দীর্ঘ ৮ মাস পর হেফাজতি তাণ্ডবে ভস্মীভূত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন শনিবার থেকে পুরোপুরি চালু হয়েছে। সকালে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন কমলাপুর স্টেশন থেকে এবং সদর আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে থেকে স্টেশনটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জয়ন্তীকা এক্রপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্যদিয়ে স্টেশনটির পুর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হয়। এতে জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়। এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ রেলস্টেশনে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করে। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়ামিন হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামিসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরী রেলস্টেশন সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর অনন্য ভূমিকার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি স্টেশন ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সূবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন ঠেকাতে হেফাজতের কর্মী সমর্থকেরা ২৬শে মার্চই ব্রাক্ষণবাড়িয়া রেলস্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্মিসংযোগসহ তাণ্ডব চালায়।
এ হামলায় সিগন্যাল সিস্টেম ধ্বংস হওয়ায় দীর্ঘ ৮ মাস স্টেশনটি বন্ধ থাকে। এরপর রেল মন্ত্রণালয় প্রায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশ থেকে সিগন্যাল সিস্টেম এনে পুনঃসংযোগের মাধ্যমে শনিবার থেকে পুনরায় রেলস্টেশনটি চালু হয়েছে।
স্টেশন মাস্টার শোয়েব মিয়া জানান, আজ উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনটি আবারও ‘ডি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রুপান্তরিত হল। এতে ব্রাক্ষণবাড়িয়া ট্রেনযাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগও কষ্ট লাগব হল।
রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১ , ২৯ কার্তিক ১৪২৮ ৮ রবিউস সানি ১৪৪৩
জেলা বার্তা পরিবেশক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দীর্ঘ ৮ মাস পর হেফাজতি তাণ্ডবে ভস্মীভূত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন শনিবার থেকে পুরোপুরি চালু হয়েছে। সকালে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন কমলাপুর স্টেশন থেকে এবং সদর আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে থেকে স্টেশনটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জয়ন্তীকা এক্রপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্যদিয়ে স্টেশনটির পুর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হয়। এতে জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়। এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ রেলস্টেশনে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করে। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়ামিন হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামিসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরী রেলস্টেশন সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর অনন্য ভূমিকার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি স্টেশন ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সূবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন ঠেকাতে হেফাজতের কর্মী সমর্থকেরা ২৬শে মার্চই ব্রাক্ষণবাড়িয়া রেলস্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্মিসংযোগসহ তাণ্ডব চালায়।
এ হামলায় সিগন্যাল সিস্টেম ধ্বংস হওয়ায় দীর্ঘ ৮ মাস স্টেশনটি বন্ধ থাকে। এরপর রেল মন্ত্রণালয় প্রায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশ থেকে সিগন্যাল সিস্টেম এনে পুনঃসংযোগের মাধ্যমে শনিবার থেকে পুনরায় রেলস্টেশনটি চালু হয়েছে।
স্টেশন মাস্টার শোয়েব মিয়া জানান, আজ উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনটি আবারও ‘ডি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রুপান্তরিত হল। এতে ব্রাক্ষণবাড়িয়া ট্রেনযাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগও কষ্ট লাগব হল।