ইমতিয়াজ আহমেদ সজল
বাংলাদেশে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান-সংক্রান্ত একটি নির্ভরযোগ্য ও সর্বজনস্বীকৃত আইনি কাঠামো তৈরিতে বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও একাডেমি অব ল অ্যান্ড পলিসি (আলাপ) কর্তৃক যৌথভাবে দায়েরকৃত একটি জনস্বার্থে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ প্রাথমিক শুনানি অন্তে অসুস্থ ব্যক্তিদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্যর্থতায় হাসপাতালসমূহকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে অসম্মতি জ্ঞাপন না করার নির্দেশনা প্রদান করে রুল জারি করেছেন। ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি রিটটির বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে। তবে আদালত বিবাদীদের প্রতি কিছু অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা দিয়েছেন।
আদেশে বলা হয়েছে, কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে যখনই হাসপাতাল বা ক্লিনিক অথবা চিকিৎসকদের নিকট আনা হয়, উক্ত অসুস্থ ব্যক্তির তাৎক্ষণিক জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসম্মতি জ্ঞাপন করতে পারবে না। যদি কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এরূপ জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ব্যবস্থা না থাকে, সেক্ষেত্রে জরুরি সেবাসমূহ বিদ্যমান রয়েছে এমন নিকটস্থ কোন হাসপাতালে উক্ত ব্যক্তিকে প্রেরণ করতে হবে। এছাড়াও, আদালত সব বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকসমূহের একটি তালিকা, জরুরি চিকিৎসাসেবা বিভাগ বিদ্যমান রয়েছে এমন হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের একটি পৃথকতালিকা এবং ঐসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বর্তমান অবস্থার বিস্তারিত বিবরণসহ একটি তালিকা আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের নতুন লাইসেন্স ইস্যু করার সময় এবং বিদ্যমান রেজিস্টার্ড হাসপাতাল বা ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন করার সময় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান বিভাগ আবশ্যিকভাবে বিদ্যমান থাকতে হবে, এমনটা নিশ্চিত করতেও রুলে উল্লেখ করেছেন আদালত।
বাংলাদেশে বিভিন্ন অজুহাতে অসুস্থ বা গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে অনীহা বা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা প্রায় সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে একটি নিত্যনৈমিত্তিক চিত্র। দেশের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে যে-কোন অসুস্থ বা আহত ব্যক্তি, যাদের যথা সময়ে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া না হলে মৃত্যু, স্থায়ী নানাবিধ শারীরিক জটিলতার শিকার হতে পারেনÑএমন ব্যক্তিদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতা তুলে ধরা হয়েছে রিট আবেদনে। রিট আবেদনে জরুরি সেবা প্রয়োজন কিন্তু সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সেবা না দেয়ার বিভিন্ন তথ্য/প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়। ২০১৮ সালে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবকালীন চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার অনেক প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর শুরুর দিকেও করোনা উপসর্গযুক্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে অনিচ্ছা বা অপারগতা প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তিও দিয়ে রেখেছিল অনেক হাসপাতাল। ঠিক সময়ে জরুরি চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছেন অনেকেই। অবর্ণনীয় দুর্দশা ও ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
ইতিপূর্বে, ২০১৬ সালে ঢাকার বনানীতে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত একজন তরুণের জরুরি চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৈয়দ সাইফুদ্দিন কামাল মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্টের সহায়তায়, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জনগোষ্ঠীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার আইনগত ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং আহত লোকদের সহায়তাকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করেন।
২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য দেশের সব হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়ে রুল দেন এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শাতে বলেন। এরপর, বিভিন্ন সময়ে আদালত সংশ্লিষ্ট পক্ষদের ১৩ বার নির্দেশনা জারি করে বিভিন্ন আদেশ দেন। ওই নির্দেশনার পরই ২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগ দেশে প্রথমবারের মতো একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করে তা হাইকোর্ট বিভাগে দাখিল করে। এ সময়ে আদালত সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ও সহায়তাকারীকে সুরক্ষা প্রদানে ‘নীতিমালা’ প্রণয়নের পুরো প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর, গত ৮ আগস্ট ২০১৮-তে চূড়ান্ত রায়ে আদালত দেখিয়েছেন যে, জরুরি চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসেবা ও ডাক্তারদের পেশাগত আচরণ বা নৈতিকতা-সংক্রান্ত দেশের বিদ্যমান আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে কোনো কার্যকর বিধান নেই। আর এ সুযোগে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো এ ধরনের সেবা দেয়া থেকে বিরত থাকছে। তাদের অর্থলিপ্সা ও চিকিৎসায় চরম অবহেলা সীমা লঙ্ঘন করেছে। বিদ্যমান আইনের এ শূন্যতা দূর করতেই আদালত ঘোষণা করেন যে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় একটি নতুন আইন প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত এই নীতিমালা আইন হিসেবে বিবেচিত হবে। এই রায়ের ফলে দেশের যে কোনো প্রান্তে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তির জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদান নিশ্চিত হবে। কারণ রায়ে আদালত বলেছেন, আহত ব্যক্তির চিকিৎসাসেবা প্রদানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখাতে পারবে না।
[লেখক : শিক্ষক]
সৌজন্যে : আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)
শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ , ২৮ কার্তিক ১৪২৮ ৭ রবিউস সানি ১৪৪৩
ইমতিয়াজ আহমেদ সজল
বাংলাদেশে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান-সংক্রান্ত একটি নির্ভরযোগ্য ও সর্বজনস্বীকৃত আইনি কাঠামো তৈরিতে বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও একাডেমি অব ল অ্যান্ড পলিসি (আলাপ) কর্তৃক যৌথভাবে দায়েরকৃত একটি জনস্বার্থে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ প্রাথমিক শুনানি অন্তে অসুস্থ ব্যক্তিদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্যর্থতায় হাসপাতালসমূহকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে অসম্মতি জ্ঞাপন না করার নির্দেশনা প্রদান করে রুল জারি করেছেন। ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি রিটটির বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে। তবে আদালত বিবাদীদের প্রতি কিছু অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা দিয়েছেন।
আদেশে বলা হয়েছে, কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে যখনই হাসপাতাল বা ক্লিনিক অথবা চিকিৎসকদের নিকট আনা হয়, উক্ত অসুস্থ ব্যক্তির তাৎক্ষণিক জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসম্মতি জ্ঞাপন করতে পারবে না। যদি কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এরূপ জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ব্যবস্থা না থাকে, সেক্ষেত্রে জরুরি সেবাসমূহ বিদ্যমান রয়েছে এমন নিকটস্থ কোন হাসপাতালে উক্ত ব্যক্তিকে প্রেরণ করতে হবে। এছাড়াও, আদালত সব বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকসমূহের একটি তালিকা, জরুরি চিকিৎসাসেবা বিভাগ বিদ্যমান রয়েছে এমন হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের একটি পৃথকতালিকা এবং ঐসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বর্তমান অবস্থার বিস্তারিত বিবরণসহ একটি তালিকা আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের নতুন লাইসেন্স ইস্যু করার সময় এবং বিদ্যমান রেজিস্টার্ড হাসপাতাল বা ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন করার সময় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান বিভাগ আবশ্যিকভাবে বিদ্যমান থাকতে হবে, এমনটা নিশ্চিত করতেও রুলে উল্লেখ করেছেন আদালত।
বাংলাদেশে বিভিন্ন অজুহাতে অসুস্থ বা গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে অনীহা বা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা প্রায় সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে একটি নিত্যনৈমিত্তিক চিত্র। দেশের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে যে-কোন অসুস্থ বা আহত ব্যক্তি, যাদের যথা সময়ে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া না হলে মৃত্যু, স্থায়ী নানাবিধ শারীরিক জটিলতার শিকার হতে পারেনÑএমন ব্যক্তিদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতা তুলে ধরা হয়েছে রিট আবেদনে। রিট আবেদনে জরুরি সেবা প্রয়োজন কিন্তু সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সেবা না দেয়ার বিভিন্ন তথ্য/প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়। ২০১৮ সালে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবকালীন চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার অনেক প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর শুরুর দিকেও করোনা উপসর্গযুক্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে অনিচ্ছা বা অপারগতা প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তিও দিয়ে রেখেছিল অনেক হাসপাতাল। ঠিক সময়ে জরুরি চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছেন অনেকেই। অবর্ণনীয় দুর্দশা ও ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
ইতিপূর্বে, ২০১৬ সালে ঢাকার বনানীতে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত একজন তরুণের জরুরি চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৈয়দ সাইফুদ্দিন কামাল মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্টের সহায়তায়, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জনগোষ্ঠীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার আইনগত ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং আহত লোকদের সহায়তাকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করেন।
২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য দেশের সব হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়ে রুল দেন এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শাতে বলেন। এরপর, বিভিন্ন সময়ে আদালত সংশ্লিষ্ট পক্ষদের ১৩ বার নির্দেশনা জারি করে বিভিন্ন আদেশ দেন। ওই নির্দেশনার পরই ২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগ দেশে প্রথমবারের মতো একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করে তা হাইকোর্ট বিভাগে দাখিল করে। এ সময়ে আদালত সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ও সহায়তাকারীকে সুরক্ষা প্রদানে ‘নীতিমালা’ প্রণয়নের পুরো প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর, গত ৮ আগস্ট ২০১৮-তে চূড়ান্ত রায়ে আদালত দেখিয়েছেন যে, জরুরি চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসেবা ও ডাক্তারদের পেশাগত আচরণ বা নৈতিকতা-সংক্রান্ত দেশের বিদ্যমান আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে কোনো কার্যকর বিধান নেই। আর এ সুযোগে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো এ ধরনের সেবা দেয়া থেকে বিরত থাকছে। তাদের অর্থলিপ্সা ও চিকিৎসায় চরম অবহেলা সীমা লঙ্ঘন করেছে। বিদ্যমান আইনের এ শূন্যতা দূর করতেই আদালত ঘোষণা করেন যে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় একটি নতুন আইন প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত এই নীতিমালা আইন হিসেবে বিবেচিত হবে। এই রায়ের ফলে দেশের যে কোনো প্রান্তে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তির জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদান নিশ্চিত হবে। কারণ রায়ে আদালত বলেছেন, আহত ব্যক্তির চিকিৎসাসেবা প্রদানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখাতে পারবে না।
[লেখক : শিক্ষক]
সৌজন্যে : আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)