রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায়ে নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে -মির্জা ফখরুল

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দেয়ার মধ্যদিয়ে ‘সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত ‘দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছি। এ ধরনের রায় আমরা মেনে নিতে পারি না। বিচারব্যবস্থাকে পুরো দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, বৃহস্পতিবার একটা মামলার রায় হয়েছে। রেইনট্রি হোটেলে ২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলাতে যেটা দেখা যাচ্ছে, আমরা যেটুকু দেখছি পত্রিকাতে.. ঘটনা ঘটেছে স্বীকার করা হচ্ছে, আদালতেও স্বীকার করছে। কিন্তু রায় হচ্ছে কী? বেকসুর খালাস।

‘কেনো? কারণটা কী? কারণটা হচ্ছে যে, যারা যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, যাদেরকে একুইজড করা হয়েছে- দে আর সো পাওয়ারফুল। তাদের এতো টাকা! জুয়েলারি, এমপি.. এই সমস্ত। যার ফলে কী হয়েছে? আজকে সমস্ত নারী জাতিকে অপমান করে এদেরকে খালাস দেয়া হয়েছে।’ সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বন্দুক ঠেকিয়ে দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বলছে যে, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হয়েছে। সংঘর্ষ যা হয়, তার দায়-দায়িত্ব আমাদের না। এই ভদ্রলোকের (সিইসি) লজ্জা-শরম বলতে কিছুই নেই।’

‘এই বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাকে তিনি (সিইসি) ধ্বংস করলেন এবং নির্বাচনের যে চিন্তাভাবনা নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি, সেটা সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ করে আজকে কী করলেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে? আমাদের সাধারণ মানুষেরা এই নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট হয়, তারা জড়িত হয়, সেটাকে তিনি শেষ করে দিলেন।’

ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সহিংসতার জন্য সরকারকে অভিযুক্ত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে চারিদিকে তাকিয়ে দেখুন, কী করেছেন তারা। আমার কথা নয়, আজকের খবরের কাগজ খুললেই দেখবেন, এত বড় বড় রামদা, ছুরি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। চিন্তা করা যায়! আবার মন্ত্রীরা বলছেন, না না এটা তেমন কিছু না, একটু সাধারণ ঝগড়া-ঝাটি।

‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, এসব কিছুর মূলে আছে সরকার, সব কিছুর মূল হলেন শেখ হাসিনা। তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে, পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করেছে, বাংলাদেশ থেকে সমস্ত সুস্থ চিন্তা-ভাবনা, মুক্তচিন্তা- এগুলোকে নির্বাসিত করেছে এবং রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে। উদ্দেশ্য একটাই, এখানে কেউ রাজনীতি করবে না। তারা ক্ষমতা দখল করে বসে থাকবে,’ বলেন তিনি।

আরও খবর
‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করে জাতির মূলনীতি অসাম্প্রদায়িকতায় পেরেক ঠুকেছে’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ১২ মার্কিন সিনেটরের চিঠি
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ১০৩ জন হাসপাতালে
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ
‘আমি এই বাংলার পাড়া-গাঁয়ে বাঁধিয়াছি ঘর’
কিছু রাজনৈতিক ও সরকারি কর্মকর্তা কা-জ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছেন : ওবায়দুল কাদের
রাজবাড়ীতে আ’লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
নির্যাতনের মামলা করায় ফের সংবাদ সম্মেলন থেকে তুলে নিল ডিবি
প্রচারণার শুরুতেই স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলা টুকু পুত্রের সমর্থকদের
বিএনপি-জামায়াত প্রার্থী জয়ী, নেপথ্যে নানা কারণ
হেমন্তের নতুন ধানের গন্ধ মাঠজুড়ে

শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ , ২৮ কার্তিক ১৪২৮ ৭ রবিউস সানি ১৪৪৩

রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায়ে নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে -মির্জা ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দেয়ার মধ্যদিয়ে ‘সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত ‘দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছি। এ ধরনের রায় আমরা মেনে নিতে পারি না। বিচারব্যবস্থাকে পুরো দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, বৃহস্পতিবার একটা মামলার রায় হয়েছে। রেইনট্রি হোটেলে ২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলাতে যেটা দেখা যাচ্ছে, আমরা যেটুকু দেখছি পত্রিকাতে.. ঘটনা ঘটেছে স্বীকার করা হচ্ছে, আদালতেও স্বীকার করছে। কিন্তু রায় হচ্ছে কী? বেকসুর খালাস।

‘কেনো? কারণটা কী? কারণটা হচ্ছে যে, যারা যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, যাদেরকে একুইজড করা হয়েছে- দে আর সো পাওয়ারফুল। তাদের এতো টাকা! জুয়েলারি, এমপি.. এই সমস্ত। যার ফলে কী হয়েছে? আজকে সমস্ত নারী জাতিকে অপমান করে এদেরকে খালাস দেয়া হয়েছে।’ সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বন্দুক ঠেকিয়ে দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বলছে যে, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হয়েছে। সংঘর্ষ যা হয়, তার দায়-দায়িত্ব আমাদের না। এই ভদ্রলোকের (সিইসি) লজ্জা-শরম বলতে কিছুই নেই।’

‘এই বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাকে তিনি (সিইসি) ধ্বংস করলেন এবং নির্বাচনের যে চিন্তাভাবনা নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি, সেটা সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ করে আজকে কী করলেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে? আমাদের সাধারণ মানুষেরা এই নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট হয়, তারা জড়িত হয়, সেটাকে তিনি শেষ করে দিলেন।’

ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সহিংসতার জন্য সরকারকে অভিযুক্ত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে চারিদিকে তাকিয়ে দেখুন, কী করেছেন তারা। আমার কথা নয়, আজকের খবরের কাগজ খুললেই দেখবেন, এত বড় বড় রামদা, ছুরি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। চিন্তা করা যায়! আবার মন্ত্রীরা বলছেন, না না এটা তেমন কিছু না, একটু সাধারণ ঝগড়া-ঝাটি।

‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, এসব কিছুর মূলে আছে সরকার, সব কিছুর মূল হলেন শেখ হাসিনা। তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে, পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করেছে, বাংলাদেশ থেকে সমস্ত সুস্থ চিন্তা-ভাবনা, মুক্তচিন্তা- এগুলোকে নির্বাসিত করেছে এবং রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে। উদ্দেশ্য একটাই, এখানে কেউ রাজনীতি করবে না। তারা ক্ষমতা দখল করে বসে থাকবে,’ বলেন তিনি।