গ্রুপে সব ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেল। আপ্রাণ লড়াই করেও শেষ হাসি হাসতে পারল না বাবর আজমের দল। ফলে এবারের মতো ফাইনাল অধরা থেকে গেল তাদের।
পাকিস্তানের অধিনায়ক ম্যাচের পর দুঃখপ্রকাশ করেন তাদের ফিল্ডিং নিয়েই। বিশেষত শেষদিকে যেভাবে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ ফেলে দেন হাসান আলি, সেটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
বাবর বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে যত রান করার পরিকল্পনা করেছিলাম সেটাই করতে পেরেছি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শেষের দিকে ওদের বড্ড বেশি সুযোগ দিয়েছি আমরা। বড় দলকে এ রকম সুযোগ দিলে তার মূল্য চোকাতেই হয়। ক্যাচ হাতছাড়া করাটাই ম্যাচের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। ওটা নিয়ে নিলে ম্যাচের পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত।’
তবে প্রতিযোগিতায় যেভাবে খেলেছেন তাতে তৃপ্ত বাবর। বলেন, ‘গোটা প্রতিযোগিতা জুড়ে যে ধরনের ক্রিকেট আমরা খেলেছি তাতে অধিনায়ক হিসেবে আমি তৃপ্ত। আশা করা যায় এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের বিশ্বকাপে আরও শক্তিশালী হয়ে আমরা নামতে পারব। শুরু থেকে ভালো খেলতে থাকলে এরকম ছোটখাটো ভুল হয়েই থাকে। সেগুলোই শেষ দিকে বড় প্রভাব ফেলে। আমরা ক্রিকেটারদের কিছু ভূমিকা দিয়েছিলাম এবং সেটা ওরা ভালোভাবেই পালন করেছে। পাশাপাশি এখানে দর্শকদের সমর্থনও ভালোই পেয়েছি।’
ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের প্রতি বাবর
অস্ট্রেলিয়ার কাছে সেমিফাইনালে হেরে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ড্রেসিংরুমে আবেগঘন বক্তৃতা দিয়ে তাদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করলেন অধিনায়ক বাবর আজম। সেই বক্তৃতার ভিডিয়ো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড টুইটারে প্রকাশ করতেই তা ভাইরাল হয়েছে। প্রত্যেকেই বাবরের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
ম্যাচের পর ধীরে ধীরে ড্রেসিংরুমে ঢুকছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। মুখ নিচু করে যে যার জায়গায় বসে পড়লেন। সবার শেষে ঢুকলেন অধিনায়ক বাবর। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকেই তিনি বলতে শুরু করেন, এই হার যেন কোনভাবেই তাদের ঐক্য, সংহতি ভেঙে না দেয়।
বাবর বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকে দুঃখিত, ব্যথিত। কোথায় আমাদের ভুল হয়েছে এবং কোথায় উন্নতি করতে হবে, সেটা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। কেউ আমাদের সেটা বলে দেবে না, নিজেদেরই বুঝতে হবে। এই হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, বিশ্বকাপে যে ঐক্য গড়ে তুলেছি আমরা, তা যেন কোনভাবেই ভেঙে না যায়। কারও দিকে আঙুল তোলা চলবে না। কেউ প্রকাশ্যে বলবে না যে ও এটা করেছে, সে সেটা করেছে। আমরা দল হিসেবে ভালো খেলিনি। তাই কারও উচিত নয় একে অন্যের দিকে আঙুল তোলা।’
ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ ফেলার পর অনেকেই খলনায়ক বানানোর চেষ্টা করেছেন হাসান আলিকে। কিন্তু যোগ্য নেতার মতোই বাবর আগেই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারপর ড্রেসিংরুমে গিয়ে বার বার ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন।
বাবরের কথায়, ‘এই দল গড়ে তুলতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে আমাদের। একটা হারের ফলে সেটা যেন ভেঙে না যায়। আমি প্রত্যেকের পাশে রয়েছি। ড্রেসিংরুমে একটা দারুণ পরিবেশ তৈরি করেছি আমরা, যেখানে প্রত্যেকে একটা পরিবারের অংশ। প্রত্যেকে চেষ্টা করেছে, নিজের দায়বদ্ধতা ভালোভাবেই পালন করেছে।’
শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ , ২৮ কার্তিক ১৪২৮ ৭ রবিউস সানি ১৪৪৩
সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক
গ্রুপে সব ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেল। আপ্রাণ লড়াই করেও শেষ হাসি হাসতে পারল না বাবর আজমের দল। ফলে এবারের মতো ফাইনাল অধরা থেকে গেল তাদের।
পাকিস্তানের অধিনায়ক ম্যাচের পর দুঃখপ্রকাশ করেন তাদের ফিল্ডিং নিয়েই। বিশেষত শেষদিকে যেভাবে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ ফেলে দেন হাসান আলি, সেটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
বাবর বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে যত রান করার পরিকল্পনা করেছিলাম সেটাই করতে পেরেছি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শেষের দিকে ওদের বড্ড বেশি সুযোগ দিয়েছি আমরা। বড় দলকে এ রকম সুযোগ দিলে তার মূল্য চোকাতেই হয়। ক্যাচ হাতছাড়া করাটাই ম্যাচের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। ওটা নিয়ে নিলে ম্যাচের পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত।’
তবে প্রতিযোগিতায় যেভাবে খেলেছেন তাতে তৃপ্ত বাবর। বলেন, ‘গোটা প্রতিযোগিতা জুড়ে যে ধরনের ক্রিকেট আমরা খেলেছি তাতে অধিনায়ক হিসেবে আমি তৃপ্ত। আশা করা যায় এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের বিশ্বকাপে আরও শক্তিশালী হয়ে আমরা নামতে পারব। শুরু থেকে ভালো খেলতে থাকলে এরকম ছোটখাটো ভুল হয়েই থাকে। সেগুলোই শেষ দিকে বড় প্রভাব ফেলে। আমরা ক্রিকেটারদের কিছু ভূমিকা দিয়েছিলাম এবং সেটা ওরা ভালোভাবেই পালন করেছে। পাশাপাশি এখানে দর্শকদের সমর্থনও ভালোই পেয়েছি।’
ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের প্রতি বাবর
অস্ট্রেলিয়ার কাছে সেমিফাইনালে হেরে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ড্রেসিংরুমে আবেগঘন বক্তৃতা দিয়ে তাদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করলেন অধিনায়ক বাবর আজম। সেই বক্তৃতার ভিডিয়ো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড টুইটারে প্রকাশ করতেই তা ভাইরাল হয়েছে। প্রত্যেকেই বাবরের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
ম্যাচের পর ধীরে ধীরে ড্রেসিংরুমে ঢুকছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। মুখ নিচু করে যে যার জায়গায় বসে পড়লেন। সবার শেষে ঢুকলেন অধিনায়ক বাবর। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকেই তিনি বলতে শুরু করেন, এই হার যেন কোনভাবেই তাদের ঐক্য, সংহতি ভেঙে না দেয়।
বাবর বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকে দুঃখিত, ব্যথিত। কোথায় আমাদের ভুল হয়েছে এবং কোথায় উন্নতি করতে হবে, সেটা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। কেউ আমাদের সেটা বলে দেবে না, নিজেদেরই বুঝতে হবে। এই হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, বিশ্বকাপে যে ঐক্য গড়ে তুলেছি আমরা, তা যেন কোনভাবেই ভেঙে না যায়। কারও দিকে আঙুল তোলা চলবে না। কেউ প্রকাশ্যে বলবে না যে ও এটা করেছে, সে সেটা করেছে। আমরা দল হিসেবে ভালো খেলিনি। তাই কারও উচিত নয় একে অন্যের দিকে আঙুল তোলা।’
ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ ফেলার পর অনেকেই খলনায়ক বানানোর চেষ্টা করেছেন হাসান আলিকে। কিন্তু যোগ্য নেতার মতোই বাবর আগেই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারপর ড্রেসিংরুমে গিয়ে বার বার ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন।
বাবরের কথায়, ‘এই দল গড়ে তুলতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে আমাদের। একটা হারের ফলে সেটা যেন ভেঙে না যায়। আমি প্রত্যেকের পাশে রয়েছি। ড্রেসিংরুমে একটা দারুণ পরিবেশ তৈরি করেছি আমরা, যেখানে প্রত্যেকে একটা পরিবারের অংশ। প্রত্যেকে চেষ্টা করেছে, নিজের দায়বদ্ধতা ভালোভাবেই পালন করেছে।’