মৃত ও প্রবাসীদের নামে ভোট দেয়ার প্রতিবাদ

মৃত ও প্রবাসীদের ভোট প্রদান দেখানোর প্রতিবাদ এবং তিনটি কেন্দ্রে পুর্ননিবাচনের দাবিতে ব্যালট পেপার হাতে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরাজিত এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে জামালপুর প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে সদর উপজেলার তুলশীরচর ইউনিয়নের আনারস প্রতিকের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মমিনুল হক মমিন এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মমিনুল হক মমিন অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার নির্বাচনে তুলশীরচর ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে পশ্চিম টেবিরচর কেন্দ্র, মধ্য গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং পূর্ব টেবিরচর কেন্দ্রের ফলাফলের তালিকা আমাদের দেয়নি প্রিজাইডিং অফিসাররা। কেন্দ্র থেকে ভোটের ফলাফল উপজেলায় আনার সময় পথিমধ্যে সুবিধাজনক স্থানে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা ব্যালট পেপারে সিল মারে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় পূর্ব টেবিরচর কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকরা জোরপূর্বক সিল মারতে গেলে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরে ওই কেন্দ্রের মাঠে একটি বইয়ে নৌকা প্রতীকের সিলসহ ৪৪টি ব্যালট পেপার (মুরিবই) পাওয়া যায়। সেই কেন্দ্রের মোট ভোটার ২ হাজার ১৬২ জন। এখানে নৌকা মার্কায় ভোট দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৫৮টি, আনারস মার্কায় ভোট দেখানো হয়েছে ৮৩টি। তাহলে মোট ভোটগ্রহণ হয়েছে ২ হাজার ১৪১টি। কিন্তু আমরা নৌকা প্রতীকের সিলসহ ৪৪টি ব্যালট পেপার পেয়েছি। তাহলে কিভাবে প্রিজাইডং অফিসার এই হিসাব মিল করলেন এবং মুরিবই ছাড়া কিভাবে ফলাফল ঘোষণা করলেন।

মো. মমিনুল হক মমিন বলেন, ইউনিয়নের পূর্ব টেবিরচর কেন্দ্রের আবদুল বারেক, মো. রমেশ, শামসুল হক, সুরুজ্জামান, আবদুল গফুরসহ অর্ধশতাধিক মৃত ব্যাক্তিদের ভোট প্রদান দেখানো হয়েছে। এছাড়াও বিদেশে অবস্থানরত আবু সাঈদ, আনোয়ার হোসেন, মোশারফ হোসেন, শাছুল হক ও খোকনসহ অনেক প্রবাসীদের ভোট প্রদানও দেখানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি খুব দ্রুত এই বিষয়গুলো নিয়ে অভিযোগ করবো এবং নির্বাচনী ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করবো।

এছাড়া তিনি সংবাদ সম্মেলনে তিনটি কেন্দ্রে পুর্ননিবাচনের দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে রিটার্নিং অফিসার দিলরুবা ইয়াসমিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফাকে মুঠোফোনে এসব বিষয়ে প্রশ্ন করার পর ফোনটি কেটে যায়। পরবর্তীতে তাকে আবারও ফোন দেয়া হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তুলশীরচর ইউনিয়নে মো. শহিদুল্লাহ নৌকা প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ০৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মমিনুল হক মমিন পেয়েছেন ৮ হাজার ৫০৪ ভোট। সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ , ২৮ কার্তিক ১৪২৮ ৭ রবিউস সানি ১৪৪৩

মৃত ও প্রবাসীদের নামে ভোট দেয়ার প্রতিবাদ

প্রতিনিধি, জামালপুর

মৃত ও প্রবাসীদের ভোট প্রদান দেখানোর প্রতিবাদ এবং তিনটি কেন্দ্রে পুর্ননিবাচনের দাবিতে ব্যালট পেপার হাতে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরাজিত এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে জামালপুর প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে সদর উপজেলার তুলশীরচর ইউনিয়নের আনারস প্রতিকের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মমিনুল হক মমিন এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মমিনুল হক মমিন অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার নির্বাচনে তুলশীরচর ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে পশ্চিম টেবিরচর কেন্দ্র, মধ্য গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং পূর্ব টেবিরচর কেন্দ্রের ফলাফলের তালিকা আমাদের দেয়নি প্রিজাইডিং অফিসাররা। কেন্দ্র থেকে ভোটের ফলাফল উপজেলায় আনার সময় পথিমধ্যে সুবিধাজনক স্থানে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা ব্যালট পেপারে সিল মারে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় পূর্ব টেবিরচর কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকরা জোরপূর্বক সিল মারতে গেলে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরে ওই কেন্দ্রের মাঠে একটি বইয়ে নৌকা প্রতীকের সিলসহ ৪৪টি ব্যালট পেপার (মুরিবই) পাওয়া যায়। সেই কেন্দ্রের মোট ভোটার ২ হাজার ১৬২ জন। এখানে নৌকা মার্কায় ভোট দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৫৮টি, আনারস মার্কায় ভোট দেখানো হয়েছে ৮৩টি। তাহলে মোট ভোটগ্রহণ হয়েছে ২ হাজার ১৪১টি। কিন্তু আমরা নৌকা প্রতীকের সিলসহ ৪৪টি ব্যালট পেপার পেয়েছি। তাহলে কিভাবে প্রিজাইডং অফিসার এই হিসাব মিল করলেন এবং মুরিবই ছাড়া কিভাবে ফলাফল ঘোষণা করলেন।

মো. মমিনুল হক মমিন বলেন, ইউনিয়নের পূর্ব টেবিরচর কেন্দ্রের আবদুল বারেক, মো. রমেশ, শামসুল হক, সুরুজ্জামান, আবদুল গফুরসহ অর্ধশতাধিক মৃত ব্যাক্তিদের ভোট প্রদান দেখানো হয়েছে। এছাড়াও বিদেশে অবস্থানরত আবু সাঈদ, আনোয়ার হোসেন, মোশারফ হোসেন, শাছুল হক ও খোকনসহ অনেক প্রবাসীদের ভোট প্রদানও দেখানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি খুব দ্রুত এই বিষয়গুলো নিয়ে অভিযোগ করবো এবং নির্বাচনী ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করবো।

এছাড়া তিনি সংবাদ সম্মেলনে তিনটি কেন্দ্রে পুর্ননিবাচনের দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে রিটার্নিং অফিসার দিলরুবা ইয়াসমিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফাকে মুঠোফোনে এসব বিষয়ে প্রশ্ন করার পর ফোনটি কেটে যায়। পরবর্তীতে তাকে আবারও ফোন দেয়া হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তুলশীরচর ইউনিয়নে মো. শহিদুল্লাহ নৌকা প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ০৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মমিনুল হক মমিন পেয়েছেন ৮ হাজার ৫০৪ ভোট। সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।