নিত্যপণ্যের বাজারে তেলের প্রভাব

পরিবহন ধর্মঘটের সময় বেড়ে যাওয়া পণ্যের দাম এখনও অপরিবর্তিত

জ্বালানি তেলের বাড়তি দামের প্রভাব ইতোমধ্যে নিত্যপণ্যের বাজারে পড়তে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় শ্রমিকদের মজুরিও বেশি দিতে হচ্ছে। পণ্য পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। পণ্যের বাজারমূল্য সরকারি হিসাবের সঙ্গে মিলছে না।

অপরদিকে সাধারণ ক্রেতারা দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদেরই দায়ী করছেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু যখন তেলের বাজার স্বাভাবিক ছিল তখন কেন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করেছিল তারা?

বাজারে শীতের সবজি শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলাসহ সবধরনের সবজি ভরপুর থাকলেও সবকিছুর দাম বাড়তি। দীর্ঘদিন ধরে বাড়তি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সেই দামে হেরফের হয়নি। চালের দামও বাড়তে শুরু করেছে। তবে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সেই সঙ্গে আলু ও পেঁয়াজের দামেও কোন পরিবর্তন আসেনি।

গতকাল পাইকারি বাজারে সরু চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। সরকারি প্রতিষ্ঠান কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাবে খুচরা বাজারে এর যৌক্তিক মূল্য হবে ৫৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি। টিসিবির বাজারদরের হিসাবে খুচরা বাজারে ৫৮ টাকার নিচে কোন সরু চাল পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ সর্বনি¤œ দামের সরু চাল কেজিপ্রতি তিন টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে গতকাল মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪১ থেকে ৪৩ টাকা কেজি। কৃষি বিপণনের হিসাবে মোটা চালের খুচরা মূল্য হবে ৪৩ থেকে ৪৬ টাকা কেজি।

খুচরা বাজারে মোটা চাল কিনতে লাগছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। চাল গত সপ্তাহেও এই দামে বিক্রি হয়েছে। অথচ এরই মধ্যে আমনের মৌসুম শুরু হয়েছে। বাজারে চালের কোন ঘাটতি নেই। সে হিসাবে দাম কমার কথা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম যেটুকু কমতো, তা তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচে চলে যাচ্ছে। তাই এবার দাম কমতে সময় লাগবে।

এছাড়া গতকাল কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। আর তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ২৫ টাকা। তিন সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি ‘পাকিস্তানি কক’ বা ‘সোনালি মুরগির’ দামও কিছুটা কমেছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। তবে লাল লেয়ার মুরগি দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার মুরগি এখন ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই-তিন সপ্তাহ ধরে বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ বেড়ে গেছে। এ কারণে ব্রয়লার মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে। ১৯০ টাকা থেকে এরই মধ্যে ১৬০ টাকায় নেমে এসেছে। সামনে ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগির দাম আরও কমবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা । তবে বাজারে মুরগির চাহিদা কমেনি। হোটেল, রেস্টুরেন্টগুলো এখন প্রচুর মুরগি কিনছে। তাছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানও হচ্ছে। তাই আমাদের ধারণা মুরগির দাম খুব বেশি কমবে না।

মুরগির দাম কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১১৫ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতো ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আগের মতই সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর ও টমেটো। মানভেদে এক কেজি গাজর ১০০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজি দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

তবে গত সপ্তাহে কিছুটা দাম বাড়া, এ সপ্তাহে কিছুটা কমেছে শিমের দাম। গত সপ্তাহে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিম এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আর গত সপ্তাহের মতো ঢেঁড়শের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।

এছাড়া পটল, বরবটি, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। ফুলকপির পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং বাঁধাকপির পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত তালিকায় থাকা অন্য সবজির মধ্যে ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাক বিক্রি হচ্ছে। আর পালন শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।

কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম বলেন, ‘দিন দিন বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। তবে সবজির দামে এখন শীতের সবজির প্রভাব পড়েনি। এ কারণে এখন সব ধরনের সবজির দাম একটু বেশি। তবে আমাদের ধারণা কিছুদিনের মধ্যেই অনেক সবজির দাম কমে আসবে।’

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে টাকি মাছ। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি।

শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ , ২৮ কার্তিক ১৪২৮ ৭ রবিউস সানি ১৪৪৩

নিত্যপণ্যের বাজারে তেলের প্রভাব

পরিবহন ধর্মঘটের সময় বেড়ে যাওয়া পণ্যের দাম এখনও অপরিবর্তিত

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

জ্বালানি তেলের বাড়তি দামের প্রভাব ইতোমধ্যে নিত্যপণ্যের বাজারে পড়তে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় শ্রমিকদের মজুরিও বেশি দিতে হচ্ছে। পণ্য পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। পণ্যের বাজারমূল্য সরকারি হিসাবের সঙ্গে মিলছে না।

অপরদিকে সাধারণ ক্রেতারা দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদেরই দায়ী করছেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু যখন তেলের বাজার স্বাভাবিক ছিল তখন কেন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করেছিল তারা?

বাজারে শীতের সবজি শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলাসহ সবধরনের সবজি ভরপুর থাকলেও সবকিছুর দাম বাড়তি। দীর্ঘদিন ধরে বাড়তি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সেই দামে হেরফের হয়নি। চালের দামও বাড়তে শুরু করেছে। তবে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সেই সঙ্গে আলু ও পেঁয়াজের দামেও কোন পরিবর্তন আসেনি।

গতকাল পাইকারি বাজারে সরু চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। সরকারি প্রতিষ্ঠান কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাবে খুচরা বাজারে এর যৌক্তিক মূল্য হবে ৫৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি। টিসিবির বাজারদরের হিসাবে খুচরা বাজারে ৫৮ টাকার নিচে কোন সরু চাল পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ সর্বনি¤œ দামের সরু চাল কেজিপ্রতি তিন টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে গতকাল মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪১ থেকে ৪৩ টাকা কেজি। কৃষি বিপণনের হিসাবে মোটা চালের খুচরা মূল্য হবে ৪৩ থেকে ৪৬ টাকা কেজি।

খুচরা বাজারে মোটা চাল কিনতে লাগছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। চাল গত সপ্তাহেও এই দামে বিক্রি হয়েছে। অথচ এরই মধ্যে আমনের মৌসুম শুরু হয়েছে। বাজারে চালের কোন ঘাটতি নেই। সে হিসাবে দাম কমার কথা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম যেটুকু কমতো, তা তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচে চলে যাচ্ছে। তাই এবার দাম কমতে সময় লাগবে।

এছাড়া গতকাল কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। আর তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ২৫ টাকা। তিন সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি ‘পাকিস্তানি কক’ বা ‘সোনালি মুরগির’ দামও কিছুটা কমেছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। তবে লাল লেয়ার মুরগি দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার মুরগি এখন ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই-তিন সপ্তাহ ধরে বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ বেড়ে গেছে। এ কারণে ব্রয়লার মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে। ১৯০ টাকা থেকে এরই মধ্যে ১৬০ টাকায় নেমে এসেছে। সামনে ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগির দাম আরও কমবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা । তবে বাজারে মুরগির চাহিদা কমেনি। হোটেল, রেস্টুরেন্টগুলো এখন প্রচুর মুরগি কিনছে। তাছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানও হচ্ছে। তাই আমাদের ধারণা মুরগির দাম খুব বেশি কমবে না।

মুরগির দাম কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১১৫ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতো ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আগের মতই সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর ও টমেটো। মানভেদে এক কেজি গাজর ১০০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজি দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

তবে গত সপ্তাহে কিছুটা দাম বাড়া, এ সপ্তাহে কিছুটা কমেছে শিমের দাম। গত সপ্তাহে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিম এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আর গত সপ্তাহের মতো ঢেঁড়শের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।

এছাড়া পটল, বরবটি, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। ফুলকপির পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং বাঁধাকপির পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত তালিকায় থাকা অন্য সবজির মধ্যে ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাক বিক্রি হচ্ছে। আর পালন শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।

কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম বলেন, ‘দিন দিন বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। তবে সবজির দামে এখন শীতের সবজির প্রভাব পড়েনি। এ কারণে এখন সব ধরনের সবজির দাম একটু বেশি। তবে আমাদের ধারণা কিছুদিনের মধ্যেই অনেক সবজির দাম কমে আসবে।’

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে টাকি মাছ। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি।