বাইডেন-শি জিনপিং বৈঠকে বসছেন সোমবার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আগামী সোমবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। বৈঠকটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা, প্রতিযোগিতা এবং সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে এ বৈঠকে। এক বিবৃতিতে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউজ। খবর আল-জাজিরার।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানান, বাইডেন ও শি সোমবার আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। এতে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে দুটি দেশের দায়িত্বশীল আচরণসহ সম্ভাব্য আগ্রহের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। জেন সাকি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছা, গুরুত্ব ও চীনের সঙ্গে উদ্বেগের বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরবেন।

সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগর, তাইওয়ান, হংকং ও জিনজিয়াং প্রদেশের ইস্যু নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়।

উত্তেজনা প্রশমনে অক্টোবরে দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগের উন্নতি ঘটে। সে সময়ই বছরের শেষ দিকে বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের বৈঠকের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।

রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন আশা করছে- বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেও কিছুটা স্থিতিশীলতা তৈরি করবে এই আলোচনা।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মতপার্থক্য মেটাতে চীনও প্রস্তুত। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আর এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করার আগ্রহের কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।

অন্যদিকে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে এখন এক নতুন ‘শীতল যুদ্ধ’ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। তাইওয়ানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তেজনা বেড়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। এবার সেসব উত্তেজনাকে এক পাশে রেখে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে বৈঠকে বসছেন জো বাইডেন ও শি জিনপিং।

রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১ , ২৯ কার্তিক ১৪২৮ ৮ রবিউস সানি ১৪৪৩

বাইডেন-শি জিনপিং বৈঠকে বসছেন সোমবার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আগামী সোমবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। বৈঠকটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা, প্রতিযোগিতা এবং সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে এ বৈঠকে। এক বিবৃতিতে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউজ। খবর আল-জাজিরার।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানান, বাইডেন ও শি সোমবার আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। এতে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে দুটি দেশের দায়িত্বশীল আচরণসহ সম্ভাব্য আগ্রহের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। জেন সাকি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছা, গুরুত্ব ও চীনের সঙ্গে উদ্বেগের বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরবেন।

সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগর, তাইওয়ান, হংকং ও জিনজিয়াং প্রদেশের ইস্যু নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়।

উত্তেজনা প্রশমনে অক্টোবরে দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগের উন্নতি ঘটে। সে সময়ই বছরের শেষ দিকে বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের বৈঠকের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।

রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন আশা করছে- বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেও কিছুটা স্থিতিশীলতা তৈরি করবে এই আলোচনা।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মতপার্থক্য মেটাতে চীনও প্রস্তুত। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আর এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করার আগ্রহের কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।

অন্যদিকে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে এখন এক নতুন ‘শীতল যুদ্ধ’ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। তাইওয়ানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তেজনা বেড়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। এবার সেসব উত্তেজনাকে এক পাশে রেখে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে বৈঠকে বসছেন জো বাইডেন ও শি জিনপিং।