হাইকোর্টের নির্দেশে কাটা পাহাড় ভরাট

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট বিভাগের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশে কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরি পাহাড় নামক কাটা পাহাড়ের ভরাট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রায় ৩০টি ট্রাক ও অর্ধশতাধিক শ্রমিক মাটি ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ সময় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম, কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম শাহাদাত আলম ও সাংবাদিক আবদুল মতলব কালু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ২০১১ সালে ‘বাঁশখালীতে পাহাড় কেটে ৬ মাসে ২৬ হাজার ট্রাক মাটি বিক্রি’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এই রিটের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৪ জুলাই হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন তিন দফা নির্দেশনা দেন।

আদেশে বিজ্ঞ আদালত পাহাড় যাতে কেউ না কাটে, তা তদারকি করা, যারা পাহাড় কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া ও যারা পাহাড় কেটেছে তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে মাটি ভরাট করে পাহাড় পূর্বাবস্থায় ফেরাতে নির্দেশ দেয়া হয়। সেই নির্দেশ অমান্য করার দায়ে গত ৩০ জুন চট্টগ্রাম ও বাঁশখালীর তৎকালীন ও বর্তমান জেলা প্রশাসক, ইউএনও, পুলিশ সুপার, ওসিসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার এক রুল জারি করেন আদালত।

কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ ন ম শাহাদত আলম বলেন, পাহাড়ের পূর্বের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনতে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে পাহাড় ভরাট কার্যক্রম চলছে।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে কেটে ফেলা গুনাগরি পাহাড়ের ভরাট কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পাহাড় ভরাটের মাধ্যমে গুনাগরি পাহাড়কে পূর্বের রূপ ও অবয়ব ফিরিয়ে আনা হবে এবং এ লক্ষ্যে সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।’

শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ , ২৮ কার্তিক ১৪২৮ ৭ রবিউস সানি ১৪৪৩

হাইকোর্টের নির্দেশে কাটা পাহাড় ভরাট

প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)

image

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) : আদালতের নির্দেশে মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পাহাড় -সংবাদ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট বিভাগের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশে কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরি পাহাড় নামক কাটা পাহাড়ের ভরাট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রায় ৩০টি ট্রাক ও অর্ধশতাধিক শ্রমিক মাটি ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ সময় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম, কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম শাহাদাত আলম ও সাংবাদিক আবদুল মতলব কালু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ২০১১ সালে ‘বাঁশখালীতে পাহাড় কেটে ৬ মাসে ২৬ হাজার ট্রাক মাটি বিক্রি’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এই রিটের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৪ জুলাই হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন তিন দফা নির্দেশনা দেন।

আদেশে বিজ্ঞ আদালত পাহাড় যাতে কেউ না কাটে, তা তদারকি করা, যারা পাহাড় কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া ও যারা পাহাড় কেটেছে তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে মাটি ভরাট করে পাহাড় পূর্বাবস্থায় ফেরাতে নির্দেশ দেয়া হয়। সেই নির্দেশ অমান্য করার দায়ে গত ৩০ জুন চট্টগ্রাম ও বাঁশখালীর তৎকালীন ও বর্তমান জেলা প্রশাসক, ইউএনও, পুলিশ সুপার, ওসিসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার এক রুল জারি করেন আদালত।

কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ ন ম শাহাদত আলম বলেন, পাহাড়ের পূর্বের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনতে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে পাহাড় ভরাট কার্যক্রম চলছে।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে কেটে ফেলা গুনাগরি পাহাড়ের ভরাট কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পাহাড় ভরাটের মাধ্যমে গুনাগরি পাহাড়কে পূর্বের রূপ ও অবয়ব ফিরিয়ে আনা হবে এবং এ লক্ষ্যে সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।’