পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের স্ত্রী পরিচয়ে কনস্টেবল নিয়োগে তদবিরের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলোÑ রুমা আক্তার ও তার স্বামী আসলাম মিয়া। গত শুক্রবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার আঁটিবাজারের ঘাটারচর টানপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে রুমা নামে ওই নারী পুলিশ প্রধানের স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় তদবির করে। গত ৭ নভেম্বর দুপুরে তিনি টাঙ্গাইলের এসপিকে ফোন দেন। এ সময় নিজেকে আইজিপির স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে একজন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে চাপ দেন। এছাড়া এসএমএসে (খুদে বার্তায়) ওই প্রার্থীর তথ্য পাঠান।
জেলা পুলিশ এ ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরকে অবহিত করে। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা ও প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে জানতে পারে এই নারী প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। পরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় রুমার অবস্থান শনাক্ত করে। শুক্রবার রাতে রুমা ও তার স্বামী আসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় আইসিটি আইনে মামলা করা হয়েছে।
আইজিপির স্ত্রী ও বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা কনস্টেবল নিয়োগে কোন ধরনের প্রতারণার কৌশল না নেয়া এবং প্রতারক থেকে সতর্ক থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। জানা গেছে, গ্রেপ্তার রুমার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী থানার রহমতপুরে। বর্তমানে সে ঢাকার সাভার থানার লুটেরচরে স্বামী আসলামের সঙ্গে থাকেন।
রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১ , ২৯ কার্তিক ১৪২৮ ৮ রবিউস সানি ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের স্ত্রী পরিচয়ে কনস্টেবল নিয়োগে তদবিরের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলোÑ রুমা আক্তার ও তার স্বামী আসলাম মিয়া। গত শুক্রবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার আঁটিবাজারের ঘাটারচর টানপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে রুমা নামে ওই নারী পুলিশ প্রধানের স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় তদবির করে। গত ৭ নভেম্বর দুপুরে তিনি টাঙ্গাইলের এসপিকে ফোন দেন। এ সময় নিজেকে আইজিপির স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে একজন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে চাপ দেন। এছাড়া এসএমএসে (খুদে বার্তায়) ওই প্রার্থীর তথ্য পাঠান।
জেলা পুলিশ এ ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরকে অবহিত করে। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা ও প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে জানতে পারে এই নারী প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। পরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় রুমার অবস্থান শনাক্ত করে। শুক্রবার রাতে রুমা ও তার স্বামী আসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় আইসিটি আইনে মামলা করা হয়েছে।
আইজিপির স্ত্রী ও বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা কনস্টেবল নিয়োগে কোন ধরনের প্রতারণার কৌশল না নেয়া এবং প্রতারক থেকে সতর্ক থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। জানা গেছে, গ্রেপ্তার রুমার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী থানার রহমতপুরে। বর্তমানে সে ঢাকার সাভার থানার লুটেরচরে স্বামী আসলামের সঙ্গে থাকেন।