর আগের সপ্তাহে ১২ হাজার কোটি টাকা হারালেও গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৮ কোটি ১২ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৩ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৭০ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩১ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা চার হাজার ৯১১ কোটি ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৫৪৮ টাকা বা ০.৮৯ শতাংশ বাজার মূলধন ফিরেছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পাঁচ হাজার ৮৯৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯০ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ছয় হাজার ৪৩০ কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৮৫৭ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৫৩১ কোটি ৯৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৬৭ টাকা বা ৮ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৯.২১ পয়েন্ট বা ১.২৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৯৯৫.৯৩ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৫.৩৯ পয়েন্ট বা ১.০৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭৯.৬৮ পয়েন্ট বা ৩.০৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৭৭.৫৮ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬৮০.৯৭ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টির বা ৩৭.২০ শতাংশের, কমেছে ২০৮টির বা ৫৪.৮৮ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির বা ৭.৯২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৬৫ কোটি ৮০ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৩ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২০৮ কোটি ৬১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪২ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার ৮৮৩ টাকা বা ২০ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯৯.২৫ পয়েন্ট বা ১.৪৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৪৯৭.২৩ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৮৫.৪১ পয়েন্ট বা ১.৫২ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২২৫.৬৩ পয়েন্ট বা ১.৬০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৪০.০৫ পয়েন্ট বা ২.৬৬ শতাংশ এবং সিএসআই ১৪.৩৬ পয়েন্ট বা ১.১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৩১৭.৯৮ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ২৬৩.৬৭ পয়েন্টে, এক হাজার ৫৪৫.৭৭ পয়েন্টে এবং এক হাজার ২৭৬.৮২ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১২৯টির বা ৩৮.৯৭ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৭৪টির বা ৫২.৫৭ শতাংশের কমেছে এবং ২৮টির বা ৮.৪৬ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) এক শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৮.৪৫ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৮.৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.১৮ পয়েন্ট বা ০.৯৮ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১.২৫ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৩২.০৯ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪১.১৪ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৩.৫২ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৯.০৭ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২২.০৩ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৮৯.৮৮ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৩৩.৭৮ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৫.৪৬ শতাংশ, চামড়া খাতের ৫০.৩৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৯.৯৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৪৬.২৩ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৯৬৪.০৯ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৫.১৬ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.৯০ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩১.৭৬ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৮৯.৯৬ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৭.৪২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।