সংসদ অধিবেশন আজ থেকে

আজ বিকেল ৪টায় বসছে সংসদ অধিবেশন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের আসন্ন পঞ্চদশ অধিবেশনে ‘বিশেষ আলোচনা’ হবে। এই আয়োজনে সংসদে ভাষণ দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত ২৭ অক্টোবর এই অধিবেশন আহ্বান করেন রাষ্ট্রপতি।

এ বিষয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সাধারণ আলোচনা হতে পারে। তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমরা আশা করছি, ওই দুইদিন হতে পারে। মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে আমরা আমন্ত্রণ জানাব। তিনি ভাষণ দেবেন। তার পর সাধারণ প্রস্তাব আসতে পারে। পরে আলোচনা হবে।’

সংসদ অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘অধিবেশনে আমাদের নিয়মিত কিছু কার্যক্রম আছে। সেগুলো শেষ করে এক-দুই দিন বিরতি দেয়া হবে। এবারও সংসদ অধিবেশনে প্রবেশের অনুমতি থাকবে না সাংবাদিকদের।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গত বছরের নভেম্বর মাসে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশেষ অধিবেশনে বসে জাতীয় সংসদ। ওই অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে সংসদের বৈঠকগুলোতে নিয়মিত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। নতুন কিছু বিল উত্থাপন এবং আগে উত্থাপন করা কয়েকটি বিলের রিপোর্ট উপস্থাপন ও পাসের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। আসন্ন অধিবেশনের শেষ দিকে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ১৪৭ এর আওতায় দুই বা তিন দিন আলোচনা হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনের মতো এবারও একটি সাধারণ প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনা শেষে সেই প্রস্তাব সংসদে গ্রহণ করা হবে।

সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর শেষে দেশে ফেরার পর অধিবেশনের কার্যসূচি চূড়ান্ত করা হবে। সংসদের কার্যসূচি ও মেয়াদ ঠিক করে কার্যউপদেষ্টা কমিটি। তবে মহামারীকালে ওই কমিটির কোন বৈঠক হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদযাপনে গত বছরকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করে নানা কর্মসূচি নিয়েছিল সরকার। তবে করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে করতে না পারায় মুজিববর্ষের মেয়াদ ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ বছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করেছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ।

হুইপ স্বপন জানান, মহামারীকালে অন্য অধিবেশনের মতো এবারও প্রতি কার্যদিবসে নির্দিষ্ট সংখ্যক সংসদ সদস্যদের সংসদের বৈঠকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান হবে। এ জন্য তালিকা করা হয়েছে। অধিবেশনে অংশ নেয়া সব সংসদ সদস্য কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাবেন।

বিশেষ আলোচনার সময় কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ সব সংসদ সদস্য অংশ নেবেন।

রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১ , ২৯ কার্তিক ১৪২৮ ৮ রবিউস সানি ১৪৪৩

সংসদ অধিবেশন আজ থেকে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আজ বিকেল ৪টায় বসছে সংসদ অধিবেশন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের আসন্ন পঞ্চদশ অধিবেশনে ‘বিশেষ আলোচনা’ হবে। এই আয়োজনে সংসদে ভাষণ দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত ২৭ অক্টোবর এই অধিবেশন আহ্বান করেন রাষ্ট্রপতি।

এ বিষয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সাধারণ আলোচনা হতে পারে। তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমরা আশা করছি, ওই দুইদিন হতে পারে। মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে আমরা আমন্ত্রণ জানাব। তিনি ভাষণ দেবেন। তার পর সাধারণ প্রস্তাব আসতে পারে। পরে আলোচনা হবে।’

সংসদ অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘অধিবেশনে আমাদের নিয়মিত কিছু কার্যক্রম আছে। সেগুলো শেষ করে এক-দুই দিন বিরতি দেয়া হবে। এবারও সংসদ অধিবেশনে প্রবেশের অনুমতি থাকবে না সাংবাদিকদের।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গত বছরের নভেম্বর মাসে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশেষ অধিবেশনে বসে জাতীয় সংসদ। ওই অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে সংসদের বৈঠকগুলোতে নিয়মিত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। নতুন কিছু বিল উত্থাপন এবং আগে উত্থাপন করা কয়েকটি বিলের রিপোর্ট উপস্থাপন ও পাসের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। আসন্ন অধিবেশনের শেষ দিকে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ১৪৭ এর আওতায় দুই বা তিন দিন আলোচনা হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনের মতো এবারও একটি সাধারণ প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনা শেষে সেই প্রস্তাব সংসদে গ্রহণ করা হবে।

সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর শেষে দেশে ফেরার পর অধিবেশনের কার্যসূচি চূড়ান্ত করা হবে। সংসদের কার্যসূচি ও মেয়াদ ঠিক করে কার্যউপদেষ্টা কমিটি। তবে মহামারীকালে ওই কমিটির কোন বৈঠক হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদযাপনে গত বছরকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করে নানা কর্মসূচি নিয়েছিল সরকার। তবে করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে করতে না পারায় মুজিববর্ষের মেয়াদ ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ বছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করেছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ।

হুইপ স্বপন জানান, মহামারীকালে অন্য অধিবেশনের মতো এবারও প্রতি কার্যদিবসে নির্দিষ্ট সংখ্যক সংসদ সদস্যদের সংসদের বৈঠকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান হবে। এ জন্য তালিকা করা হয়েছে। অধিবেশনে অংশ নেয়া সব সংসদ সদস্য কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাবেন।

বিশেষ আলোচনার সময় কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ সব সংসদ সদস্য অংশ নেবেন।