ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত আরও ১৫ জন ডিবি

পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে আরও ১৫ জনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। রিমান্ডে থাকা তিন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদে গতকাল এই তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

অভিযান পরিচালনাকারী ডিবি তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদত হোসেন শুক্রবার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ডে থাকা আসামিরা বলেছেন ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার দিন সকালে স্থাপন করা বুথে আরও ১৫ জন ব্যক্তি নিয়োগ প্রত্যাশীদের এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্ন ও উত্তর মুখস্থ করিয়েছিলেন। তাদের নামÑঠিকানা পাওয়া গেছে। এখন তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অভিযান চলছে। আইনের আওতায় আনা গেলে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

ডিবি পুলিশ এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় প্রথমে পাঁচজন ও পরে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। বাড্ডা থানায় তাদের বিরুদ্ধে হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ছয়জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাদের এখন ডিবি পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাকি দুজনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুদিন ও একদিন রিমান্ড শেষে আজ ৬ আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলা হবে।

ডিবির কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সদস্যরা গত ৬ নভেম্বর পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৬ ঘণ্টা আগে তারা রাজধানীর বাড্ডা, বসুন্ধরা, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, রূপনগর, মিরপুর, মাতুয়াইল, শেওড়াপাড়া, শেরে বাংলা নগর ও পল্লবী এলাকায় মোট ১১টি বুথ স্থাপন করে। তারা প্রতিটি বুথে ২০-৩০ জন করে চাকরি প্রত্যাশীকে এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্ন ও উত্তর মুখস্থ করান।

শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ , ২৮ কার্তিক ১৪২৮ ৭ রবিউস সানি ১৪৪৩

ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত আরও ১৫ জন ডিবি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে আরও ১৫ জনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। রিমান্ডে থাকা তিন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদে গতকাল এই তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

অভিযান পরিচালনাকারী ডিবি তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদত হোসেন শুক্রবার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ডে থাকা আসামিরা বলেছেন ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার দিন সকালে স্থাপন করা বুথে আরও ১৫ জন ব্যক্তি নিয়োগ প্রত্যাশীদের এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্ন ও উত্তর মুখস্থ করিয়েছিলেন। তাদের নামÑঠিকানা পাওয়া গেছে। এখন তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অভিযান চলছে। আইনের আওতায় আনা গেলে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

ডিবি পুলিশ এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় প্রথমে পাঁচজন ও পরে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। বাড্ডা থানায় তাদের বিরুদ্ধে হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ছয়জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাদের এখন ডিবি পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাকি দুজনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুদিন ও একদিন রিমান্ড শেষে আজ ৬ আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলা হবে।

ডিবির কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সদস্যরা গত ৬ নভেম্বর পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৬ ঘণ্টা আগে তারা রাজধানীর বাড্ডা, বসুন্ধরা, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, রূপনগর, মিরপুর, মাতুয়াইল, শেওড়াপাড়া, শেরে বাংলা নগর ও পল্লবী এলাকায় মোট ১১টি বুথ স্থাপন করে। তারা প্রতিটি বুথে ২০-৩০ জন করে চাকরি প্রত্যাশীকে এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্ন ও উত্তর মুখস্থ করান।