আইন করে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবি

প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিকখাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়লেও এখনো নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা যায়নি। এমনকি প্রতিরোধ করা যায়নি কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি। তাই, আইন করে এই সহিংসতা ও হয়রানি নিষিদ্ধ করাসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক সমাবেশে গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক খাদিজা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা সেলিনা হোসেন, মো. ফরিদ উদ্দীন, রোজিনা আক্তার সুমি প্রমুখ।

ফেডারেশনের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুস্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন করা; যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা আইনে রূপান্তর করা; কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা; কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানিমুক্ত কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রতিকার ও সহায়তা পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়া।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসনে কনভেনশন-১৯০ প্রণয়ন করে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সহিংসতা ও হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ তথা সহিংসতা ও হয়রানির ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ কর্মপরিবেশ উন্নয়ন করা আইএলও সদস্যভুক্ত প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। বাংলাদেশ সরকারের আইএলও কনভেনশন-১৯০ অনুস্বাক্ষরের দাবি আজ সবার। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে এই কনভেনশনটি সরকার গ্রহণ করলে দেশের প্রতিশ্রুতিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুদৃঢ় করবে। এটি বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।

শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ , ২৮ কার্তিক ১৪২৮ ৭ রবিউস সানি ১৪৪৩

আইন করে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিকখাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়লেও এখনো নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা যায়নি। এমনকি প্রতিরোধ করা যায়নি কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি। তাই, আইন করে এই সহিংসতা ও হয়রানি নিষিদ্ধ করাসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক সমাবেশে গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক খাদিজা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা সেলিনা হোসেন, মো. ফরিদ উদ্দীন, রোজিনা আক্তার সুমি প্রমুখ।

ফেডারেশনের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুস্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন করা; যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা আইনে রূপান্তর করা; কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা; কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানিমুক্ত কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রতিকার ও সহায়তা পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়া।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসনে কনভেনশন-১৯০ প্রণয়ন করে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সহিংসতা ও হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ তথা সহিংসতা ও হয়রানির ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ কর্মপরিবেশ উন্নয়ন করা আইএলও সদস্যভুক্ত প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। বাংলাদেশ সরকারের আইএলও কনভেনশন-১৯০ অনুস্বাক্ষরের দাবি আজ সবার। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে এই কনভেনশনটি সরকার গ্রহণ করলে দেশের প্রতিশ্রুতিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুদৃঢ় করবে। এটি বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।