কাফনের কাপড় কেনার রশিদ জমা দিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রর্থী আবদুল লতিফকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেয়ার কারনে নিরাপত্তা চেয়ে মোহনপুর থানায় সাধারন ডায়রী করেন।

আবদুল লতিফ বলেন, ২০০৩ সালে জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। গত ৭ অক্টোবর রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষে মোহনপুর সদরে নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার কাছে এক ব্যক্তির ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে অকথ্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ করা হয়। কলদাতা একপর্যায়ে বলেন, তুই এলাকায় ঢুকলে তোকে খুন করা হবে।’ আবদুল লতিফ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোহনপুর থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি দায়ের করেন।

কিন্তু প্রশাসন কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানিয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল লতিফ। তাই তিনি ১১ নভেম্বর মোহনপুর বাজার থেকে সাতগজ ১২ গিরা কাফনের কাপড় ৫৫০ টাকায় কিনে তার রশিদ নির্বাচন অফিসারের কাছে জমা দিয়ে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আবদুল লতিফ বলেন, তিনি আওয়ামী লীগ করলেও সে রকম কোনো পদে নেই। এ কারণে তিনি নৌকার জন্য আবেদনও করেননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।

বাকশিমইল ও জাহানাবাদ ইউনিয়নে দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল লতিফ কাপড় ক্রয় করার রিসিভ দাখিল করেছেন। এ বিয়য়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নির্বাচনী প্রচার- প্রচারনা শুরু হলে খতিয়ে দেখে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মোহনপুর থানার ওসি মো. তৌহিদুল ইসলাম ও নির্বাচন অফিসার মো. জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, মুঠোফোনে হুমকির বিষয় দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা, জাপার লাঙ্গল ও স্বতন্ত্র তিনজনসহ মোট প্রার্থী রয়েছে ছয়জন। শুক্রবার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। ২৮ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হবে।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যানপদে ২৯ জন, সংরক্ষিত আসনে ৬০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৮৯ জন। চেয়ারম্যানসহ মোট ২৬৯ প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। শুক্রবার ছিল প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের দিন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধুরইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো.দেলোয়ার হোসেন (নৌকা) স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো.কাজিম উদ্দিন (আনারস)। সংরক্ষিত তিন আসনে পদে ৯ জন ও সাধারণ ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডে ২৮ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে।

রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১ , ২৯ কার্তিক ১৪২৮ ৮ রবিউস সানি ১৪৪৩

চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হুমকি

কাফনের কাপড় কেনার রশিদ জমা দিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে

জেলা বার্তা পরিবেশক,রাজশাহী

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রর্থী আবদুল লতিফকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেয়ার কারনে নিরাপত্তা চেয়ে মোহনপুর থানায় সাধারন ডায়রী করেন।

আবদুল লতিফ বলেন, ২০০৩ সালে জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। গত ৭ অক্টোবর রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষে মোহনপুর সদরে নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার কাছে এক ব্যক্তির ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে অকথ্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ করা হয়। কলদাতা একপর্যায়ে বলেন, তুই এলাকায় ঢুকলে তোকে খুন করা হবে।’ আবদুল লতিফ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোহনপুর থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি দায়ের করেন।

কিন্তু প্রশাসন কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানিয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল লতিফ। তাই তিনি ১১ নভেম্বর মোহনপুর বাজার থেকে সাতগজ ১২ গিরা কাফনের কাপড় ৫৫০ টাকায় কিনে তার রশিদ নির্বাচন অফিসারের কাছে জমা দিয়ে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আবদুল লতিফ বলেন, তিনি আওয়ামী লীগ করলেও সে রকম কোনো পদে নেই। এ কারণে তিনি নৌকার জন্য আবেদনও করেননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।

বাকশিমইল ও জাহানাবাদ ইউনিয়নে দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল লতিফ কাপড় ক্রয় করার রিসিভ দাখিল করেছেন। এ বিয়য়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নির্বাচনী প্রচার- প্রচারনা শুরু হলে খতিয়ে দেখে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মোহনপুর থানার ওসি মো. তৌহিদুল ইসলাম ও নির্বাচন অফিসার মো. জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, মুঠোফোনে হুমকির বিষয় দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা, জাপার লাঙ্গল ও স্বতন্ত্র তিনজনসহ মোট প্রার্থী রয়েছে ছয়জন। শুক্রবার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। ২৮ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হবে।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যানপদে ২৯ জন, সংরক্ষিত আসনে ৬০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৮৯ জন। চেয়ারম্যানসহ মোট ২৬৯ প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। শুক্রবার ছিল প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের দিন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধুরইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো.দেলোয়ার হোসেন (নৌকা) স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো.কাজিম উদ্দিন (আনারস)। সংরক্ষিত তিন আসনে পদে ৯ জন ও সাধারণ ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডে ২৮ জন প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে।