ইতালি প্রবাসী স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে শুনেই তালাক দিয়ে সন্তানকে নিয়ে দক্ষিণখানে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন গৃহবধূ সুরভী (৩২)। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে পরিচয় হয় স্থানীয় নাজমুল নামে আরেক যুবকের সঙ্গে। স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নাজমুল প্রায়ই সুরভীর ফ্ল্যাটে গিয়ে রাত্রিযাপন করতেন। গত শুক্রবার ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নাজমুলের দাবি, ঝগড়া করে সুরভী আত্মহত্যা করেছে। তবে পুলিশ বলছে, মৃত্যুর জন্য নাজমুলের দায় আছে।
দক্ষিণখান থানা পুলিশ জানায়, নাজমুলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ নাজমুলকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। সুরভীর চেয়ে নাজমুলের বয়স ১০ বছর কম।
দক্ষিণখানের ফায়েদাবাদ এলাকায় একটি বাসার নিচতলায় সুরভী ভাড়া থাকতেন। দুই মাস আগে নাজমুল ও সুরভী ওই ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া নেন। নাজমুলের বাসা দক্ষিণখানেই। সেখানে তার বাবা-মা থাকেন। প্রতি বৃহস্পতিবার তিনি সুরভীর ওই ভাড়া ফ্ল্যাটে আসতেন, শুক্রবারও তারা এক সঙ্গে ছিল।
পুলিশ জানায়, নাজমুল পুলিশকে জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে সুরভীর ফ্ল্যাটে নাজমুল এলে দুইজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। রাত ১১টার দিকে একটি ঘরে সুরভী ঢুকে দরজা ‘লক’ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর নাজমুল ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে বাইরে এসে জানালা দিয়ে দেখে সুরভী সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে। পরে নিরাপত্তা কর্মীর কাছ থেকে বিকল্প চাবি নিয়ে দরজা খুলে সুরভীকে নিচে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান নাজমুল। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তারা এই বাসায় উঠে। তবে বিয়ের কোন কাগজ বা অন্য কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি নাজমুল। এক ইতালি প্রবাসীর সঙ্গে সুরভীর ১৩-১৪ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তাদের ১০-১১ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। ইতালিতে স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছে শুনে ৭-৮ মাস আগে তাকে তালাক দেন সুরভী। এরপর ফেইসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে নাজমুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। সুরভীর শিশুপুত্র তার নানীর কাছে গ্রামের বাড়িতে থাকে। সুরভী ঢাকায় কী করতেন, তা তার পরিবারের সদস্যরা জানত না। আর নাজমুলের বিষয়েও জানত না তার পরিবার। তবে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জেনেছে, তারা দুজন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসে দুপুরের খাবার সরবরাহ করতেন।
রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১ , ২৯ কার্তিক ১৪২৮ ৮ রবিউস সানি ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
ইতালি প্রবাসী স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে শুনেই তালাক দিয়ে সন্তানকে নিয়ে দক্ষিণখানে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন গৃহবধূ সুরভী (৩২)। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে পরিচয় হয় স্থানীয় নাজমুল নামে আরেক যুবকের সঙ্গে। স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নাজমুল প্রায়ই সুরভীর ফ্ল্যাটে গিয়ে রাত্রিযাপন করতেন। গত শুক্রবার ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নাজমুলের দাবি, ঝগড়া করে সুরভী আত্মহত্যা করেছে। তবে পুলিশ বলছে, মৃত্যুর জন্য নাজমুলের দায় আছে।
দক্ষিণখান থানা পুলিশ জানায়, নাজমুলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ নাজমুলকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। সুরভীর চেয়ে নাজমুলের বয়স ১০ বছর কম।
দক্ষিণখানের ফায়েদাবাদ এলাকায় একটি বাসার নিচতলায় সুরভী ভাড়া থাকতেন। দুই মাস আগে নাজমুল ও সুরভী ওই ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া নেন। নাজমুলের বাসা দক্ষিণখানেই। সেখানে তার বাবা-মা থাকেন। প্রতি বৃহস্পতিবার তিনি সুরভীর ওই ভাড়া ফ্ল্যাটে আসতেন, শুক্রবারও তারা এক সঙ্গে ছিল।
পুলিশ জানায়, নাজমুল পুলিশকে জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে সুরভীর ফ্ল্যাটে নাজমুল এলে দুইজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। রাত ১১টার দিকে একটি ঘরে সুরভী ঢুকে দরজা ‘লক’ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর নাজমুল ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে বাইরে এসে জানালা দিয়ে দেখে সুরভী সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে। পরে নিরাপত্তা কর্মীর কাছ থেকে বিকল্প চাবি নিয়ে দরজা খুলে সুরভীকে নিচে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান নাজমুল। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তারা এই বাসায় উঠে। তবে বিয়ের কোন কাগজ বা অন্য কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি নাজমুল। এক ইতালি প্রবাসীর সঙ্গে সুরভীর ১৩-১৪ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তাদের ১০-১১ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। ইতালিতে স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছে শুনে ৭-৮ মাস আগে তাকে তালাক দেন সুরভী। এরপর ফেইসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে নাজমুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। সুরভীর শিশুপুত্র তার নানীর কাছে গ্রামের বাড়িতে থাকে। সুরভী ঢাকায় কী করতেন, তা তার পরিবারের সদস্যরা জানত না। আর নাজমুলের বিষয়েও জানত না তার পরিবার। তবে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জেনেছে, তারা দুজন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসে দুপুরের খাবার সরবরাহ করতেন।