ইপিজেড : সম্ভাবনার নতুন দ্বার

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল সংক্ষেপে ইপিজেড। বাংলাদেশে উৎপাদিত কৃষি পণ্য ও অন্যান্য বিশ্বমানের পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে দেশীয় পণ্য বিশ্ব বাজারে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সাহায্য করে যাচ্ছে ইপিজেডগুলো। ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রাম ইপিজেডের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে দেশে ইপিজেডের সংখ্যা ৮টি। চট্টগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লা, মংলা, উত্তরা, ঈশ্বরদী, কর্তফুলী ও আদমজী।

বেপজার তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট ৮টি ইপিজেডের মধ্যে বাংলাদেশসহ ৩৮টি দেশের ৪৫৯টি অধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ৭০ শতাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠান বিদেশি বিনিয়োগ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। আর যথাযথ বিনিয়োগের পরিবেশ থাকার কারণে দিনদিন বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দেশের ৮টি ইপিজেড আমাদের জিডিপিতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। করোনা মহামারির ফলে বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলেছে। ইপিজেডে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো আবারও সুষ্ঠুভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে দেশের ৮ টি ইপিজেডে পর্যাপ্ত জমি বা জায়গা না থাকার কারণে অনেক বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগ করতে পারছে না। তাই উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের চাহিদা মেটাতে ইপিজেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরি। উন্নত মানের টেকনোলজি নির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। একটি দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধি করতে বৈদেশিক বিনিয়োগের বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে নিজ দেশের বেকারত্ব, দারিদ্র্যতা দূর করতে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করা জরুরি। তাই টেকসই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে সরকারকে এই বিষয়ের উপর জোর দেওয়ার অনুরোধ করছি।

কাজী মো. হাসান

আরও খবর

শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ , ২৮ কার্তিক ১৪২৮ ৭ রবিউস সানি ১৪৪৩

ইপিজেড : সম্ভাবনার নতুন দ্বার

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল সংক্ষেপে ইপিজেড। বাংলাদেশে উৎপাদিত কৃষি পণ্য ও অন্যান্য বিশ্বমানের পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে দেশীয় পণ্য বিশ্ব বাজারে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সাহায্য করে যাচ্ছে ইপিজেডগুলো। ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রাম ইপিজেডের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে দেশে ইপিজেডের সংখ্যা ৮টি। চট্টগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লা, মংলা, উত্তরা, ঈশ্বরদী, কর্তফুলী ও আদমজী।

বেপজার তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট ৮টি ইপিজেডের মধ্যে বাংলাদেশসহ ৩৮টি দেশের ৪৫৯টি অধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ৭০ শতাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠান বিদেশি বিনিয়োগ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। আর যথাযথ বিনিয়োগের পরিবেশ থাকার কারণে দিনদিন বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দেশের ৮টি ইপিজেড আমাদের জিডিপিতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। করোনা মহামারির ফলে বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলেছে। ইপিজেডে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো আবারও সুষ্ঠুভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে দেশের ৮ টি ইপিজেডে পর্যাপ্ত জমি বা জায়গা না থাকার কারণে অনেক বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগ করতে পারছে না। তাই উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের চাহিদা মেটাতে ইপিজেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরি। উন্নত মানের টেকনোলজি নির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। একটি দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধি করতে বৈদেশিক বিনিয়োগের বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে নিজ দেশের বেকারত্ব, দারিদ্র্যতা দূর করতে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করা জরুরি। তাই টেকসই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে সরকারকে এই বিষয়ের উপর জোর দেওয়ার অনুরোধ করছি।

কাজী মো. হাসান