ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নে ফিলিপাইনের মেয়ে জেসমিন আক্তার নারী মেম্বার হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জেসমিন পান ৪ হাজার ৪৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বক প্রতীকের শিমু আক্তার পান ১ হাজার ৮৩৭ ভোট।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত (১, ২ ও ৩ নম্বর) ওয়ার্ডে তিনি মাইক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ফিলিপাইনের নামি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগে জেসমিন পড়াশোনা করেছেন। গ্র্যাজুয়েশন শেষের পর সিঙ্গাপুরে চাকরি করতে গিয়ে পরিচয় হয় বাংলাদেশি তরুণ জুলহাস উদ্দিনের সঙ্গে। পরিচয় থেকে প্রেম, এরপর বিয়ে। জিন ক্যাটামিন জুলহাসের প্রেমের টানে মা-বাবা ছেড়ে চলে আসেন ১০ বছর আগে বাংলাদেশে। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বিজয়ী হওয়ার পর জেসমিন গ্রামের রাস্তায় বের হলেই উৎসুক মানুষ তাকে দেখতে ভিড় করছেন। তার মুখে ইংরেজি কথা শুনে অনেকেই আনন্দ প্রকাশ করেন। স্বামী জুলহাস মিয়া দোভাষী হিসেবে সাধারণ মানুষের কথা ইংরেজিতে অনুবাদ করে বুঝিয়ে দেন জেসমিনকে।
জুলহাস ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দবরদস্তা গ্রামের আবদুস সামাদ ম-লের ছেলে। ১৯৯৮ সালে সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানিতে চাকরি করার সময় সহকর্মী জিন ক্যাটামিন পেট্রিয়াকার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে চাকরি ছেড়ে জুলহাস বাংলাদেশ চলে আসেন, জিন ক্যাটামিনও তার দেশে ফিলিপাইনে চলে যান। তবে ফোনে তাদের যোগাযোগ ছিল। ২০১০ সালে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলে জিন ক্যাটামিন পেট্রিয়াকার নতুন নাম হয় জেসমিন আক্তার জুলহাস। বাংলাদেশে আসার পর তিনি এ দেশের নাগরিকত্ব পান। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
জুলহাস জানান, জেসমিন মানুষকে নানাভাবে উপকার করার চেষ্টা করেন। তার ভেতর নেতৃত্বের গুণ রয়েছে। তাই এলাকাবাসীর অনুরোধে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জেসমিন।
জেসমিন আক্তার জুলহাস বলেন, ‘আমার স্বামী জুলহাসের জন্য নিজের দেশ ও বাবা-মাকে ছেড়ে বাংলাদেশ ছুটে আসি। এ দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এলাকার গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মেম্বার পদে নির্বাচনে করি। মানুষ ভালোবেসে আমাকে বিজয়ী করেছে। মানুষের ভালোবাসাকে কাজে লাগিয়ে তাদের সেবা করতে চাই।’
প্রতিবেশীরা বলেন, তিনি নিজের দেশ, পরিবার ছেড়ে এখানে এসে আমাদেরকে আপন করে নিয়েছেন। আমরাও তাকে অনেক পছন্দ করি। সেজন্যই তাকে আমরা ভোট দিয়ে পাস করিয়েছি। তিনি এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন।
রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১ , ২৯ কার্তিক ১৪২৮ ৮ রবিউস সানি ১৪৪৩
প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নে ফিলিপাইনের মেয়ে জেসমিন আক্তার নারী মেম্বার হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জেসমিন পান ৪ হাজার ৪৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বক প্রতীকের শিমু আক্তার পান ১ হাজার ৮৩৭ ভোট।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত (১, ২ ও ৩ নম্বর) ওয়ার্ডে তিনি মাইক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ফিলিপাইনের নামি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগে জেসমিন পড়াশোনা করেছেন। গ্র্যাজুয়েশন শেষের পর সিঙ্গাপুরে চাকরি করতে গিয়ে পরিচয় হয় বাংলাদেশি তরুণ জুলহাস উদ্দিনের সঙ্গে। পরিচয় থেকে প্রেম, এরপর বিয়ে। জিন ক্যাটামিন জুলহাসের প্রেমের টানে মা-বাবা ছেড়ে চলে আসেন ১০ বছর আগে বাংলাদেশে। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বিজয়ী হওয়ার পর জেসমিন গ্রামের রাস্তায় বের হলেই উৎসুক মানুষ তাকে দেখতে ভিড় করছেন। তার মুখে ইংরেজি কথা শুনে অনেকেই আনন্দ প্রকাশ করেন। স্বামী জুলহাস মিয়া দোভাষী হিসেবে সাধারণ মানুষের কথা ইংরেজিতে অনুবাদ করে বুঝিয়ে দেন জেসমিনকে।
জুলহাস ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দবরদস্তা গ্রামের আবদুস সামাদ ম-লের ছেলে। ১৯৯৮ সালে সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানিতে চাকরি করার সময় সহকর্মী জিন ক্যাটামিন পেট্রিয়াকার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে চাকরি ছেড়ে জুলহাস বাংলাদেশ চলে আসেন, জিন ক্যাটামিনও তার দেশে ফিলিপাইনে চলে যান। তবে ফোনে তাদের যোগাযোগ ছিল। ২০১০ সালে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলে জিন ক্যাটামিন পেট্রিয়াকার নতুন নাম হয় জেসমিন আক্তার জুলহাস। বাংলাদেশে আসার পর তিনি এ দেশের নাগরিকত্ব পান। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
জুলহাস জানান, জেসমিন মানুষকে নানাভাবে উপকার করার চেষ্টা করেন। তার ভেতর নেতৃত্বের গুণ রয়েছে। তাই এলাকাবাসীর অনুরোধে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জেসমিন।
জেসমিন আক্তার জুলহাস বলেন, ‘আমার স্বামী জুলহাসের জন্য নিজের দেশ ও বাবা-মাকে ছেড়ে বাংলাদেশ ছুটে আসি। এ দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এলাকার গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মেম্বার পদে নির্বাচনে করি। মানুষ ভালোবেসে আমাকে বিজয়ী করেছে। মানুষের ভালোবাসাকে কাজে লাগিয়ে তাদের সেবা করতে চাই।’
প্রতিবেশীরা বলেন, তিনি নিজের দেশ, পরিবার ছেড়ে এখানে এসে আমাদেরকে আপন করে নিয়েছেন। আমরাও তাকে অনেক পছন্দ করি। সেজন্যই তাকে আমরা ভোট দিয়ে পাস করিয়েছি। তিনি এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন।