শুধু আইনের প্রয়োগ করে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের মতো সামাজিক সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার কারণে প্রত্যক্ষদর্শীরা সাক্ষ্য দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং অপরাধীদের প্রভাবের ভয়ে সাক্ষ্য দেয়ার ঝুঁকি নিতে চায় না। কুমিল্লার ঘটনায় কোন রাজনৈতিক ইন্ধন আছে কি না তা নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে পুলিশের কোন কর্মকর্তার অবহেলা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গতকাল তেজগাঁও’র এফডিসিতে ‘গণজাগরণই পারে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণ পদ রায়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মামলা তদন্ত থেকে শুরু করে বিচার প্রক্রিয়ায় দেরির কারণে মানুষের আবেগও হ্রাস পায়। কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও প্রতি বছর দশ শতাংশ হারে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা বাড়ছে।
গণজাগরণের মাধ্যমে বিশেষ ইস্যুতে যে সাফল্য অর্জিত হয় তা পরবর্তীতে টেকসই হয় না। আমাদের দেশের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় অসাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা দেয়া হয় না।
কমিশনার আরও বলেন, আমরা যথাযথভাবে দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে তুলতে পারছি না। ফলে বিভিন্ন সময়ে সমাজের কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। পুলিশি তদন্তে দেখা যায় রামু ও নাসিরনগরের ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সক্রিয় সব রাজনৈতিক দলের কর্মীরা জড়িত ছিল।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় রয়েছে তবে আপাতত দেশের কোথাও সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ঝুঁকি নেইও বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ধর্মীয় উগ্রবাদীরা বারবার দায়মুক্তি পাওয়ার কারণে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে প্রতিযোগিতায় প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে কুমিল্লা ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক মৌ খন্দকার, সাংবাদিক আলাউদ্দিন আরিফ, সাংবাদিক শাহনাজ শারমীন ও সাংবাদিক অনিমেষ কর।
রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১ , ২৯ কার্তিক ১৪২৮ ৮ রবিউস সানি ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
শুধু আইনের প্রয়োগ করে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের মতো সামাজিক সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার কারণে প্রত্যক্ষদর্শীরা সাক্ষ্য দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং অপরাধীদের প্রভাবের ভয়ে সাক্ষ্য দেয়ার ঝুঁকি নিতে চায় না। কুমিল্লার ঘটনায় কোন রাজনৈতিক ইন্ধন আছে কি না তা নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে পুলিশের কোন কর্মকর্তার অবহেলা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গতকাল তেজগাঁও’র এফডিসিতে ‘গণজাগরণই পারে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণ পদ রায়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মামলা তদন্ত থেকে শুরু করে বিচার প্রক্রিয়ায় দেরির কারণে মানুষের আবেগও হ্রাস পায়। কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও প্রতি বছর দশ শতাংশ হারে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা বাড়ছে।
গণজাগরণের মাধ্যমে বিশেষ ইস্যুতে যে সাফল্য অর্জিত হয় তা পরবর্তীতে টেকসই হয় না। আমাদের দেশের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় অসাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা দেয়া হয় না।
কমিশনার আরও বলেন, আমরা যথাযথভাবে দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে তুলতে পারছি না। ফলে বিভিন্ন সময়ে সমাজের কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। পুলিশি তদন্তে দেখা যায় রামু ও নাসিরনগরের ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সক্রিয় সব রাজনৈতিক দলের কর্মীরা জড়িত ছিল।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় রয়েছে তবে আপাতত দেশের কোথাও সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ঝুঁকি নেইও বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ধর্মীয় উগ্রবাদীরা বারবার দায়মুক্তি পাওয়ার কারণে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে প্রতিযোগিতায় প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে কুমিল্লা ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক মৌ খন্দকার, সাংবাদিক আলাউদ্দিন আরিফ, সাংবাদিক শাহনাজ শারমীন ও সাংবাদিক অনিমেষ কর।