নিউজিল্যান্ডকে সমীহ করলেও ফাইনাল জিততে চান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তিনি বলেন, ‘এটি ফাইনাল ম্যাচ। আর প্রতিপক্ষ হিসেবে নিউজিল্যান্ড অনেক ক্যালকুলেটিভ দল। তারা অনেক পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে নামবে। আমাদের সেভাবেই প্রস্তুত থাকতে হবে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে ফাইনাল জিততে হবে এবং প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ নিতে হবে।’ নিউজিল্যান্ডকে শক্তিশালী ও পরিকল্পিত দল মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার ফিঞ্চও। প্রতিপক্ষের অধিনায়কের সেই মন্তব্যের প্রতিফলন সুপার টুয়েলভ ও সেমিফাইনালে দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
সুপার টুয়েলভে পাকিস্তানের কাছে শেষ মুর্হূতে হেরে বসলেও, ম্যাচে নিজেদের সেরাটাই ঢেলে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ভারতকে নাকানিচুবানি দেয়ার পর, আফগানিস্তান-স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিপক্ষেও জয় তুলে নেয় কিউইরা। ৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ প্রতিপক্ষ হিসেবে নিউজিল্যান্ড পায় শিরোপার অন্যতম দাবীদার ইংল্যাডকে।
টি-২০ বিশ্বকাপে এবারই প্রথম ফাইনাল খেলছে নিউজিল্যান্ড। আগের ছয় আসরে কিউইদের সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল সেমিফাইনাল। ২০০৭ ও ২০১৬ সালের সেমিতে খেললেও ফাইনালে খেলার সুযোগ এবারই প্রথম হলো নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই বাজিমাত করতে চায় নিউজিল্যান্ড। দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, ‘ওয়ানডে বিশ্বকাপে শেষ দুই আসরের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। কিন্তু টি-২০ বিশ্বকাপে এই প্রথম ফাইনাল খেলছি আমরা। শিরোপা জিতে এই প্রথমকে স্মরণীয় করতে চাই। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে জিততে হলে, তিন বিভাগেই তাদের চেয়ে ভালো খেলতে হবে। ম্যাচের শুরু থেকেই অজিদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।’
সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪তম ওভারে আউট হয়ে হতাশায় নিজের ব্যাটে হাত দিয়ে আঘাত করে হাত ভেঙে ফেলেন কনওয়ে। ফলে বিশ্বকাপের ফাইনালে কনওয়েকে পাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড। ফাইনালের আগে কনওয়েকে হারানোটা বড় ধাক্কা মনে করছেন নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড। তিনি বলেন, ‘এমন সময় তার ছিটকে পড়াটা হতাশার। তাকে আমরা মিস করবো।, তবে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
আইসিসির ইভেন্টে এই দুই দল ১৭বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার জয় ১৬।
ইংল্যান্ডের সাবেক কেভিন পিটারসেনের দৃষ্টিতে, অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। দুই ফাইনালিস্ট দলই সুপার টুয়েলভে পাঁচ ম্যাচের চারটি করে জিতেছে।
পরে শেষ চারে তাসমানপাড়ের দুটো দেশই হারিয়েছে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা দুটো দলকে। তারা জিতেছেও এক ওভার হাতে রেখে, সমান পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে।
বেটওয়েকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পিটারসেন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হাতেই আমি শিরোপা দেখছি। বাঁচা-মরার ম্যাচে কীভাবে জ্বলে উঠতে হয় অস্ট্রেলিয়া সেটা ভালো করেই জানে। বড় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে গেলে তারা যেন অতিরিক্ত উদ্দীপনা খুঁজে পায়।’
পিটারসেন এখানে উদাহরণ হিসেবে টানেন ডেভিড ওয়ার্নারের কথা। সাবেক ইংলিশ ব্যাটারের বক্তব্য, ‘আইপিএলে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তাকে (ওয়ার্নার) সানরাইজার্স হায়দরাবাদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। তবে বিশ্বকাপ আসতেই সে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দলের প্রয়োজনে সে তার সেরা পারফরম্যান্সটা দেখাচ্ছে।’
পিটারসেনের মতে, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ফাইনালে নিউজিল্যান্ড কখনও পাত্তাই পায় না। সাবেক ইংলিশ ব্যাটারের বক্তব্য, ‘এরা ফাইনালে মুখোমুখি হলে একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অজিদের কাছে কিউইরা স্রেফ উড়ে গেছে। তাই অস্ট্রেলিয়া শিরোপা জিতলে আমি মোটেও অবাক হবো না।’
রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১ , ২৯ কার্তিক ১৪২৮ ৮ রবিউস সানি ১৪৪৩
সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক
নিউজিল্যান্ডকে সমীহ করলেও ফাইনাল জিততে চান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তিনি বলেন, ‘এটি ফাইনাল ম্যাচ। আর প্রতিপক্ষ হিসেবে নিউজিল্যান্ড অনেক ক্যালকুলেটিভ দল। তারা অনেক পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে নামবে। আমাদের সেভাবেই প্রস্তুত থাকতে হবে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে ফাইনাল জিততে হবে এবং প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ নিতে হবে।’ নিউজিল্যান্ডকে শক্তিশালী ও পরিকল্পিত দল মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার ফিঞ্চও। প্রতিপক্ষের অধিনায়কের সেই মন্তব্যের প্রতিফলন সুপার টুয়েলভ ও সেমিফাইনালে দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
সুপার টুয়েলভে পাকিস্তানের কাছে শেষ মুর্হূতে হেরে বসলেও, ম্যাচে নিজেদের সেরাটাই ঢেলে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ভারতকে নাকানিচুবানি দেয়ার পর, আফগানিস্তান-স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিপক্ষেও জয় তুলে নেয় কিউইরা। ৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ প্রতিপক্ষ হিসেবে নিউজিল্যান্ড পায় শিরোপার অন্যতম দাবীদার ইংল্যাডকে।
টি-২০ বিশ্বকাপে এবারই প্রথম ফাইনাল খেলছে নিউজিল্যান্ড। আগের ছয় আসরে কিউইদের সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল সেমিফাইনাল। ২০০৭ ও ২০১৬ সালের সেমিতে খেললেও ফাইনালে খেলার সুযোগ এবারই প্রথম হলো নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই বাজিমাত করতে চায় নিউজিল্যান্ড। দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, ‘ওয়ানডে বিশ্বকাপে শেষ দুই আসরের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। কিন্তু টি-২০ বিশ্বকাপে এই প্রথম ফাইনাল খেলছি আমরা। শিরোপা জিতে এই প্রথমকে স্মরণীয় করতে চাই। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে জিততে হলে, তিন বিভাগেই তাদের চেয়ে ভালো খেলতে হবে। ম্যাচের শুরু থেকেই অজিদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।’
সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪তম ওভারে আউট হয়ে হতাশায় নিজের ব্যাটে হাত দিয়ে আঘাত করে হাত ভেঙে ফেলেন কনওয়ে। ফলে বিশ্বকাপের ফাইনালে কনওয়েকে পাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড। ফাইনালের আগে কনওয়েকে হারানোটা বড় ধাক্কা মনে করছেন নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড। তিনি বলেন, ‘এমন সময় তার ছিটকে পড়াটা হতাশার। তাকে আমরা মিস করবো।, তবে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
আইসিসির ইভেন্টে এই দুই দল ১৭বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার জয় ১৬।
ইংল্যান্ডের সাবেক কেভিন পিটারসেনের দৃষ্টিতে, অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। দুই ফাইনালিস্ট দলই সুপার টুয়েলভে পাঁচ ম্যাচের চারটি করে জিতেছে।
পরে শেষ চারে তাসমানপাড়ের দুটো দেশই হারিয়েছে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা দুটো দলকে। তারা জিতেছেও এক ওভার হাতে রেখে, সমান পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে।
বেটওয়েকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পিটারসেন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হাতেই আমি শিরোপা দেখছি। বাঁচা-মরার ম্যাচে কীভাবে জ্বলে উঠতে হয় অস্ট্রেলিয়া সেটা ভালো করেই জানে। বড় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে গেলে তারা যেন অতিরিক্ত উদ্দীপনা খুঁজে পায়।’
পিটারসেন এখানে উদাহরণ হিসেবে টানেন ডেভিড ওয়ার্নারের কথা। সাবেক ইংলিশ ব্যাটারের বক্তব্য, ‘আইপিএলে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তাকে (ওয়ার্নার) সানরাইজার্স হায়দরাবাদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। তবে বিশ্বকাপ আসতেই সে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দলের প্রয়োজনে সে তার সেরা পারফরম্যান্সটা দেখাচ্ছে।’
পিটারসেনের মতে, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ফাইনালে নিউজিল্যান্ড কখনও পাত্তাই পায় না। সাবেক ইংলিশ ব্যাটারের বক্তব্য, ‘এরা ফাইনালে মুখোমুখি হলে একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অজিদের কাছে কিউইরা স্রেফ উড়ে গেছে। তাই অস্ট্রেলিয়া শিরোপা জিতলে আমি মোটেও অবাক হবো না।’