কিছু রাজনৈতিক ও সরকারি কর্মকর্তা কা-জ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছেন : ওবায়দুল কাদের

দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে কিছু দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্বহীন ও কা-জ্ঞানহীন বক্তব্য রেখে চলেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এমন ধরনের বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদ কিংবা সরকারি কর্মকর্তা সবারই একটি সুনির্দিষ্ট সীমারেখা আছে, আচরণবিধি আছে, সবার এ সীমারেখা মেনে চলা অতি আবশ্যক। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শুধু কোন কোন রাজনীতিবিদই নন, জনপ্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ সভা-সমিতি-সেমিনারে তাদের দায়িত্বের সীমারেখা অতিক্রম করে বক্তব্য রাখছেন, মন্তব্য করছেন, যা মোটেই শোভন নয়। আমাদের কারও কারও অতিউৎসাহী এবং বাড়তি কথা বা বক্তব্যে জনমনে ভুল মেসেজ যেতে পারে, যা দেশের জন্য মোটেই শুভ নয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে সবার বক্তব্য দেয়া বা মন্তব্য করার ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিম-ল বিবেচনা করা তথা সীমারেখা মেনে চলার আহ্বান জানান।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে স্বতঃস্ফূর্ত এবং উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বিতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এই নির্বাচনে কয়েকটি স্থানে সহিংসতার ঘটনা দুঃখজনক। তিনি সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনকে ঘিরে যে উৎসবমুখরতা তা ধরে রাখতে সবাইকে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যাতে এমন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ ধরে রাখতে নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান কাদের।

শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অন্ধ সমালোচনা করা বিএনপির এখন প্রতিদিনের রাজনৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ ও দেশের জন্য তারা কিছু করতে না পারলেও মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের কাজটি সুনিপুণভাবে করে যাচ্ছেন। তবে চূড়ান্ত বিচারে এসব অপপ্রচার বিএনপির বিরুদ্ধেই যাবে এবং যাচ্ছে, যা তারা এখনও বুঝতে পারছে না। এসব সত্য বিএনপি যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে ততই তাদের জন্য মঙ্গল বলেও মনে করেন কাদের।

বিচারব্যবস্থা দলীয়করণ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে বিএনপি মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের সমালোচনার এসব পুরনো হাতিয়ার এখন ভোঁতা হয়ে গেছে। এসব বিএনপির ধারাবাহিক কল্পিত অভিযোগের চর্বিত-চর্বন মাত্র।

দেশের বিচারবিভাগ স্বাধীনভাবেই কাজ করছে জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিচারের রায় বিএনপির পক্ষে গেলে বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন আর বিপক্ষে গেলে বলে সরকারের হস্তক্ষেপ। এগুলো তাদের পুরনো অভ্যাস। বিএনপির নীতি হচ্ছে, বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার।

বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হলে বলে আরও বেশি ভোটে জয়ী হতে পারতো, আর হারলে বলে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কাছে নিরপেক্ষ কমিশন মানে হচ্ছে নির্বাচনে জয়লাভের গ্যারান্টি প্রদান।

আরও খবর
‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করে জাতির মূলনীতি অসাম্প্রদায়িকতায় পেরেক ঠুকেছে’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ১২ মার্কিন সিনেটরের চিঠি
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ১০৩ জন হাসপাতালে
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ
‘আমি এই বাংলার পাড়া-গাঁয়ে বাঁধিয়াছি ঘর’
রাজবাড়ীতে আ’লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
নির্যাতনের মামলা করায় ফের সংবাদ সম্মেলন থেকে তুলে নিল ডিবি
প্রচারণার শুরুতেই স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলা টুকু পুত্রের সমর্থকদের
বিএনপি-জামায়াত প্রার্থী জয়ী, নেপথ্যে নানা কারণ
রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায়ে নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে -মির্জা ফখরুল
হেমন্তের নতুন ধানের গন্ধ মাঠজুড়ে

শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ , ২৮ কার্তিক ১৪২৮ ৭ রবিউস সানি ১৪৪৩

কিছু রাজনৈতিক ও সরকারি কর্মকর্তা কা-জ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছেন : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে কিছু দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্বহীন ও কা-জ্ঞানহীন বক্তব্য রেখে চলেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এমন ধরনের বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদ কিংবা সরকারি কর্মকর্তা সবারই একটি সুনির্দিষ্ট সীমারেখা আছে, আচরণবিধি আছে, সবার এ সীমারেখা মেনে চলা অতি আবশ্যক। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শুধু কোন কোন রাজনীতিবিদই নন, জনপ্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ সভা-সমিতি-সেমিনারে তাদের দায়িত্বের সীমারেখা অতিক্রম করে বক্তব্য রাখছেন, মন্তব্য করছেন, যা মোটেই শোভন নয়। আমাদের কারও কারও অতিউৎসাহী এবং বাড়তি কথা বা বক্তব্যে জনমনে ভুল মেসেজ যেতে পারে, যা দেশের জন্য মোটেই শুভ নয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে সবার বক্তব্য দেয়া বা মন্তব্য করার ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিম-ল বিবেচনা করা তথা সীমারেখা মেনে চলার আহ্বান জানান।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে স্বতঃস্ফূর্ত এবং উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বিতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এই নির্বাচনে কয়েকটি স্থানে সহিংসতার ঘটনা দুঃখজনক। তিনি সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনকে ঘিরে যে উৎসবমুখরতা তা ধরে রাখতে সবাইকে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যাতে এমন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ ধরে রাখতে নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান কাদের।

শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অন্ধ সমালোচনা করা বিএনপির এখন প্রতিদিনের রাজনৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ ও দেশের জন্য তারা কিছু করতে না পারলেও মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের কাজটি সুনিপুণভাবে করে যাচ্ছেন। তবে চূড়ান্ত বিচারে এসব অপপ্রচার বিএনপির বিরুদ্ধেই যাবে এবং যাচ্ছে, যা তারা এখনও বুঝতে পারছে না। এসব সত্য বিএনপি যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে ততই তাদের জন্য মঙ্গল বলেও মনে করেন কাদের।

বিচারব্যবস্থা দলীয়করণ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে বিএনপি মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের সমালোচনার এসব পুরনো হাতিয়ার এখন ভোঁতা হয়ে গেছে। এসব বিএনপির ধারাবাহিক কল্পিত অভিযোগের চর্বিত-চর্বন মাত্র।

দেশের বিচারবিভাগ স্বাধীনভাবেই কাজ করছে জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিচারের রায় বিএনপির পক্ষে গেলে বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন আর বিপক্ষে গেলে বলে সরকারের হস্তক্ষেপ। এগুলো তাদের পুরনো অভ্যাস। বিএনপির নীতি হচ্ছে, বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার।

বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হলে বলে আরও বেশি ভোটে জয়ী হতে পারতো, আর হারলে বলে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কাছে নিরপেক্ষ কমিশন মানে হচ্ছে নির্বাচনে জয়লাভের গ্যারান্টি প্রদান।