রাজধানীর গুলশানে ১০ তলা থেকে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সানা রেজওয়ান নামের ওই শিক্ষার্থী উত্তরার সানবিমস স্কুলে পড়তেন। পরিবারের সঙ্গে গুলশান-২ এর ৪১ নম্বর রোডের ‘বয়েজ ভিলা লায়লা’ নামের বহুতল ভবনের ১০ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। পুলিশ লাশ উদ্ধারে পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, পরিবারের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি ১০ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। পরিবার শিশুর মৃত্যু নিয়ে কোন অভিযোগও করেনি। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে। ওই শিশুর সঙ্গে পরিবার বা অন্য কারও সঙ্গে কোন অভিমান ছিল কি না বা স্কুলে কোন ঝামেলা ছিল কি না এসব বিষয়ে পুলিশ কিছু জেনেছে কি না প্রশ্ন করলে ওসি বলেন এখনও এসব বিষয়ে পরিস্কার করে কিছু জানা যায়নি।
ঢামেক সূত্র বলেছে, ময়নাতদন্তে মৃত্যু কারণ এবং ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে কি না, তা জানতে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তার শরীরের কয়েকটি অংশে ট্যাটু করানো ছিল। মৃত সানার বাবা রেজওয়ান সেলিম একজন ব্যবসায়ী, মা কানিজ আফরোজ সুমি গৃহিণী।
এদিকে খিলগাঁওয়ে রিয়া মনি (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও সিপাহীবাগ আইসক্রিম ফ্যাক্টরি গলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে রিয়া মনির গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপায়। তিনি খিলগাঁও সিপাহীবাগ আইসক্রিম ফ্যাক্টরি গলি এলাকায় তার স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে পুলিশ তা তদন্ত করছে।
নিহতের বোন রেশমা আক্তার জানান, রিয়া মনির স্বামী ওবাইদুলের অন্য একটা মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। শনিবার ওবাইদুল বাসা থেকে বের হতে গেলে বাধা দেন তার বোন। কিন্তু ওবাইদুল কোন কথা না শুনে বেরিয়ে যান। পরে রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন রিয়া মনি। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১ , ২৯ কার্তিক ১৪২৮ ৮ রবিউস সানি ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
রাজধানীর গুলশানে ১০ তলা থেকে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সানা রেজওয়ান নামের ওই শিক্ষার্থী উত্তরার সানবিমস স্কুলে পড়তেন। পরিবারের সঙ্গে গুলশান-২ এর ৪১ নম্বর রোডের ‘বয়েজ ভিলা লায়লা’ নামের বহুতল ভবনের ১০ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। পুলিশ লাশ উদ্ধারে পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, পরিবারের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি ১০ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। পরিবার শিশুর মৃত্যু নিয়ে কোন অভিযোগও করেনি। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে। ওই শিশুর সঙ্গে পরিবার বা অন্য কারও সঙ্গে কোন অভিমান ছিল কি না বা স্কুলে কোন ঝামেলা ছিল কি না এসব বিষয়ে পুলিশ কিছু জেনেছে কি না প্রশ্ন করলে ওসি বলেন এখনও এসব বিষয়ে পরিস্কার করে কিছু জানা যায়নি।
ঢামেক সূত্র বলেছে, ময়নাতদন্তে মৃত্যু কারণ এবং ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে কি না, তা জানতে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তার শরীরের কয়েকটি অংশে ট্যাটু করানো ছিল। মৃত সানার বাবা রেজওয়ান সেলিম একজন ব্যবসায়ী, মা কানিজ আফরোজ সুমি গৃহিণী।
এদিকে খিলগাঁওয়ে রিয়া মনি (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও সিপাহীবাগ আইসক্রিম ফ্যাক্টরি গলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে রিয়া মনির গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপায়। তিনি খিলগাঁও সিপাহীবাগ আইসক্রিম ফ্যাক্টরি গলি এলাকায় তার স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে পুলিশ তা তদন্ত করছে।
নিহতের বোন রেশমা আক্তার জানান, রিয়া মনির স্বামী ওবাইদুলের অন্য একটা মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। শনিবার ওবাইদুল বাসা থেকে বের হতে গেলে বাধা দেন তার বোন। কিন্তু ওবাইদুল কোন কথা না শুনে বেরিয়ে যান। পরে রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন রিয়া মনি। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।